11 在 ·翻译

-' ভেবে তাই ওদের দেওয়া ডেয়ার পালন করতে উপরোক্ত উক্তিগুলি আওড়ালাম। আর তা বলেই এখন এমন মহা ফ্যাসাদে পড়তে হলো।

আমতা আমতা করতে করতে কোনোমতে কথা ঘোরাতে তাই বললাম

-' না ইয়ে মানে ভাইয়া, আসলে হয়েছে কি, আচ্ছা আন্টি আসলে পরে কথা হবে নাহয়। এখন তাহলে রাখি ভাইয়া।

-' এমনিতেও শাশুড়িকে ফোন দিয়ে প্রথমেই যে সালাম দিতে হয়, এতোটুকু ভদ্রতা জ্ঞান নেই তোমার। এখন শাশুড়ি আম্মু থেকে একেবারে আন্টি বানায় দিলা আমার আম্মুকে? আবার নিজের বরকে ভাইয়া বলেও সম্মোধন করছো? ছিঃ বরকে কে কি কেউ ভাইয়া বলে? দিস ইজ নট ফেয়ার, বউ। তুমি বড্ড দুষ্ট হয়ে যাচ্ছো কিন্তু।

ফোনের অপর প্রান্তের ব্যক্তিটি যে আমায় মিষ্টি করে অপমান করে দিলেন তা বুঝতে আমার একটুও বেগ পেতে হলো না। আমি তাই কথা না বাড়িয়ে ছোট করে 'সরি' বলে খট করে ফোনটা কেটে দিলাম।

এদিকে আমার সামনে বসে থাকা দুই পেত্নী এক নাগারে খিলখিল করে হেসেই চলেছে। ইচ্ছে করছে সবগুলোর চুল টেনে ছিড়ে ফেলতে। আমাকে ওদের দিকে চোখ গরম করে তাকাতে দেখে ওরা হাসি থামায় তবে মিটমিটিয়ে হেসেই চলেছে এখনো।

-' কিরে কি বলল তোর শাশুড়ির ছেলে?

হাসতে হাসতে কথাটা বলে উঠল রিশতা। ফোন লাউড স্পিকারেই দেওয়া ছিল। ফোনের অপর প্রান্ত যা বলেছে সবই শুনেছে ওরা। তবুও আমার সাথে মশকরা করার জন্য এমন করছে। এদিকে আমার তো প্রায় যায়যায় অবস্থা। কাকে কি বলতে কি বলে ফেলেছি তা আমার নিজের ধারনারও বাইরে। অরনী আমার কাঁধ চাপড়ে হেসে বলল

-' বেচারী আমাদের দেওয়া ডেয়ার পালন করতে গিয়ে এভাবে ফেসে গেল। তবে যাই বলিস না কেন, ভাইয়ার কথাগুলা কিন্তু জোস ছিল। তবে কন্ঠস্বরটা কেমন যেন চেনা চেনা ঠেকল মনে হচ্ছে?

ঠোঁটের কোণে বিদ্রুপের হাসি ফুটিয়ে শেষোক্ত কথাটা বলল অরনী।

অরনীর কথা শুনে আমি আঁতকে উঠলাম। আমি তো খেয়াল করিনি এতোক্ষণ। অপরিচিত ভেবে আবোল তাবোল বকবক করার পরও চাপ না নিয়ে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু এখন কি হবে, যদি পরিচিত কেউ হয় তবে?

ফোনটা হাতে নিয়ে দ্রুত কল লিস্ট চেক করতেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ল যেন। যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে নামে। আমার সাথেও হয়েছে ঠিক তাই।

রিশতা আর অরনীর সামনে ফোনটা ধরে মৃদু চিৎকার করে বললাম

-' এটা কি করলি তোরা? কাকে ফোন দিয়েছিলি খেয়াল আছে কোনো?

দায় সারা ভাব নিয়ে চোখ ছোট ছোট করে অরনী বলল

-' তো কি এমন হয়েছে? যাকে সবসময় শাশুড়ি আম্মু, শাশুড়ি আম্মু করে মাথা খারাপ করে ফেলিস, তাকেই তো ফোনটা দিলাম।

পাশ থেকে রিশতা ফোঁড়ন কেটে, ঠোঁটে বাঁকা হাসির রেখা ঝুলিয়ে ভ্রু নাচিয়ে নাচিয়ে বলল

-' পরিবর্তন শুধু শাশুড়ি আম্মুর জায়গায় শাশুড়ির ছেলে ফোনটা ধরেছিল এই আরকি। এ আর এমন কি? তো সুন্দরী কেমন লাগল বরের সাথে কথা বলে?

রিশতার সাথে সাথে অরনীও হেসে ফেলে।

আমি এবার দাঁত কিড়মিড় করে বললাম

-' খুব হাসি পাচ্ছে তাই না? দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা।

বলেই কোমড়ে ওড়না বেঁধে বিছানা ঝাড়ুটা এনে ওদের তাড়া করলাম। আমার তাড়া খেয়ে ওরা দৌড়ে যেতে যেতে বলল

-' ওরে শিগগির পালা। পা"গলা হাতি ক্ষেপেছে রে।

মেজাজ আমার আরও চটে গেল। দাঁত কিড়মিড় করে বললাম

-' তবে রে...

ওরা দৌড়ে অন্য রুমে চলে যায়। এদিকে দৌড়াতে গিয়ে হোচট খেয়ে শুকনো মেঝেতে আছাড় খেলাম। পড়ে গিয়ে নিজেই যেন হতভম্ব বনে গেলাম। ফ্লোরে দুম করে কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে ছুটে এলেন মা এবং মামনি। মা গরম খুনতি হাতে নিয়ে কপালে ভাঁজ ফেলে বললেন

-' কিরে পড়ে গেলি কিভাবে? নিশ্চয়ই তিনটা মিলে বাঁদরামি করছিলি? তোদের নিয়ে আর পারিনা, বাপু।

মায়ের কথায় কিছু বলতে যাব তার আগেই মামনি আমায় হাত ধরে উঠিয়ে বিচলিত হয়ে বললেন

-' কোথাও ব্যথা পেয়েছিস মা?

আমি না সূচক মাথা নাড়ালাম। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন মা, মামনি দুজনেই। মামনি আমার গায়ে হাত বোলাতে বোলাতে বললেন

-' তাহলে এই ভর দুপুরে দৌড়াচ্ছিলি কেন? এভাবে কেউ দৌড়ায়? দেখলি তো পড়ে গেলি কেমন করে। ভাগ্য ভালো কোথাও ব্যথা পাসনি।

আমি মামনির দিকে ভালোভাবে তাকালাম। তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রেখেছেন তিনি। বোঝায় যাচ্ছে সবেমাত্র গোসল সেরে বেড়িয়ে এসেছেন তিনি। আমি তা দেখে পরপর কয়েকটা শুকনো ঢোক গিললাম। মামনিকে আমি মজা করে প্রায় সময়েই শাশুড়ি আম্মু বলে ডাকি। তবে সমস্যা এটা নিয়ে না। সমস্যা তো অন্য জায়গায়। মামনির ছেলেটা বড্ড ত্যাড়া আর ঠোঁটকাঁটা স্বভাবের মানুষ। সামনে পড়লে না জানি কি বলতে কি বলে বসে? আজকের পর তার সামনে দাঁড়াব কিভাবে আমি?

-' সারাদিন ব্যাঙের মতো লাফাইলে ওমনেই পড়তে হয়। হাঁটার সময় তো আকাশের দিক তাকায় হাটিস।

মামনির পেছন থেকে কথাটা বলে উঠল আলভি ভাইয়া। আলভি ভাইয়ার কথায় আমার ভাবনায় ছেদ ঘটল। ওর বলা কথাটা শুনতেই কটমট করে তাকালাম ওর দিকে। আলভি ভাইয়া এখনো দাঁত কেলিয়ে হেসেই চলেছে। এবার হাসির রেখা প্রশস্ত করে বলল

-' ভাগ্যিস তোর পড়ার সময়টায় এখানে কি মনে করে এসেছিলাম। এইজন্যই তো সুযোগের সৎ ব্যবহার করতে পেরেছি।

আমি ভ্রু কুচকে বললাম

-' মানে?

-' মানে হলো, তোর পড়ে যাওয়ার ভিডিওটা করে রেখেছি। সুযোগ বুঝে কাজে লাগানো যাবে।

আমি এবার তেড়ে গেলাম আলভি ভাইয়ার দিকে। ভাইয়া হাসতে হাসতে দৌড়ে চলেছে। আর আমি পিছন পেছন দৌড়াচ্ছি। আলভি ভাইয়া পেছন ফিরে দাঁত কেলিয়ে বলল

-' কোমড়ে ওড়না বেঁধে, হাতে একটা ঝাড়ু। বাহ্ পুরাই কাজের বেডি রহিমার মতো লাগতেছে।

বলেই আবারও দৌড়ায় আলভি ভাইয়া।

-' কি, বললি ভাইয়া? দাঁড়া, দাঁড়া বলছি।

বলেই আবারও তাড়া করলাম আলভি ভাইয়াকে।

সবকিছু মিল

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.