#
#
.
রিংকিঃ রিয়ানু বইন আমার। কি করলি তুই এইটা!! ওই তহ এখন তোর লাইফ হেল করে ছাড়ব।
.
রিয়ানাঃ তুই দেখিস নি কত বাজে ভাবে কথা বলছিল ও!! আমি সব সহ্য করলেও নিজের আত্মসম্মান নিয়ে কোন কম্প্রোমাইজ করবো না।
.
রিংকিঃ আই নো ইয়ার বাট হি ইজ পাওয়ারফুল। আর তুই..
.
রিয়ানাঃ দূর্বল আর অনাথ তাই তহ।
.
রিংকিঃ আমি তা মিন করে নি।
.
আরিশাঃ দেখ রিয়ানু ভুল বুঝিস না। রিনকু তা মিন করি নি। দেখ তুই একা থাকোস। আমেনা আন্টিও ২ বছর আগে মারা গেছে। এখন তোর রক্ষা করার মত কেউ নেই। তোকে নিজের রক্ষা নিজের করতে হবে কিন্তু এইসব মানুষদের সাথে তুই একা পারবি না তাই বলছি একটু সাবধানে থাক। এইসব ঝামেলায় না জরা।
.
রিংকিঃ হ্যাঁ ইয়ার। আমার সবসময় তোর ভালো চাই। তাই তোকে এইসব থেকে দূরে থাকতে বলি।
.
রিয়ানাঃ হু।
আমি আর কিছু না বলে উঠে চলে আসি। ভালো লাগছে না আর। আজ নিজের আপন বলতে কেউ নেই বলে প্রতিবাদ করাও দোষের।
ঠিকই বলে সবাই, যার কেউ নেই তার কিছুই নেই। কোন অধিকার নেই তাদের। তাদের জীবন কাটাতে হয় ভয় আর আশংকার মধ্যে। পদে পদে সাবধানে চলতে হয় যেন কোন বিপদ না আসে তাদের। বিপদ আসলে বাঁচাবে কে তাদের??
.
.
🍁
.
.
বাসায় এসে আমি রুমের দরজা আটকিয়ে দেই তারপর নিজের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে নিচে বসে খাটের উপর মাথা রাখি। নয়ন দুটিতে অশ্রুর বন্যা জমে থাকাতে ভার হয়ে এসেছে। বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসতে চাচ্ছে। অবশেষে সেই বাধ ভেংগে বেড়িয়ে আসে বন্যা আর ভাসিয়ে দেয় আমার গাল দুটি।
--" আজ নিজের বাবা মা নেই বলে সবাই আমাকেই মাথা নিচু করে চলতে বলছে। অন্যায়কে মেনে নিতে বলছে। কেন!! কেন!!
কেন এত ভয়ে ভয়ে থাকবো আমি কেন!!"
.
আমি কিছুনা বলে চুপচাপ মাথা নিচু বসে থাকি।
.
.
🍁🍁🍁
.
.
-- " হাও ডেয়ার হি। আমার জানের দিকে নজর দেওয়ার সাহস পায় কিভাবে সে?? বড্ড ভুল করেছিস আমার জানের দিকে কুনজর দিয়ে। তাকে বাজে প্রস্তাব দিয়ে। তাকে কাঁদিয়ে ঠিক করিস নি তুই!!! এর শাস্তি তোকে পেতেই হবে। তাও খুব ভয়ংকর শাস্তি "
.
এই বলে টেবিল থেকে গ্লাস উঠিয়ে দেয়ালে স্বজোরে আছার মারে। তারপর নিচ থেকে একটি কাঁচের টুকরো উঠিয়ে নিজের হাতের চেপে ধরে, সাথে সাথে রক্ত বেড়িয়ে আসে।
.
-- " খুব জলদিই তোমার এই কষ্টের দাম একজনকে দিতে হবে। "
.
.
🍁🍁🍁
.
.
পরেরদিন,
আমি মেডিক্যালের জন্য রেডি হয়ে বেড়িয়ে আসতেই দরজার সামনে একটি বেলি ফুলের ঝুড়ি দেখতে পাই। ঝুড়িটি হাতে নিয়ে ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি। একদম মন ভালো করার মত জিনিস এইটি। যখন ফুলের ঘ্রাণ নিতে থাকি তখন চোখে পড়ে একটি কোনে থাকা কার্ডটির দিকে।
হাতে নিয়ে পড়তে শুরু করি।
.
" 💚হাসিতে তুমি
কান্নাতে তুমি
আলোতে তুমি
আধারেও তুমি
শত তুমিতেই
আমার তুমি💚 "
.
.
পরার সাথে সাথে মুখে এক রাশ হাসি ফুটে উঠে আমার। এইসবই এখন আমার এখন অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। কে পাঠায় তা আমার জানা না হলেও আমার জন্য তার অসীম ভালবাসা ঠিকই বুঝতে পারি। অনেকবার তাকে খুঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু প্রতিবারই এর ফল শূন্য তাই এইবার ফ
হাল ছেড়ে দিয়েছি। থাকুক না কিছু ভালবাসা অপ্রকাশিত।
ফুল গুলো ভিতরে রেখে বেড়িয়ে পড়ি মেডিক্যালের উদ্দেশ্যে।
.
.
মেডিক্যালে এসে দেখি আরিশা আর রিংকি মুখ ফ্যাকাশে করে বসে আছে। আমি তাদের কাছে গিয়ে বসে জানতে চাই কি হয়েছে। তারা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
.
রিংকিঃ তুই আজকের টিভি নিউস বা পেপার পড়োস নাই??
.
রিয়ানাঃ আমি আবার এইসব কবে থেকে দেখা বা পড়া শুরু করলাম??
.
আরিশাঃ তার মানে তুই কিছুই জানোস না??
.
রিংকিঃ এইটাই যে কাল রাতে রকি মারা গিয়েছে!!
.
রিয়ানাঃ মানে!! কিভাবে??
.
আরিশাঃ রাতে নাইট ক্লাব থেকে ফিরার সময় কে জানি ওর গাড়ি ধাক্কা দেয় আর গাড়িটি খাঁদে পড়ে ব্লাস্ট হয়ে যায় আর ও অন দ্যা স্পোট মারা যায়।
.
রিংকিঃ পুরো বডি জলসে গেছে। চিনাও বহুত মুশকিল। কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো ওর ডান হাত টা পুরো উদাও। মানে লাশের মধ্যে ডান হাত ছিল না সাথে চোখ আর জিহ্বা ও।
.
রিয়ানাঃ পাগল হয়ে গিয়েছিস?? কিসব বলছিস। এইসব থাকবে না কেন??
.
আরিশাঃ ওই রিংকি