" লেগে সেখান থেকে রক্ত ঝড়তে লাগলো। সবাই রিক বলে চিল্লিয়ে উঠলেও কাশিশ ছুটে পালিয়ে গেলো পার্ক থেকে।
"এই নোংরা মেয়ের এতো বড় স্পর্ধা, আমাকের আঘাত করে! আজকে এই মেয়ের পিঠের চামড়া না তুললে আমার নামও রিক মির্যা নয়।"
_________________
কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ হাতড়ে, বাসার মেইন দরজার চাবি বের করে গেট খুলে ভিতরে ঢুকলো আনিকা মির্যা। আজ তার কলেজে একটু বেশি চাপ ছিল, তাই তো আসতে এত দেরি হয়ে গেল ! সারাদিন ছোট্ট মেয়েটার খুঁজো নিতে পারলো না সে, তাই তো কাজ শেষ হতেই ছুটে চলে আসলো বাসায়। বাসায় ঢুকেই সে কাঁধ থেকে কোনো রকমে ব্যাগটা রেখে, নিজের ছোট মেয়েটার উদ্দেশ্যে আদুরে কণ্ঠে ডেকে উঠলো....
"কাশিশ মা, দেখ আম্মু চলে এসেছে। আম্মুর জন্য আজ পানি আনবি না?"
আনিকা মির্যা'র একটা আওয়াজে যে মেয়ে ছুটে আসে, আজ এতো আদুরে কণ্ঠে ডাকার পরো সেই মেয়ের কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে এবার যেন মায়ের মন ব্যাকুল হয়ে উঠলো পলকেই। তাই তাড়াহুড়ো করে রুমের দিকে যেতে নিলেই বাহির থেকে শুনা গেলো কিছু মানুষের রুক্ষ কণ্ঠে। সেই সাথে দড়জাটা এমন ভাবে পিটানো হচ্ছে যেন এখনি ভেঙে গুড়িয়ে দিবে! আনিকা মির্যা'র পা রুমেএ দিকে না যেয়ে আগিয়ে এলো আবার দড়জার দিকে। কিন্তু বাহিরে থাকা মানুষগুলো কণ্ঠে কানে পৌঁছাতেই তিনি এবার আরো ব্যাকুল হয়ে উঠলো যেন! মনে বাসা বাধলো ভয়েরা, কিন্তু তার দড়জা না খোলার ফলে এবার মানুষগুলো যে ভাঙার প্রয়াশ করছে সেটা বুঝতেই আনিকা মির্যা দৌড়ে যেয়ে কাঁপা হাতে দড়জা খুলে দিলো! দড়জা খুলে দিতেই আনিকা মির্যাকে এক প্রকার ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে, বাসার ভিতর ঢুকে পড়লো কয়েক জন পুরুষ। কোন কাথা ব্যাতিতই তাদের মাঝে এক মাঝ বয়সি পুরুষ এবং তার সাথে থাকা এক যুবক গিয়ে বসে পড়লো সোফায়।
উপস্থিত মানুষগুলো কে এই মুহুর্তে নিজের বাসায় দেখে আনিকা মির্যা'র মায়ার মন ঠিক বুঝে নিলো, তাদের এখানে আসার কারন কী হতে পারে। তাই ছুটে নিজের রুমের দিকে যেতে নিলেই দুজন পুরুষ থাকে শস্ত হাতে আটকে নিলো....
"কই রে রফিক! নর্দমার কীট টাকে ধরে নিয়ে আয়। আমিও আইজ দেহি অর কলিজা কতো বড় হয়ে গেছে!"
তার কথা শেষ হতেই আনিকা মির্যা'র চিৎকার করে উঠলো। মুক্তির জন্য ছটফট করতে লাগলো কিন্তু তার কিছুই কাজে দিলো না। এর মাঝেই তাদের কানে পৌঁছালো এক ছোট্ট প্রাণের কান্নার আওয়াজ! কিন্তু সেই কান্নায় যেন এই জানোয়ার গুলোর দয়ার বদলে পৈশাচিক আনন্দ হচ্ছে!
"আমার পোলারে মাইরা রক্ত বের করে দেস, আজ দেখবো তোর এই ছোট্ট দেহে কতো তেজ! যা রিক বাবা অর সব তেজ বের কর দেহি। "
রিক সোফা ছেড়ে উঠে এগোতে লাগলো ছোট্ট কাশিশের দিকে! ছোট্ট মায়াবী দেখতে মেয়েটা ভয়ে গুটিয়ে আছে। বার বার তার আম্মুর কাছে যেতে চাচ্ছে।
"আমি আর কখনো তোমাকে স্পর্শ করবো না রিক ভাইয়া। তোমাকে ভাই বলেও ডাকবো না সত্যি বলছি। কাশিশ গুড গার্ল হবে। আমি অনেক গুলো সরি, আমি ইচ্ছে করে তোমাকে মারি নাই! প্লিজ আমাকে মারবা না। প্লিজ! "
ছোট্ট প্রাণ টা আকুতি করে উঠলো। কিন্তু মানুষ রুপি পশুর কানে তা গেল কী? রিক নিজের বেল্ট খুলে এলোপাতাড়ি মাড়তে লাগলো ছোট্ট কাশিশ কে....
"সেই সুযোগ আমি তোরে আর দিলে তো! অকেন তেজ না দেহে?"
রিকের প্রটিতা আঘাতের সাথে ছোট্ট কাশিশ তীব্র ব্যাথায় কুঁকিয়া উঠে চিৎকার করছে। বার বার না করছে, মিনতি করছে ছেড়ে দিতে। কিন্তু রিক যেন কিছুই শুনছে না!
"আল্লাহ দোহাই লাগে আমার মেয়েটাকে ছেড়ে দেও। দয়া করো একটু ছোট প্রাণটার উপর! রিক বাবা আমি তোর পায়ে পড়ছি ওকে মারিস না।"
কথাগুলো চিৎকার করে কান্না করতে করতে বলছে আনিকা মির্যা। নিজের ছোট কলিজার টুকরো টার এমন অবস্থা দেখে সে যেন মরে যাচ্ছে। কষ্টে তার বুক ফেটে যাচ্ছে! চোখের সামনে কোন মা'র কী এই দৃশ্য সহ্য করার ক্ষমতা থাকে?
"ভাইয়া, ভাইয়া গো তোমার ছেলেকে থাম