11 w ·Tradurre

আরিশ এদের ভাবসাব দেখে বুঝতে পারে, এরা ওকে না নিয়ে, এক পা জায়গাও নড়বে না, তাই অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নেয় আরিশ ওদের সাথে যাবে, আরিশ মেনে নিয়েছে দেখে ওনারা দুজন আরিশ কে জড়িয়ে ধরে কি করবে বুঝতে পারছিলেন না।

আরিশ ওদের বাড়ি, ‘দা গ্যান্টানার এস্টেট’ এসেছে আজ দু মাস শেষ হতে চলল। এই দু মাসে আরিশ এই তি’নজনকে নতুন ভাবে চিনেছে, একটা বাহিরের মানুষ কে কিভাবে আপন করতে হয় এদের কে দেখেছে। আপন ছেলে না হয়েও যে মানুষের থেকে এমন ভালোবাসা পাওয়া যায়, এদেরকে না দেখলে বোঝা যেত না। কে বলবে এদের এতো টাকা জায়গা বাড়ি গাড়ি, তারপরও কিভাবে ওকে আপন করে নিল? তবে আরিশ এখানে থাকছে ঠিকই কিন্তু আজ অব্দি উনাদের সাথে একজাস্ট করতে পারিনি। হয়তো ওর গম্ভীরতার কারণে, ও এই বাড়িতে থাকলেও ওর সব যাবতীয় খরচ ও নিজেই করতো। এতে ওনারা
আরিশ কে জোর করতে পারতেন না। আরিশ চলে যেতে পারে সেই জন্য। ওনারা আরিশের সাথে বাড়তি কথা বলতে পারতেন না,আরিশের স্বভাবের জন্য। কারণ ওর এক কথার উপর উনারা দু কথা বললেই ও চেঁচামেচি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে চাইত, আর ওনার অনেক কষ্টে ওকে মানিয়ে রাখত। তবুও ওনাদের আরিশ কে চাই।

দিন যাচ্ছে রাত কাটছে, হঠাৎ একদিন আরিশ মিনি বাইক এক্সিডেন্ট করে, যদিও আঘাত তেমন পাইনি, হাত একটু কেটে গিয়েছে পাশাপাশি পা ছিলে গেছে। আরিশের এক্সিডেন্টের কথা উনাদের কানে যেতে সবাই কেমন অস্থির হয়ে পাগল ভেসে ছুটে এসেছিলেন,আরিশ কে হারানোর ভয়ে। ততক্ষণে আরিশ নিজেই হসপিটালে গিয়ে হাত কাটা জায়গায় সেলাই ও পায়ে ব্যান্ডেজ করিয়ে নেয়। ডক্টর ওষুধ লিখে দিতে ততক্ষণে ওনারা হসপিটালে এসে অস্থির হয়ে আরিশকে দেখতে দেখতে ইন্দ্রিয় ত্যাইনিন' কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন,
‘আমার সোনা বাবা, আমার হীরা তুমি ঠিক আছো?আল্লাহ তোমার দরবারে শুকরিয়া।

আরিশ কে বাড়ি নিয়ে এসে ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন' ওকে খাইয়ে দেওয়া যত্ন করা সব সময় মায়ের মতো পাশে থাকা, পাশাপাশি জিয়ানলুইজির গ্যান্টানার' ওর প্রতি ধীরতা দেখে সেদিন আরিশ সত্যি ই অবাক হয়েছিল, মানুষ কিভাবে এতটা নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসতে পারে? কঠিন মনোভাবের আরিশ ও সেদিন উনাদের প্রতি দুর্বল হয়েছিল, ওনাদের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেছিল। সেদিন প্রথম বারের মত জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার' কে বাবাই বলে ডাক দিয়েছিল। যেটা শুনে উনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আরিশকে জড়িয়ে ধরে বললেন,
‘কি বললে বাবা? আবার বল!
‘বাবাই, তুমি আমার বাবাই! — বলে ইন্দ্রিয়া ত্যাইনিন' এর দিক তাকিয়ে বললো,
‘তুমি আমার মামনি।

আরিশের মাত্র দুটো ডাকে উনাদের মুখের অভিব্যক্তি দেখে বোঝা যাচ্ছিল, ওনারা আকাশসমান খুশি হয়েছিল, উনাদের এত খুশি হতে দেখে আরিশ মনে মনে হেসে বললো —‘জন্ম না দিলেও যে মা-বাবা হওয়া যায়, এটা তোমারা প্রমাণ করে দিলে। ওর এসব ভাবার মধ্যে লুসিয়ান গাল বাঁকিয়ে মেয়েদের মত বললো,
‘হোয়েন দেয়ার বাবাই এন্ড মামনি, হু এম আই দাদাভাই?
~অর্থ:ওরা বাবাই মামনি হলে আমি কে দাদা ভাই?
‘তুই তো আমার ছোটু, আমার ছোট ভাই। আরিশ এটা বলতে লুসিয়ান ও নাদের মত আরিশকে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘ইয়েস, উই আর ওয়ান হ্যাপি ফ্যামিলি।
~অর্থ: হ্যাঁ আমরা একটা হ্যাপি ফ্যামিলি।

সেই থেকেই উনাদের সাথে আরিশের পথ চলা শুরু হয়। আর সেই থেকেই কেটে গেল সাত সাতটা বছর।

“বর্তমান”
আরিশ তার মৌ কে সবটা খুলে বললো,কিভাবে তাদের সাথে ওর সম্পর্কটা একতা মজবুত এতটা ভালোবাসা হল। আর নয়তো কারো কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নিজের ছেলের সাথে অন্য কারো জন্য ভাগ করে সমান সমান? হ্যাঁ জিয়ানলুইজি গ্যান্টানার' লুসিয়ান আর আরিশের নামে

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

42 m ·Tradurre

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

1 h ·Tradurre

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 h ·Tradurre

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.