থাকতে দেখি।
_ এই বাড়িতে তো কাজ করতে হয় না তাই নামাজ পড়ে আবার ঘুমাই।
_ তুমি আগে কাজ করতে ?
_ হ্যাঁ।
_ কেনো করতে ?
_ কাজ করতে হবে না ?
_ না , আমি তো করি না।
নাদিয়া হেসে বলে,
_ এটা আপনার বাবার বাড়ি, এখানে কাজ না করলে আপনাকে কেউ কিছু বলবে না। ওটা তো আমার বাবার বাড়ি ছিল না। কাজ কম করলে বকা শুনতে হয়েছে। বকা যেন শুনতে না হয় তাই কাজ করতাম।
উদয় চোখে মুখে রাগী ভাব ফুটিয়ে বলে,
_ কে বকেছে তোমাকে ?
_ সেসব বাদ দিয়ে উঠে ফ্রেস হয়ে নিন।
_ শরীর ব্যাথা করছে, মাথা ভার ভার হয়ে আছে। কেমন যেন লাগছে, একটুও ভালো লাগছে না।
_ উঠে গোছল করুন ভালো লাগবে।
উদয় শোয়া থেকে উঠে বসে। দুই হাতের সাহায্যে চুল গুলো পেছনে দেয়। ঘুম ঘুম চোখ দুটো জোর করে খুলে রেখে বলে ,
_ মাথা ঘুরছে তো।
_ মাথা ঘুরছে ?
_ হ্যাঁ।
_ আগেও এমন হয়েছে ?
_ না।
_ আগে কখনো এমন লাগেনি ?
_ না।
নাদিয়া উদয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। উদয় কে দেখতেও যেন কেমন লাগছে গত কাল রাত থেকে।
বেড থেকে নেমে দাড়ায় নাদিয়া। আলমারি থেকে উদয়ের ট্রাউজার নিয়ে ওয়াশরুমে রেখে আসে।
তারপর আবার বেডের কাছে এগিয়ে আসে।
_ জান গোছল করে আসুন ভালো লাগবে।
_ আমি হাটতে পারবো না মাথা ঘুরছে।
_ আমি ধরে নিয়ে যাচ্ছি।
_ হুম ঠাস করে ফেলে দেওয়ার জন্য তাইনা! পড়ে গিয়ে মাজা ভেঙ্গে গেলে কি হবে আমার ? আমি যাবো না।
_ পড়বেন কেনো ? কিচ্ছু হবে না।
_ না না আমি যাবো না।
_ পা/গ/ল হয়েছেন নাকি ? কিচ্ছু হবে না বলছি তো আসুন।
_ আমি পা/গ/ল ? তুমি পা/গ/ল মেয়ে একটা।
বলেই দ্রুত বেড থেকে নেমে দাড়ায়। সাথে সাথেই মাথা চক্কর দিয়ে ওঠে। দুই হাতে নাদিয়া কে ধরে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে বলে ,
_ পুরো দুনিয়া ঘুরছে। আল্লাহ এখন আমার কি হবে ?
_ কিচ্ছু হবে না ওয়াশরুমে চলুন।
ধীরে ধীরে হেঁটে ওয়াশরুমে প্রবেশ করে।
,
,
ফ্রেস হয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে নিচে নেমে আসে উদয়। ওর সাথে সাথে নাদিয়াও আসে।
উদয় নিচে এসেই সোফায় বসে পড়ে ছোট ভাইয়ের পাশে। নাদিয়া দাঁড়িয়েই রইলো। প্রহর বড় ভাইয়ের চোখ মুখ দেখে চিন্তিত হয়ে বলে ,
_ ব্রো কি হয়েছে তোমার ? চোখ মুখ এমন দেখাচ্ছে কেনো ?
_ জানিনা ভাই কি হয়েছে আমার। মাথা ঘুরছে , ব/মি ব/মি ভাব হচ্ছে। কেমন যেন লাগছে।
_ অনেক খা/রা/প লাগছে ?
_ হুম।
উদয় সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে নেয়। প্রহর ভাইয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। উদয়ের তো এমন কিছু কোনো দিন হয়নি। কি হলো ? ফুড পয়জনিং ? কিন্তু এরকম কিছু হওয়ার তো চান্স নেই। উদয় বাহিরের খাবার খায় না , যা খায় সব বাড়িতেই রান্না হয়। আর উদয় যা খায় ওরাও তাই খায়। তাহলে ওদের এমন কিছু হলো না কেনো ? নাকি উদয়ের শরীর দূর্বল হয়ে পড়েছে ? কিন্তু শরীর দূর্বল হওয়ারও কোনো চান্স নেই। উদয় কে রোজ পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। কি হলো তাহলে ? রাতেও কেমন অদ্ভুত আচরণ করলো। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে কি ?
নাকি সাইক্রিয়ার্টিস্ট এর কাছে নিয়ে যাবে ?
আয়শা চৌধুরী খাবার খাওয়ার জন্য ডাকলে খাবার খাওয়ার জন্য ডাইনিং টেবিলের কাছে এগিয়ে যায় ওরা তিন জন। আয়শা চৌধুরী বাকি সবাই কে ডেকে আনার জন্য চলে যায়। নাদিয়া উদয় আর প্রহর কে খাবার বেড়ে দেয়। প্রহর নাদিয়া কে খেতে বসতে বললে নাদিয়া নিজেও খেতে বসে।
ডাইনিং টেবিলের উপর পানির জগ রাখার সময় উদয় কে ভালো ভাবে দেখে নেয় নিলুফা। দুই ভাইয়ের কথপোকথন কানে ভেসে এসেছিল ওর। একবার
ড্রা/গস দেওয়া তেই এই অবস্থা ! পাওয়ার আছে
Tanzim Bin Helal
حذف التعليق
هل أنت متاكد من حذف هذا التعليق ؟