একদিন গ্রামের পাকা বোকা রফিক বাজারে গেলো হাঁস কিনতে। হাঁসের দোকানে গিয়ে দেখে, হাঁসগুলো সবই "দামি ব্র্যান্ডেড হাঁস"—পিছনে লেখা "Made in China"। রফিক হাঁসের দোকানদারকে জিজ্ঞেস করলো, "ভাই, হাঁস তো হাঁসই হয়, আবার ব্র্যান্ডেড কি?"
দোকানদার হেসে বললো, "এই হাঁসগুলো ওয়াই-ফাই কানেক্টেড! হাঁসগুলোকে বললে ইউটিউব দেখে ড্যান্সও করে!"
রফিক হাঁস কিনে ঘরে আনলো। হাঁসকে বললো, "চলো এখন টিকটকে একটু নাচো দেখি।" হাঁস তাকিয়ে রইলো। রফিক বললো, "বুঝি কানেকশন নাই। রাউটার লাগাতে হবে!"
তখন সে হাঁসের পাশে একটা Wi-Fi রাউটার রাখলো। এরপরেও কিছু হলো না। হাঁস তাকিয়ে হাঁ করে আছে। রফিক ভাবলো, হাঁসের পাসওয়ার্ড চায়! হাঁসের কানে ফিসফিস করে বললো, "পাসওয়ার্ড 123456"। হাঁস কিছুই করলো না। শেষে হাঁস হঠাৎ "ক্যাঁ ক্যাঁ" করে চিৎকার দিয়ে জানালা দিয়ে পালালো!
রফিক এখন গ্রামে বিখ্যাত – “ওই যে, যে হাঁসকে রাউটারে কানেক্ট করতে চেয়েছিল!”
আরেকদিন রফিক হেঁটে যাচ্ছিলো রাস্তা দিয়ে। দেখে একটা ছাগল মোবাইল দিয়ে সেলফি নিচ্ছে। চোখ কচলে আবার দেখলো – সত্যিই তো! কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, “ভাই, তুমি তো ছাগল, সেলফি কিভাবে?” ছাগল বললো, “আমি ইনফ্লুয়েঞ্চার গো ভাই! ইনস্টাগ্রামে আমার ফলোয়ার ৫০ হাজার!”
রফিক হঠাৎ হিংসে করে নিজের একটা টিকটক অ্যাকাউন্ট খুললো – আইডির নাম দিলো “@Pagla_Rofik_official”।
প্রথম ভিডিও দিলো, যেখানে সে খালি গলায় হাঁসকে কিশোর কুমারের গান শোনাচ্ছে। ভিডিও ভাইরাল! মানুষ কমেন্ট করছে – “হাঁস পালানোর কারণ এখন বুঝলাম।”
রফিক খুশি হয়ে এবার আরেকটি ভিডিও বানালো, যেখানে সে ছাগলের সঙ্গে “ডুয়েট” করছে। ছাগল গলা ফাটিয়ে "গুটি গুটি পায়ে" গান গাইছে, আর রফিক নাচছে প্যারা নিয়া। তাতেই তার ফলোয়ার হলো এক লাখ!
শেষমেশ সে গ্রামের প্রথম "অফিসিয়াল ইনফ্লুয়েন্সার" হিসেবে মান্যতা পেলো। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সে বলে, “আমি এখন