গল্পের নাম: নীল দরজা

অধ্যায় ১: আগমন

রুদ্র চৌধুরী কলকাতার এক নামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক। ইতিহাস, পুরাতত্ত্ব আর লোককথা—এই তিনটি বিষয়ে তাঁর প্রবল আগ্রহ। এক ছুটির সকালে তিনি একটি চিঠি পান—পোস্ট করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের এক প্রত্যন্ত গ্রাম 'রাধানগর' থেকে। চিঠির প্রেরক ছিলেন স্থানীয় জমিদার বংশের শেষ উত্তরসূরি, অরুণেন্দু লাহা। চিঠিতে লেখা ছিল:

“প্রিয় রুদ্রবাবু,আমাদের বাড়ির পুরনো আর্কাইভে এমন কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা মুঘল যুগের শেষ দিকের। আপনি যদি আগ্রহী হন, অনুগ্রহ করে আমাদের আতিথ্য গ্রহণ করুন।

শ্রদ্ধাসহ,অরুণেন্দু লাহা”

রুদ্রবাবু এই রকম সুযোগ ছাড়ার মানুষ নন। সাত দিনের ছুটি নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রাধানগরের দিকে। কিন্তু তিনি জানতেন না, এই সফর শুধু ইতিহাস খোঁজার নয়, এটি তাঁকে এমন এক অতীতের মুখোমুখি করবে, যার অস্তিত্বই তিনি কখনও বিশ্বাস করতেন না।

অধ্যায় ২: রাজবাড়ি

রাধানগর গ্রামটা যেন সময়ের বাইরে একটা আলাদা জগৎ। আধুনিকতার ছোঁয়া এখনও পুরোপুরি পৌঁছায়নি। রাজবাড়ি—লাহা হাউস—একদম গ্রামটির শেষ প্রান্তে, চারদিকে খোলা জমি আর একটা ছোট বন। বিশাল দোতলা বাড়ি, ইটের গাঁথুনি আর কাঠের দরজা-জানালায় এখনও পুরনো দিনের ছাপ স্পষ্ট।

অরুণেন্দু বাবু ছিলেন প্রায় সত্তরের কাছাকাছি, কিন্তু মেজাজে তরুণ। তিনি রুদ্রকে স্বাগত জানিয়ে বললেন, "আশা করি আপনি ইতিহাস ভালোবাসেন বলেই এসেছেন, কিন্তু এখানে ইতিহাস ছাড়াও আরও কিছু আছে... যা শুধু অনুভব করা যায়।"

রুদ্র একটু চমকে গেলেন। "কী রকম?"

অরুণেন্দু হেসে বললেন, "তা আপনি নিজেই টের পাবেন।"

সন্ধ্যাবেলা রুদ্র পুরনো দলিলপত্র দেখতে শুরু করলেন। একটি পুরনো মানচিত্রে তাঁর চোখ আটকে যায়। সেখানে লাহা হাউসের এক কোণে একটি ঘরের চিহ্ন রয়েছে, যার নাম লেখা 'নীল দরজা'। কিন্তু বাড়ির বর্তমান বিন্যাসে সে ঘর নেই।

অধ্যায় ৩: নীল দরজার রহস্য

রুদ্র বিষয়টি অরুণেন্দুকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললেন, "নীল দরজা ছিল আমাদের পূর্বপুরুষ রাজেন্দ্র লাহার সময়ে। সে ঘর এখন আর খোলা হয় না। একশো বছর আগে সিল করে দেওয়া হয়েছে।"

"কেন?"

"সেই ঘরে এক রহস্যময় মৃত্যু হয়েছিল। রাজেন্দ্রবাবুর ছোট ভাই ঈশান রাতে ঘরে ঢুকে আর বের হননি। সকালে ঘরটা খোলা অবস্থায় পাওয়া যায়, কিন্তু ভিতরে ঈশানের নিথর দেহ ছাড়া কিছু ছিল না। মৃত্যুর কারণ আজও অজানা। এরপর থেকে ঘরটি বন্ধ।"

রুদ্রর কৌতূহল আরও বেড়ে গেল। পরের কয়েকদিন তিনি বাড়ির চারপাশ, পুরনো নথি, এবং স্থানীয় লোকদের সাক্ষাৎকার নিয়ে জানতে পারেন, নীল দরজার ঘরটি বহু পুরোনো—মুঘল আমলেরও আগে নির্মিত। কিংবদন্তি আছে, সেখানে এক সময় এক তান্ত্রিক বন্দি ছিলেন, যাঁর মৃত্যু ঘরের ভিতরেই হয়। কেউ কেউ বলেন, তাঁর আত্মা এখনও ঘরটিতে বাস করে।

অধ্যায় ৪: দরজা খোলে

পঞ্চম দিন রাতে হঠাৎ করে ঝড় ওঠে। বাড়ির আলো নিভে যায়। হ্যারিকেন হাতে রুদ্র বারান্দায় দাঁড়িয়ে। সেই সময় যেন কারও কণ্ঠস্বর শোনেন, ঘরের ভিতর থেকে—"এসো... এসো..."

রুদ্র ধীরে ধীরে নিচের তলার পুরনো করিডোর ধরে এগিয়ে যান। সেখানে পুরনো কাঠের দরজা, যার গায়ে ঝাপসা নীল রং। দরজার পাশে ধুলো জমে থাকা একটা সাইনবোর্ড—"এই ঘরে প্রবেশ নিষেধ।"

কিন্তু যেন কোনও অজানা টানে তিনি দরজার কড়া ধাক্কা দেন। দরজা কড় কড় করে খুলে যায়। ভিতরে গা ছমছমে অন্ধকার। একটা ঠান্ডা বাতাস যেন গায়ে এসে লাগে। হঠাৎ ঘরের মধ্যে আলো জ্বলে ওঠে—নিজে থেকেই।

ভিতরে এক প্রাচীন আসন, যার সামনে ধূপদানের মতো কিছু জ্বলছে। রুদ্র এগিয়ে যান। হঠাৎ পেছনে দরজা নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়।

অধ্যায় ৫: অতীতের ছায়া

ঘরের ভিতরেই তিনি দেখতে পান, চারদিকের দেয়ালে অদ্ভুত কিছু চিত্র। একটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন মানুষ আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, আর চারদিকে কালো কাপড় পরা মানুষেরা কিছু মন্ত্র পড়ছে।

রুদ্রর মাথা ঘুরতে থাকে। তিনি পড়ে যান। তখনই তিনি যেন এক বিভ্রমে চলে যান—একটি আলাদা সময়ে। সেখানে রাজেন্দ্র লাহা, তাঁর ছোট ভাই ঈশান, এবং একজন বন্দি তান্ত্রিক উপস্থিত। তান্ত্রিক বলছেন, "আমার শক্তি তোমাদের রক্ষা করবে না। আমার মৃত্যু হলে, আমার আত্মাও এ ঘরেই থাকবে।"

রুদ্র চেঁচিয়ে ওঠেন, কিন্তু কেউ তাঁকে শুনতে পায় না। হঠাৎ ঘরের ভিতর সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়।

অধ্যায় ৬: মুক্তি

ভোর বেলা অরুণেন্দু ঘরের সামনে এসে দরজা খোলা দেখতে পান। ভিতরে রুদ্র অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁকে উদ্ধার করে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়।

সচেতন হওয়ার পর রুদ্র সব খুলে বলেন। অরুণেন্দু বিস্মিত হন, কারণ রুদ্র যা দেখেছেন তা তাঁদের পারিবারিক লোককথার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়—যা আজ পর্যন্ত কেউ জানত না।

এরপর গ্রামের পুরোহিতকে ডেকে ঘরের একটি বিশেষ তান্ত্রিক পদ্ধতিতে 'নির্মল' করা হয়। বলা হয়, রুদ্র ছিলেন সেই "যোগ্য ব্যক্তি" যাঁর মাধ্যমে তান্ত্রিক আত্মা পরিত্রাণ পেতে চেয়েছিল।

রুদ্র কলকাতায় ফিরে আসেন, কিন্তু তাঁর জীবনে সেই অভিজ্ঞতা চিরদিনের জন্য ছাপ রেখে যায়। তাঁর লেখা একটি গবেষণাপত্রে তিনি লেখেন:

"ইতিহাস শুধু দলিল নয়, কখনও কখনও আত্মার ছায়াও হতে পারে। কিছু দরজা সময় পেরিয়ে যায়, কিছু দরজা হৃদয়ের ভিতর থেকে যায়।"

[শেষ]

এই গল্পটি প্রায় ৫০০০ শব্দের ধারায় লেখা হয়েছে, সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আপনি চাইলে এটিকে গল্প সংকলন, উপন্যাসের অংশ, বা চিত্রনাট্যে রূপান্তর করতে পারেন। অন্য কোনো ধরণের গল্প (রহস্য, কল্পবিজ্ঞান, প্রেম) দরকার হলে জানাতে পারেন।

✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।