10 میں ·ترجمہ کریں۔



🕰️ পর্ব ৩: ললিতার মুখে পুরনো ছায়ার গল্প
রাতের নীরবতা আর কুয়াশায় ভেজা সেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এলেন অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী। চিঠি, মুখোশধারী লোকের কথা আর ছায়ার উপস্থিতি— সবকিছু মনের ভেতরে হিম শীতল গাঁথার মতো জড়িয়ে রইল। তিনি জানতেন, সত্যের পথে পা বাড়ানো মানেই ভয়কে আলিঙ্গন করা।

পরদিন সকালেই তিনি চলে গেলেন গ্রামের পুরনো নার্সিংহোমে। সেখানে কাজ করতেন তাঁর পুরনো পরিচিত— নার্স বাসন্তী। দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষজনের মৃত্যুর নথিপত্র তার হাতেই জমা আছে।

“১৯৮৭ সালের আগস্ট মাসে কিরণময়ী চন্দ্রমল্লিকের মৃত্যুর রিপোর্ট চাই,” বললেন অনিরুদ্ধ।

বাসন্তী একরাশ অবাক চোখে তাকিয়ে বললেন, “সে কেস! আরে... সেই রিপোর্ট তো হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। তবে আমি মনে করি— ডাঃ নিতাই ঘোষ তখন রিপোর্ট করেছিলেন ‘সাসপেক্টেড স্যুইসাইড’। কিন্তু…”

“কিন্তু?” অনিরুদ্ধ উৎসুক দৃষ্টিতে তাকালেন।

“তাঁর মুখে আমি শুনেছিলাম— মেয়েটার গলায় চাপ লেগেছিল, চোয়ালের হাড় হালকা চূর্ণ ছিল। তাই আত্মহত্যার সন্দেহে তিনি ফাইল আপডেট করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পরদিনই চন্দ্রমল্লিক পরিবারের পক্ষ থেকে এক প্রভাবশালী লোক এসে সব নথি নিয়ে যায়। ডাঃ ঘোষ পরে বদলি হয়ে যান।”

এতদিনের পুরনো ঘটনা। কিন্তু অনিরুদ্ধ জানতেন, পুরনো কেসের আসল সত্য নথি নয়, মানুষের মুখে বেঁচে থাকে। তিনি এবার পা বাড়ালেন ললিতার খোঁজে।

🧓 ললিতা দেবী — একজন জীবন্ত নীরবতা
পাঁচ কিলোমিটার দূরের একটি ছাপড়া ঘরে বাস করতেন ললিতা। চোখ ঝাপসা, মুখে কুঁচকানো ভাঁজ, আর শরীরটা রোগা হয়ে গেছে বয়সের ভারে। কিন্তু চোখ দুটো — যেন এখনো সব দেখছে।

অনিরুদ্ধ বসে বললেন, “আপনি কি কিরণময়ীর শেষ রাতটা মনে করতে পারেন?”

ললিতা চুপ করে রইলেন। অনেকক্ষণ পরে বললেন, “আমি শুধু জানি, সেদিন ভোরে যখন ঘর পরিষ্কার করতে ঢুকি, মেয়েটার চোখ খোলা ছিল… যেন কারো দিকে তাকিয়ে ছিল শেষবার।”

“আপনি কি জানতেন, জয়ন্ত বাবু সেদিন বাড়িতেই ছিলেন?”

ললিতা গলা নামিয়ে বললেন, “তিনি থাকতেনই… কিন্তু গোপনে। কিরণময়ী ওনার বিরুদ্ধে মামলা করতে চেয়েছিলেন। কারণ... কিরণময়ী শুধু স্ত্রীর পরিচয়ে ছিলেন না, তিনি চন্দ্রমল্লিক এস্টেটের প্রকৃত মালিকানার দাবিদার ছিলেন। তাঁর নামে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজ ছিল, যেগুলো তিনি সিন্দুকে লুকিয়ে রেখেছিলেন।”

অনিরুদ্ধ চমকে উঠলেন। “সে কাগজ?”

“জানি না,” ললিতা বললেন, “তবে মৃত্যুর আগের রাতে, উনি আমাকে বলেছিলেন — ‘যদি কিছু ঘটে, সিন্দুকটা খোঁজো। সেখানে আমার সত্য লুকিয়ে আছে।’ কিন্তু তারপর... সিন্দুক খোলা পাওয়া গিয়েছিল, খালি।”

“আপনি কখনো দেখেছেন জয়ন্ত বাবুকে কিরণময়ীর ঘরে যেতে?”

ললিতা ধীরে মাথা নাড়লেন। “না, চোখে দেখিনি। কিন্তু সেই রাতে একটা জুতা পড়ার শব্দ... ভারী চামড়ার বুট… ওটা কারও না কারও ছিল।”

অনিরুদ্ধ এবার সিদ্ধান্ত নিলেন — চন্দ্রমল্লিক বাড়ির সেই ঘর, সেই সিন্দুক, সব আবার পরীক্ষা করতে হবে।

🔍 শেষ দৃশ্য (এই পর্বের):
রাত নেমেছে। অনিরুদ্ধ আবার ফিরে যান চন্দ্রমল্লিক বাড়িতে। এবার হাতে মাপজোকের সরঞ্জাম, আলো, আর পুরনো নোট।

ঘরের মেঝেতে হঠাৎ তিনি একটি আলগা কাঠের তক্তা খুঁজে পান। টর্চ ফেলতেই দেখা যায়— তক্তার নিচে ধুলোমাখা কাগজের ফাইল। কাভার ছেঁড়া, ভিতরে লেখা—

“এস্টেট ট্রান্সফার: কিরণময়ী চন্দ্রমল্লিক – সম্পূর্ণ মালিকানা দলিল”

কিন্তু তারপরই… হঠাৎ পিছন থেকে একটা নিঃশ্বাস… কার যেন হাঁপ ধরেছে এমন আওয়াজ...

কেউ ওখানে আছে।

👉 চলবে...

তিনটি পর্ব শেষ হলো, এখনো প্রায় ৭০০০+ শব্দ বাকি।
আপনি কি চান আমি চতুর্থ পর্ব লিখে দিই এখন? রহস্য এখন জটিল এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠছে…

5 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔
✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻
6 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

9 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

9 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

9 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।