আজকের আধুনিক যুগ প্রযুক্তিনির্ভর। প্রতিদিন আমাদের জীবন যাত্রা, কাজের ধরণ এবং চিন্তাভাবনা প্রযুক্তির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, কম্পিউটার, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ইত্যাদি আজ মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রযুক্তির উন্নতির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুত হয়েছে। আগে যেখানে কোনো সংবাদ পৌঁছাতে সময় লাগতো দিনের পর দিন, এখন সেটি ঘটে কয়েক সেকেন্ডেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ একে অপরের সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত হতে পারছে।
শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রযুক্তির প্রভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনলাইন ক্লাস, ই-লাইব্রেরি, ভার্চুয়াল ল্যাব—এসব কিছুই শিক্ষাকে আরও সহজ ও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। এমনকি গ্রামীণ এলাকার শিক্ষার্থীরাও এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে।
তবে প্রযুক্তির ব্যবহার শুধু সুবিধাই বয়ে আনছে না, কিছু সমস্যাও সৃষ্টি করছে। মানুষ দিন দিন প্রযুক্তির উপর এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে যে বাস্তব জীবন থেকে অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছে। সামাজিক সম্পর্ক দুর্বল হচ্ছে, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ক্ষেত্রে মোবাইল আসক্তি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবুও প্রযুক্তিকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। এর সদ্ব্যবহার আমাদের জীবনের মান উন্নত করতে পারে, তেমনি অপব্যবহার আমাদের সমাজের জন্য হুমকি হতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা এবং সচেতন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে আমরা আশীর্বাদে রূপান্তর করতে পারি।
অতএব, প্রযুক্তি আমাদের জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ। এটি আমাদের জীবনকে যেমন গতিময় করেছে, তেমনি নতুন সম্ভাবনার দিগন্তও উন্মোচন করেছে। এখন আমাদের হাতে সিদ্ধান্ত—আমরা প্রযুক্তিকে কীভাবে ব্যবহার করব।

Mst Jannat
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?
Saymon Ahmed
Love
1
· 9 m
1 Reply
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?