🌿 খান বাড়ি – (নায়িকার বাড়ি)
চৌধুরী বাড়ি থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে, ধানখেত ঘেরা একটা শান্ত গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত খান বাড়ি। একতলা, সাদা রঙের ঘরটির চারপাশজুড়ে রঙিন ফুলের বাগান, যেন প্রতিটি সকাল এখানে নতুন করে জেগে ওঠে।
বাড়ির সামনে লতানো বউলাগাছ আর কাঠের দোলনা, যেটা মেহনুর ছোটবেলা থেকে দুলে দুলে স্বপ্ন দেখে এসেছে। দোলনার নিচে দুপুরের রোদে পড়ে থাকে তার প্রিয় বই, বা আধখাওয়া কাঁচা আম।
খান বাড়ির উঠোনে এখনো কুয়ো আছে, যেখান থেকে পানি তোলে নায়িকা নিজ হাতে, আর ভোরে মা আজান শুনে ফুল তোলে নামাজের আগে। গাছের ডালে ঘুঘু বসে, ছাদে হাঁটে পায়রা, আর সন্ধ্যার পরে আলো জ্বলে হ্যারিকেনের মত করে—সব কিছুতেই এক অদ্ভুত শান্তি।
---
এই দুটি বাড়ির পরিবেশই যেন দুইটি আলাদা জগৎ—একটি রহস্যময়, প্রভাবশালী আর নিঃশব্দে শক্তিশালী... আরেকটি কোমল, উষ্ণ, অথচ গোপন ব্যথায় ভরা।
_______(লেখিকা: Mehruma Mehnur Nur) _______
আশরাফ চৌধুরী – চৌধুরী পরিবারের প্রধান ব্যবসায়ী। বছর ছাপ্পান্নের এই পুরুষটি শহরের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের একজন। তার হাতের নিচে একাধিক শিল্পকারখানা, জমিজমা আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাম্রাজ্য। তার ব্যক্তিত্ব গুরুগম্ভীর, কাজে নিষ্ঠাবান, এবং অটল সংকল্পের অধিকারী। হাসি কমই ফুটে তার মুখে। আশরাফের চোখে একজন ব্যবসায়ীর তীক্ষ্ণ বিচক্ষণতা এবং পরিবারের প্রতি গভীর দায়িত্ববোধ রয়েছে। আশরাফ চৌধুরীর দুটো ছেলে। বড় ছেলে ফারিশ যে লন্ডনে পড়াশুনা শেষ করে বর্তমানে বাবার বিজনেস দেখাশুনা যা বর্তমানে নাম্বার ওয়ানে এসে দাঁড়িয়েছে।তবে তার আরও একটি পরিচয় আছে..!!
সেটা গল্পে টুইস্ট আনবে। ছোট ছেলে ফাইয়াজ বয়েস 7 বছর। ক্লাস ওয়ানে পড়ে। অনেক চঞ্চল ও মেধাবী। দেখতে খুবই কিউট। 🥰
আয়শা চৌধুরী – আশরাফের সহধর্মিণী, ধীরস্বভাব, কোমলমতি, কিন্তু তার মাঝে আছেন এক কঠোর মা যিনি পরিবারকে সব সময় একত্রিত রাখেন। ব্যবসার জগতের ঝাঁজায় ব্যস্ততার মাঝে তাঁর উপস্থিতি চৌধুরী বাড়ির শান্তির বাতাস। তিনি তার ছেলেদের জন্য একজন স্নেহময় মায়ের মতো, যিনি নরম হৃদয়ের ছোঁয়ায় কঠিন বাস্তবতাকে ম্লান করেন।