🌆 ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার পুনর্নির্মাণের গল্প (বাংলায়)
🗓 ঘটনা: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১
সেই দিন ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে। দুইটি যাত্রীবাহী বিমান ছিনতাই করে জঙ্গিরা আঘাত হেনেছিল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ারে। মুহূর্তেই ধসে পড়ে দুটি বিশাল ভবন। প্রাণ হারান প্রায় ৩,০০০ মানুষ।
🏗️ কীভাবে পুনরায় গড়ে তোলা হয় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার?
১. পরিকল্পনা শুরু (২০০২–২০০৩):
২০০২ সালেই শুরু হয় নতুন একটি ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কমপ্লেক্স তৈরি করার পরিকল্পনা।
নতুন ডিজাইনের মূল প্রতীক হিসেবে স্থির হয় একটি বিশাল টাওয়ার — যেটাকে পরে নাম দেওয়া হয় One World Trade Center (বা Freedom Tower)।
২. প্রতিযোগিতা ও ডিজাইন নির্বাচন:
বিশ্বজুড়ে নামকরা আর্কিটেক্টদের মাঝে ডিজাইন প্রতিযোগিতা হয়।
জয়ী হন David Childs এবং Daniel Libeskind।
তাঁরাই নতুন টাওয়ার এবং আশেপাশের কমপ্লেক্সের মূল নকশা তৈরি করেন।
৩. নির্মাণ শুরু (২০০৬):
• ২০০৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনের ভিত্তি স্থাপন শুরু হয়।
• প্রায় ৮ বছর ধরে চলে নির্মাণ।
• ভবনটি বানাতে ব্যবহৃত হয় অতি আধুনিক প্রযুক্তি, যাতে ভবিষ্যতে এমন হামলা হলে এর প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে।
🗼 One World Trade Center (ফ্রিডম টাওয়ার):
• উচ্চতা: ১,৭৭৬ ফুট (৫৪১ মিটার) — এটি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার বছর ১৭৭৬-র স্মৃতিচিহ্ন।
• মেঝে সংখ্যা: ১০৪ তলা।
• উদ্বোধন: ৩ নভেম্বর, ২০১৪।
এটি এখন আমেরিকার সবচেয়ে উঁচু ভবন, এবং সারা বিশ্বের অন্যতম সুরক্ষিত ভবন হিসেবে বিবেচিত।
🕊️ মেমোরিয়াল ও যাদুঘর:
পুরনো টাওয়ার যেখানে ছিল, সেখানে তৈরি হয়েছে National September 11 Memorial & Museum।
দুটি বড় জলাধারে খোদাই করে লেখা আছে সেদিন নিহত হওয়া সব মানুষের নাম।
🔚 উপসংহার:
ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংস হয়ে যাওয়া শুধু একটা ভবন হারানোর গল্প নয় — এটা ছিল পুরো জাতির ওপর একটা আঘাত। কিন্তু তারা হেরে যায়নি। অনেক কষ্ট, পরিকল্পনা আর শক্তি নিয়ে তারা গড়ে তুলেছে একটা নতুন প্রতীক — স্বাধীনতা ও প্রতিরোধের টাওয়ারl

Saymon Ahmed
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟