গল্পের নাম: সম্রাজ্ঞীর ছায়া
১৬২৭ খ্রিস্টাব্দ, আগ্রা দুর্গ।
সম্রাট জাহাঙ্গীরের মৃত্যু হয়েছে। সিংহাসনের দখল নিতে প্রস্তুত একাধিক রাজপুত্র। চারপাশে রাজনীতি, ষড়যন্ত্র আর গুপ্তচরবৃত্তির ছায়া। কিন্তু এই কাহিনীর নায়ক বা নায়িকা কোনও রাজপুত্র নন—বরং একজন নারী, যাকে ইতিহাস ভুলেই গেছে—গুলনওয়াজ বেগম, জাহাঙ্গীরের ছোট রানী, যিনি প্রায় অদৃশ্য থেকেও বদলে দিয়েছিলেন মুঘল ইতিহাসের গতি।
গুলনওয়াজ ছিলেন বুদ্ধিমতী, শান্ত কিন্তু গভীর দৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি জানতেন, শাহজাহানের সিংহাসনে আরোহন জরুরি—কারণ বাকি ভাইয়েরা রাজ্যের জন্য ভয়ানক হুমকি। কিন্তু সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে রানীদের মর্যাদা নষ্ট হতো।
তাই তিনি তৈরি করলেন এক ছায়া-নেটওয়ার্ক—মাঠে নামলেন তার দাসীদের, পুরনো রাজপরিবারভুক্ত নারীদের, এমনকি মেহেদি লাগাতে আসা কাজিনদেরও। তারাই ছিল গুপ্ত বার্তা বহনকারী।
তিনি রাতে বোরখা পরে গোপনে সাক্ষাৎ করতেন আগ্রার অভিজাতদের সঙ্গে, বোঝাতেন কাকে সমর্থন করা উচিত। তার নির্দেশে বাদশাহি কোষাগার থেকে গোপনে টাকা পাঠানো হয় শাহজাহানের সেনাপতি আসাফ খানের কাছে।
অন্যদিকে শাহজাহান তখন ছিল দাক্ষিণাত্যে। এক রাতে একটি বিশেষ বার্তা পৌঁছায় তার কাছে, যাতে শুধু তিনটি শব্দ লেখা ছিল: "আকাশ প্রস্তুত"।
সেই ইঙ্গিতেই শুরু হয় শাহজাহানের বিজয় অভিযান। তিনি ফিরে আসেন, জয় করেন সিংহাসন—কিন্তু কেউ জানে না পর্দার আড়ালে কে ছিল।
শাহজাহান একদিন শুধুমাত্র একটি সোনার কপালে টিপ পাঠান আগ্রার হারেমে। দাসী সেটা গুলনওয়াজের হাতে তুলে দিলে, তিনি শুধু মুচকি হেসে বলেছিলেন:
"ছায়ারা কখনও আলো চায় না—শুধু নিশ্চয়তা চায়, যে আলোর পথে কেউ হাঁটছে।"
গল্পের অন্তরার্থঃ
ইতিহাস প্রায়ই রাজাদের গল্প লেখে। কিন্তু অনেক সময়, যাদের কলম নেই, কণ্ঠ নেই, তারাই ইতিহাস বদলে দেন—নীরবে, ছায়ার মতো।
আপনি চাইলে আমি এই গল্পটিকে উপন্যাসে রূপ দিতে পারি—অধ্যায়ে ভাগ করে, চরিত্র বিস্তৃত করে। আগ্রহী?