আমাদের চাকরি, সমাজ, রাষ্ট্র- প্রতিটি ক্ষেত্রে উর্ধতন কেউ না কেউ রয়েছেন। আর অধস্তন কেউ থাকাটা একেবারেই স্বাভাবিক। অধস্তনদের কাছে তো জবাবদিহির প্রশ্নই ওঠে না, এমন কি ঊর্ধ্বতনদের কাছেও আমরা জবাবদিহি করি না। সমাজ যেন এমনভাবে গড়ে উঠেছে যে, আমরা জবাবদিহি করতে বাধ্য নই। আমাদের সমাজব্যবস্থা আমাদেরকে জবাবদিহির অনুভূতি লালন করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারেনি। পক্ষান্তরে, ঊর্ধতন তো দূরের কথা অধস্তনরাও ইসলামী সমাজে জিজ্ঞাসাবাদ করার অধিকার রাখে। হযরত ওমর (রা) তখন মুসলিম জাহানের প্রতাপশালী খলীফা। তদানীন্তন বৃহৎ পরাশক্তি রোমান ও পারস্য সম্রাটের আতঙ্কের বস্তু তিনি। মসজিদে নববীতে খুতবা দিতে উঠেছেন। গ্রাম্য এক দরিদ্র প্রজা তাকে জবাবদিহিতার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন দৃঢ় ভাষায় :