গল্পের নাম: “সজিদের সততা”
একটা ছোট গ্রামে বাস করত সজিদ নামে এক বালক। সে খুবই সৎ, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান ছিল। গ্রামের সবাই তাকে ভালোবাসত, কারণ সে কখনো মিথ্যা বলত না এবং সবার কাজে সাহায্য করত।
একদিন, সজিদ মাঠে কাজ করার সময় একটি ছোট ব্যাগ খুঁজে পেল। ব্যাগটা খুলে দেখে সে তো অবাক! ভেতরে অনেক সোনার মুদ্রা আর একটি চিঠি। চিঠিতে একজন বৃদ্ধের নাম লেখা ছিল—“হাজি হাফিজুর রহমান”।
সজিদ ব্যাগটা নিয়ে সরাসরি গ্রামের মসজিদের ইমামের কাছে গেল। সব কথা খুলে বলল। ইমাম সাহেব বললেন, “সজিদ, তুমি খুব ভালো কাজ করেছো। আমি জানি, হাজি হাফিজুর রহমান শহর থেকে ফিরে এসেছেন। চলো, আমরা উনাকে ব্যাগটা ফিরিয়ে দিই।”
সজিদ ব্যাগটা ইমাম সাহেবের সঙ্গে হাজির কাছে পৌঁছে দিল। বৃদ্ধ মানুষটি চোখে পানি এনে বললেন,
“বাবা, এ টাকা আমার জীবনের সব সঞ্চয়। আমি ভেবেছিলাম, সব শেষ। আল্লাহ তোমার সততার জন্য তোমাকে অনেক বরকত দেবেন।”
হাজি সাহেব খুশি হয়ে সজিদকে পুরস্কার দিতে চাইলেন, কিন্তু সজিদ বিনয়ের সঙ্গে বলল,
“আমাকে কিছু দিতে হবে না চাচা। এটা আমার দায়িত্ব ছিল।”
গল্পের শিক্ষা:
সততা কখনো হারায় না। সত্য ও ভালো কাজের ফল আল্লাহ নিজেই দেন।