10 ث ·ترجم

ছোট্ট টগর আর জ্ঞানের আলো
একটা ছোট্ট গ্রামে, যার নাম ছিল সোনারপুর, বাস করত টগর নামের এক কন্যা। টগর ছিল আট বছর বয়সী, খুব চঞ্চল ও উৎসুক। সে সব সময় জানতে চাইত, সবকিছু কেমন হয়, কেন হয়। গ্রামের সবাই তাকে বলত, "টগর, তোমার জিজ্ঞাসা শিখার আগুন যেন কোনো দিন নিভে না!"

টগরের বাবা ছিলেন একজন শিক্ষক। বাবা তাকে সবসময় বলতেন, "সত্যিই বড় মানুষ হয় সে, যে জ্ঞান অর্জন করে আর তা দিয়ে মানুষের কল্যাণ করে।"

একদিন টগর স্কুল থেকে ফিরে এসে তার বাবাকে বলল, "বাবা, আমি কি বড় হয়ে মানুষের জন্য কিছু ভাল করতে পারব?"

বাবা হাসিমুখে বললেন, "অবশ্যই পারবে, কিন্তু তার জন্য তোমাকে প্রথমে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে।"

জিজ্ঞাসার শুরু
টগর নিজেকে একদিন বলতে শুরু করল, “আমি কীভাবে বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারি?”

সে গিয়ে গ্রাম থেকে ছোটো একটা বইয়ের দোকান থেকে বই কিনল। বই পড়তে পড়তে টগর বুঝতে পারল, বই থেকে শেখার আনন্দ অপার। তার জীবনে জ্ঞানের আলো জ্বলে উঠল।

একদিন স্কুলে নতুন শিক্ষক এলেন। তার নাম ছিল স্যার রুহুল। স্যার রুহুল সবাইকে বললেন, “জ্ঞান এমন একটি আলো, যা কখনো নিভে না, যত বেশি শিখবে ততই তোমাদের জীবন সুন্দর হবে।”

স্যার রুহুলের কথাগুলো টগরের মনে গভীর ছাপ ফেলল। সে প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে এসে নতুন কিছু শেখার জন্য চেষ্টা করতে লাগল।

ছোট্ট সমস্যার সমাধান
একদিন টগর দেখতে পেল, গ্রামের পাশের নদীটা ধীরে ধীরে স্লাজে (কাদায়) ভর্তি হচ্ছে। মাছও কমে যাচ্ছে। গ্রামে সবাই চিন্তিত।

টগর ভাবল, "কী করলে নদীটা পরিষ্কার রাখা যায়?"

সে গ্রামে বড়দের কাছে গেল এবং বলল, "আমরা যদি সবাই মিলে নদীর ধারে ময়লা ফেলতে না দেই, তাহলে নদী পরিষ্কার থাকবে।"

গ্রামের সবাই প্রথমে একটু অবাক হল, কিন্তু টগরের কথা শুনে ধীরে ধীরে সবাই নদীর পরিচ্ছন্নতার জন্য কাজ শুরু করল।

জ্ঞানের গুরুত্ব
টগর যখন বড় হচ্ছিল, তখন সে বুঝতে পারল যে শুধু বই পড়া নয়, বাস্তব জীবনের সমস্যা বুঝে সমাধান করাই আসল জ্ঞান।

সে গ্রামের বাচ্চাদের জন্য একটা ছোটো পাঠশালা খুলল, যেখানে শুধু পড়াশোনা করানো হতো না, বরং জীবনের সমস্যার কথা বলা হতো।

সেখানে টগর বাচ্চাদের বলত, "জ্ঞান মানে কেবল বইয়ের কথা নয়, জ্ঞান মানে জীবনকে সুন্দর করে তোলা।"

বন্ধুত্ব এবং সহমর্মিতা
একদিন স্কুলে নতুন এক ছেলেমেয়ের পরিচয় হলো — নাম আরিফ। সে অন্য গ্রাম থেকে এসেছিল এবং বাংলা খুব ভালো বলতে পারত না। সবাই তাকে একটু অবজ্ঞার চোখে দেখত।

টগর আরিফকে সাহায্য করল। তাকে বাংলা শিখাল, সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বিষয়েও সাহায্য করল।

টগরের এই সহানুভূতি দেখে অন্য ছেলেমেয়েরাও আরিফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করল।

টগর শিখেছিল, “জ্ঞান থাকলেই হয় না, সহানুভূতিও থাকতে হবে।”

কঠিন সময়ে সাহস
একদিন সোনারপুরে একটি বড়ো বন্যা এল। নদীর পানি বাড়তে শুরু করল, সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ল।

টগর হার মানল না। সে গ্রামের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে বন্যার প্রভাব কমানোর চেষ্টা করল।

সে সবাইকে সতর্ক করল, উদ্ধারকাজে সাহায্য করল, আহতদের সেবা করল।

বন্যা শেষ হলে গ্রামের সবাই টগরকে ধন্যবাদ দিল, কারণ তার সাহস আর উদ্যোগে অনেক মানুষের জীবন বাঁচল।

বড় স্বপ্ন
বছর কেটে গেল, টগর বড় হয়ে গিয়েছিল। সে একজন শিক্ষিকা হয়ে নিজের গ্রামে ফিরে আসল। সে গ্রামে নতুন নতুন পাঠশালা খুলল, যেখানে ছেলে-মেয়েরা সবার জন্য শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ল।

একদিন টগর নিজের বাচ্চাদের সামনে বলল, "জ্ঞান অর্জন করো, মানুষ হও, অন্যদের সাহায্য করো। তোমাদের হাতেই আগামী পৃথিবীর সুন্দরের চাবিকাঠি।"

গ্রামবাসীরা টগরের কথা শুনে উৎসাহিত হল।

গল্পের শিক্ষণীয় দিকসমূহ
১. জিজ্ঞাসা করো, জানার আগুন নিভে যাক না: টগর থেকে আমরা শিখলাম, ছোট বয়স থেকেই কৌতূহল থাকাটা খুব জরুরি। নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা সবসময় বজায় রাখতে হবে।

২. জ্ঞান অর্জন মানুষের উন্নতির পথ: টগরের বাবার মতো শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা মানেই জীবনের পথ সুগম করা।

৩. সমাজের জন্য কাজ করা: টগর যখন নদীর পরিচ্ছন্নতার জন্য কাজ করল, তখন বুঝলাম যে নিজের জ্ঞান ব্যবহার করে সমাজের কল্যাণে কাজ করাটাই আসল শিক্ষা।

৪. সহানুভূতি এবং বন্ধুত্ব: আরিফের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে টগর দেখাল, জ্ঞান ছাড়াও হৃদয় ভালো রাখতে হবে।

৫. সাহসের গুরুত্ব: বন্যার সময় টগরের সাহস জীবন বাঁচাল, যা শিক্ষা দেয়, কঠিন সময়ে সাহস হারাতে হয় না।

৬. বড় স্বপ্ন দেখা এবং বাস্তবে পরিণত করা: টগরের মতো বড় স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চললেই সমাজ উন্নত হয়।

✨🌸…!🖤🥀
-স্বার্থ যেখানে শেষ,
– বদনাম সেখান থেকে শুরু…!! 🙂🥀
🖤•─┼┼•🖤
000●━━━━━━━━━━━━● 042
⇆ㅤㅤㅤㅤ. ◁ㅤㅤ❚❚ㅤㅤ▷ㅤㅤㅤㅤ↻

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন। এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

পরিশেষে বলা যায়, লজ্জাপতি গাছ একটি সহজলভ্য অথচ অত্যন্ত কার্যকর ঔষধি উদ্ভিদ। তবে যেকোনো প্রাকৃতিক ঔষধ ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করা উত্তম, বিশেষ করে যদি আপনি আগে থেকে কোনো ওষুধ সেবন করেন বা স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে।

ত্বকের নানা রোগ যেমন একজিমা, চুলকানি বা ফোঁড়ার ক্ষেত্রেও এটি দারুণ কার্যকর। পাতার পেস্ট করে আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করলে আরাম মেলে এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যায়।

এই গাছ ঘুমের সমস্যা ও মানসিক অস্থিরতা কমাতেও সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, লজ্জাপতিতে সেরোটোনিন নামক উপাদান থাকে, যা মস্তিষ্কে প্রশান্তি এনে ঘুমের উন্নতি ঘটায়।