বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যাবেলা
সন্ধ্যাবেলা। আকাশজোড়া মেঘ। হালকা বাতাসে পাখার মতো দুলে উঠছে কাশফুলের গুচ্ছ। শহরের কোলাহল থেকে খানিকটা দূরে, শীতলক্ষ্যার ধারে পুরনো এক গ্রামের নাম চন্দ্রপুর। এ গ্রামে এখনো শহরের ছোঁয়া পুরোপুরি লাগেনি। এখানকার মানুষের দিন কাটে প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে।

এই গ্রামে থাকে সায়মা। বয়স পঁচিশ, সদ্য এম.এ শেষ করে ফিরে এসেছে ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লেখাপড়ার ফাঁকে তার সবচেয়ে প্রিয় সময় ছিল বৃষ্টি—আর সেই বৃষ্টির সন্ধ্যাবেলা।
আজও সেই রকমই এক সন্ধ্যা। মেঘলা আকাশ, মাঝে মাঝে বিজলির ঝলকানি। সায়মা বারান্দায় বসে আছে, একটা পুরনো ডায়েরি হাতে। ভেতরে লেখা তার শৈশবের নানা স্মৃতি, কিছু কবিতা, কিছু অসমাপ্ত গল্প।

এক সময় বৃষ্টি শুরু হলো—মাঝারি বেগে, যেন মাটির গন্ধে ভিজে নেমে এলো শীতল সুখ। এই বৃষ্টির ভেতরেই ফিরে এল এক পুরনো চেনা মুখ—সাজিদ।

সাজিদের সাথে সায়মার পরিচয় ছিল স্কুলজীবন থেকে। সে ছিল গ্রামেরই ছেলে, তবে পরিবারটা অভাবী। খুব মেধাবী হলেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়নি। লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে সে এখন ঢাকায় একটা ছোট চাকরি করে। ছুটিতে গ্রামে ফিরেছে, শুনেছে সায়মাও এসেছে।

সায়মাকে দেখতে পেয়ে হঠাৎ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল সাজিদ।
"সায়মা!"
সায়মা তাকিয়ে দেখে, ছেলেটা কেমন যেন পাল্টে গেছে। চোখে পরিণতির ছাপ, মুখে একটা নরম হাসি।

"তুই!" সায়মার কণ্ঠে বিস্ময়।
"তুই তো এখন শহরের মানুষ। গ্রামের এই মেঘলা সন্ধ্যাবেলায় তোর কি মন বসে?"

সাজিদ একটু হাসল। "বৃষ্টি যে পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনে। তোর কথা মনে পড়ল, তাই চলে এলাম।"

তারা দুজন বারান্দায় বসে গল্প করতে শুরু করল। চারদিকে কেবল বৃষ্টির শব্দ আর মাঝে মাঝে রিকশার ঘণ্টা। সায়মার মা দু’কাপ চা আর পেঁয়াজু এনে রাখলেন। যেন পুরনো দিনের সেই বিকেলগুলো ফিরে এসেছে।

সাজিদ বলল, “তুই কি এখনো লিখিস?”

সায়মা ডায়েরি দেখিয়ে বলল, “লিখি। কিন্তু ছাপানোর সাহস হয়নি কখনো। শহরের মানুষ অন্যরকম। তারা গ্রাম আর বৃষ্টির গন্ধ বোঝে না।”

সাজিদ চুপ করে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বলল, “তুই জানিস, তোর লেখাগুলোই আমাকে সাহস দিত। আমি তখন কলেজে পড়ি, টিফিন পিরিয়ডে তোর লেখা পড়তাম। মনে হতো, এই গ্রামের মানুষও স্বপ্ন দেখতে পারে।”

সায়মার চোখে জল এসে গেল। এত বছর পর এমন কথা কে বলবে?

বৃষ্টির ফোঁটাগুলো তখনও নেচে চলেছে টিনের ছাদে, গাছের পাতায়, উঠানের মাটিতে।

সন্ধ্যা আরও গাঢ় হলো। চারদিকে আধার নামতে লাগল। বিদ্যুৎ চলে গেল। কেরোসিনের ল্যাম্প জ্বালানো হলো ঘরে। আলো-আঁধারির মাঝে তাদের গল্প আরো গভীর হতে লাগল।

সায়মা হঠাৎ বলল, “তুই কি জানিস সাজিদ, আমি সবসময় ভাবতাম—এই গ্রামের ছেলেটা, যে শহরে গিয়ে অন্যরকম হতে পারত, সে কেন গেল না?”

সাজিদ একটু হেসে বলল, “আমার মা তখন অসুস্থ ছিল, বাবাও নেই। চাকরি না করে উপায় ছিল না। কিন্তু তুই জানিস, আমি কখনো তোর মতো মানুষ হতে পারিনি। তোর মধ্যে ছিল এক রকম নেশা—যেটা এই বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যার মতো, ধীর অথচ গভীর।”

সায়মার মুখে লাজুক হাসি। অতীত আর বর্তমান যেন এক হয়ে যাচ্ছে এই বৃষ্টির ছোঁয়ায়।

অল্পক্ষণ পর সাজিদ বলল, “চল, তোকে একটা জায়গা দেখাই। ছোটবেলায় আমরা যেখানে খেলা করতাম, নদীর ধারে। এখনও সেই জায়গাটা একই আছে।”

সায়মা একটু ইতস্তত করল, কিন্তু শেষমেশ রাজি হলো। ছাতার নিচে দুজনে হাঁটতে লাগল বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে, কাদামাটিতে পা ডুবিয়ে।

নদীর পাড়ে এসে দাঁড়াল তারা। সন্ধ্যা তখন একেবারে রাতের দোরগোড়ায়। চারদিকে কুয়াশা আর বৃষ্টির পর্দা। সাজিদ পকেট থেকে একটা ছোট্ট খাম বের করল।

“তোর জন্য এনেছি,” বলল সে।

সায়মা খামটা খুলে দেখল—একটা কবিতা, তার নিজের লেখা, যা সে অনেক বছর আগে স্কুল ম্যাগাজিনে ছেপেছিল। সাজিদ সেটা এখনো রেখে দিয়েছে।

সায়মার চোখে জল। “তুই এটা রেখে দিয়েছিস?”

“তুই বুঝিস না সায়মা,” সাজিদ বলল ধীরে, “তুই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর অনুভবগুলোর একটা। বৃষ্টি যেমন শুকনো মাটিকে জাগিয়ে তোলে, তেমনি তুই আমার ভেতরের স্বপ্নগুলোকে বাঁচিয়ে রেখেছিলি।”

চারপাশে বৃষ্টি থেমে এসেছে। এখন শুধু মাটির গন্ধ, নদীর গর্জন, আর ভেজা বাতাস। হঠাৎ এক ঝলক বিদ্যুৎ চমকালো, মুহূর্তেই অন্ধকার।

এই অন্ধকারেই, দুজনে দাঁড়িয়ে রইল একসাথে, অনেক না বলা কথা বুকের ভিতর জমিয়ে।

সেদিনের বৃষ্টি নেশা ভরা সন্ধ্যাবেলায় কিছুই বদলায়নি—শুধু দুটো মন আরও কাছাকাছি এসেছে।

একটা সময় ছিল, যখন যেকোনো সম্পর্কের সাথে নিজেকে আকড়ে রাখতে চাইতাম। নিজের সবটুকু দিয়ে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতাম। যত্নবান ছিলাম খুব। কিন্তু দিন শেষে সেই আকড়ে ধরা সম্পর্কগুলো থেকেই সবচেয়ে বেশি দুঃ'খ পেয়েছি!

আমার জীবনেও প্রেম এসেছিল। যাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম। নিজের সবটুকু দিয়ে তাকে আকড়ে রেখেছিলাম, খুব সোহাগে আদরে। নিজের অস্তিত্ব ভুলে তাকেই নিজের অস্তিত্ব বানিয়ে ছিলাম। যার জন্য দিনশেষে নিজেকে আর খুঁজে পাই নি। এতে করে তার চলে যাওয়াতে আমিই কষ্ট পেয়েছিলাম।

যার হাত ধরে সব কিছু ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেই মানুষটাও বুঝে নি আমায়। সব কিছুর জন্য আমাকেই দোষারোপ করল। নিজেকে মানিয়ে নিতে না পারায় টিকলো না সেও শেষ পর্যন্ত!

এক সময় আমার অনেক বন্ধু ছিল। নিজের ভালোর কথা চিন্তা না করে, ওদের ভালো রাখতে ব্যস্ত ছিলাম। ওদের একটা ডাকে নিজের সবটুকু ঢেলে দিতাম। অথচ আমার বিবর্ণ সময়ে ওদের পাশে পাই নি। খেয়াল করলাম, আমিই ওদের প্রয়োজনের পাত্রই ছিলাম কেবল। প্রিয়জন আর হতে পারি নি।

একটা সময় ছিল, যখন আত্মীয় স্বজনের কাছে খুব প্রিয় ছিলাম। সবাই বলত আমার মতো ভালো আর কেউ হয়ই না নাকি। রূপে গুনে যেন মা লক্ষ্মী! কিন্তু যখন দুঃসংবাদগুলো আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে ধরে ছিল তখন তারাই সবার প্রথমে চোখ বাকিয়ে ছিল!

বাবা মায়ের আদরের ছিলাম খুব। সব সময় মাথায় করে রাখত। অথচ যখন দেখতে পেল আমাকে দিয়ে কিচ্ছু হচ্ছে না আর তখন সেই আমিই যেন তাদের চোখের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে। এখনও মাথায় রাখে, তবে সেটা বোঝা ভেবে!

বিশ্বাসের নামে বিশ্বস্ত মানুষগুলো আমায় চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে ছিল, সবকিছু আমারই ভুল! তাই এখন আর কোনো সম্পর্কের উপর বিশ্বাসটা ঠিক রাখতে পারি না। কাঁচের মতো ভেঙে যাওয়া এই আমি এখন শুধু নিজের উপর বিশ্বাস করতে পারি। কেউ ভালো করতে চাইলে এখন আর বিশ্বাস হয় না বরং তার দিকে মুচকি হেসে “আমি ভালো আছি” বলে পাশ কাঁটিয়ে যাই।
এখন এভাবেই চলছে জীবন আমার, চলুক না!

💞💞"ভালোবাসা হলো এমন এক অনুভূতি যা দেখা যায় না ছোঁয়া যায় না
—কেবল হৃ'দয় দিয়ে অনুভব করা যায়-
💗🥀"

💖💖"তুমি আমার জী'বনের সেই মানুষ যার সাথে কাটানো প্রতিটা মু'হূর্ত স্ব'প্নের মতো সু'ন্দর-💗🥀"

❤️‍🩹❤️‍🩹"ভালোবাসা মানে একস'ঙ্গে থাকার প্রতি'শ্রুতি সুখে-দুঃখে হাত না ছাড়ার অ'ঙ্গীকার-💗🥀"

💑 💑"তোমার একটি হাসি আমার দিনের সব ক্লা'ন্তি দূর করে দেয়-💗🥀"

🌙🌙"তুমি আমার আকাশের চাঁ'দ আমার জী'বনের আলো আমার হৃ'দয়ের স্প'ন্দন-💗🥀"

💝💝"ভালোবাসা কখনো দূ'রত্ব বোঝে না, শুধু বোঝে হৃ'দয়ের টান-💗🥀"

🥰🥰"তোমার ভালোবাসার ছোঁয়ায় আমার পৃ'থিবী বদলে যায় যেন এক নতুন সকাল জ'ন্ম নেয়-💗🥀"

❤️❤️"ভালোবাসা হলো দুটি আ'ত্মার একত্রে পথচলা যেখানে একে অপরের সুখই সবচেয়ে বড় আনন্দ-💗🥀"

🖤🖤"বেঁ'চে থাকুক পৃ'থিবীর সকল ভালোবাসা!

31 m ·Dịch

AFace1 লাইক, কমেন্ট, পোস্ট করে ইনকাম করুন।
এই ভিডিওটি যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image

যদি আপনি দেখেন তাহলে আর কোথাও কারো কাছে জিজ্ঞাসা করা প্রয়োজন হবে না . কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.