8 میں ·ترجمہ کریں۔

গল্পের নাম: চিঠির অপেক্ষা

রাহুল আর নীলা—একই কলেজের দুই ভিন্ন জগতের মানুষ। রাহুল একটু চুপচাপ, বইয়ের পোকা। আর নীলা? সে যেন রঙিন বসন্ত! হাসি, বন্ধু, গল্প—সবকিছুর মধ্যমণি। একদিন কলেজ লাইব্রেরিতে বই নিতে গিয়ে রাহুলের চোখে পড়ে নীলার পড়া এক চিঠি, ভুলে রেখে গেছে।

সাদা কাগজে নীল কালি।
“প্রতিদিন তোমায় না দেখলে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সাহস পাই না কিছু বলতে...”
– লিখেছিল কেউ, নাম নেই।

রাহুল সেই চিঠি নিজের কাছে রেখে দেয়। কৌতূহল হয়—কাকে লেখা? কে লিখেছে?

দিন যায়। রাহুল নীলার আশেপাশেই থাকে, চুপচাপ ভালোবাসায় ভরে ওঠে তার হৃদয়। কিন্তু কখনো বলে না। হঠাৎ একদিন নীলা হারিয়ে যায় কলেজ থেকে, খবর পাওয়া যায় না।

দুই বছর পর, এক বইমেলায় রাহুল একটা ছোট চায়ের দোকানে চিঠির মতন এক নোট খুঁজে পায় –
“তুমি কি সেই রাহুল? যে কখনো কিছু বলেনি, তবু সব বলেছিল চোখে চোখে?”

রাহুল চেয়ে থাকে—সামনেই দাঁড়িয়ে আছে নীলা। চোখে পুরনো হাসি, হাতে সেই কলম যেটা দিয়ে চিঠিটা লেখা হয়েছিল।

এইবার আর রাহুল চুপ থাকে না।
সে বলে ফেলে—“তোমায় আজও ভালোবাসি, নীলা।”

নীলার চোখে জল, ঠোঁটে হাসি।
কখনো কখনো, একটা চিঠিই বদলে দিতে পারে পুরো জীবন।