সুলতান সুলেমান ও হুররাম সুলতানের (রক্সেলানা) প্রেমকাহিনী
৷৷ “দাসীর হৃদয়ে সিংহাসন” ৷৷
সে এসেছিল কাঁদতে কাঁদতে—দূর দেশের এক দাসী, নাম ছিল আলেক্সান্দ্রা।
বিক্রি হয়েছিল অটোমান হারেমে, তুরস্কের রাজপ্রাসাদে।
তখনকার হারেম ছিল রাজার আনন্দের জায়গা, আর মেয়েদের শুধু সৌন্দর্যে বিচার করা হতো।
কিন্তু এই মেয়েটি ছিল ভিন্ন।
চোখে ভয় নয়—ছিল আগুন। আর ঠোঁটে—অভিমান নয়, ছিল ব্যঙ্গ।
সুলতান সুলেমান প্রথম যেদিন তাকে দেখলেন, সে নতমস্তকে সিজদা করেনি।
বরং বলল,
“আমি দাসী হতে আসিনি, আমি তোমার সমান হতে এসেছি। শুধু সময় দাও।”
সুলতান চমকে গেলেন, আর মোহে পড়ে গেলেন।
তার আসল নাম রাখা হল হুররাম—মানে “আনন্দের উৎস”।
সে শুধু প্রিয় হয়নি, ধীরে ধীরে হয়ে উঠল সুলতানের পরামর্শদাতা, বন্ধু, আর জীবনসঙ্গী।
সারা রাজপ্রাসাদ গুঞ্জনে কাঁপল—
"এক দাসী রাণী হয়ে যাচ্ছে!"
কিন্তু হুররামের বুদ্ধিমত্তা, সাহস, আর প্রেমে সুলতান এতটাই আস্থাশীল হলেন যে, তিনি রাজনীতির বড় বড় সিদ্ধান্তে তার মত নিতেন।
আর একদিন, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, অটোমান সুলতান এক দাসীকে রাণী করে তুললেন।
তারা একসঙ্গে লিখতেন কবিতা—
হুররাম লিখতেন সুলতানকে নিয়ে,
আর সুলতান লিখতেন তাঁর হৃদয়ের রানীকে নিয়ে।
এই প্রেম ছিল শাসকের ও শাসিতার নয়—
এই প্রেম ছিল দুই স্বাধীন আত্মার মিলন।
---
শেষ কথা:
এই প্রেম শুধু হারেমে আটকে থাকেনি, ইতিহাসে লেখা হয়ে গেছে।
যে দাসী এসেছিল চোখে জল নিয়ে,
সে রেখে গেছে এমন এক ভালোবাসা—যার সামনে সিংহাসনও মাথা নত করে।
---