আহমেদাবাদ আজ কাঁদছে…
উড্ডয়নের পর ধীরে ধীরে নামতে থাকা সেই বিমানে যেন মৃত্যু নিজেই পাইলট হয়ে বসেছিল। কোনো তাড়াহুড়া নেই, শুধু নীরব এক পরিণতির দিকে এগিয়ে চলা… যেন জানত, এবার আর ফেরার পথ নেই।
দুই পাইলটের ছিল হাজারো ঘণ্টার আকাশজয় করার অভিজ্ঞতা, কিন্তু যন্ত্রের একটুখানি বিশ্বাসঘাতকতা সবকিছু থামিয়ে দিল।
সবচেয়ে হৃদয়বিদারক — বিমানটি বিধ্বস্ত হলো এক মেডিকেল হোস্টেলের ওপর। ভেতরে ডাইনিং টেবিলে তখনও খাবার সাজানো ছিল, মানুষগুলো ছিল না। হঠাৎ করেই… নিস্তব্ধতা। হাহাকার। আগুনের লেলিহান শিখা।
প্লেট আছে, খাবার আছে, শুধু মানুষগুলো নেই…
জীবন আসলে এমনই — এক মুহূর্তে সব বদলে যেতে পারে।
এমন মর্মান্তিক সময়ে যখন কেউ কেউ উল্লাস করে, ধর্ম কিংবা দেশ দেখে মৃত্যু বিচার করে, তখন মনটা ভার হয়ে ওঠে। আমরা কোথায় যাচ্ছি?
ফেসবুকে কিছু কমেন্টে খুব বিশ্রীভাবে কারো কারো উল্লাসও দেখলাম, ভারতে হয়েছে তাই মনে করছে কারো পাপের হয়তো শাস্তি হয়েছে। কেউ কেউ আবার বোয়িং আর এয়ারবাসের মার্কেট শেয়ারে কি প্রভাব পড়বে এগুলো নিয়ে আলোচনা করছেন। এই মুহূর্তে এইসব প্রতিটি আলোচনাই দৃষ্টিকটু। এইভাবে পৃথিবীর তাবত ঘটনা দুর্ঘটনায় মুখ খুলে আমরা আমাদের জাত চিনাইয়া আসি...
মৃত্যুই সবচেয়ে বড় সত্য, প্রতিটি প্রাণের জন্য সমবেদনা থাকুক ; দেশ , ধর্ম, অর্থনীতি, রাজনীতি নির্বিশেষে ...
