‘আস-সুন্নাহর লোক যখন ত্রিশ হাজার টাকা পাঠাল, মনে হলো যেন ফেরেশতা এসে টাকাটা দিয়ে গেল’—অশ্রুসজল চোখে এভাবেই স্মৃতিচারণ করছিলেন সোনিয়া।
কুষ্টিয়া সদরের শিবপুর গ্রামের এক হতদরিদ্র গৃহিণী তিনি। অসুস্থ স্বামী ভ্যান চালানোর পাশাপাশি ঝালমুড়ি বিক্রি করেন। স্বামীর উপার্জনে সংসার চলে না বলে তিনি বস্তা কিনে ব্যাগ বানিয়ে বাজারে বিক্রি করেন।
মূলধন না থাকায় প্রতিবার ঋণ করে বস্তা কেনেন। ব্যাগ বিক্রির পর সীমিত যে লাভ হয়, তা থেকে ঋণ শোধ করেন আর বাকিটা ব্যয় করেন সংসারের পেছনে। এভাবেই ঋণের এক চক্রে জড়িয়ে ছিল তার কঠোর কর্মজীবন।
এ সময় আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন স্বাবলম্বীকরণ প্রকল্পের খোঁজ পান সোনিয়া। তিনি আবেদন করেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তার আবেদন গৃহীত হয়। তাকে দেয়া হয় ৩০ হাজার টাকার ব্যবসা উপকরণ।
উপকরণ পেয়ে সোনিয়ার জীবনে পরিবর্তন এসেছে। এখন আর তাকে ঋণ করতে হয় না। কঠোর পরিশ্রমী তিনি। সংসার সামলে প্রতিদিন যে ব্যাগ বানান, তা থেকে দৈনিক লাভ আসে ৩০০/৪০০ টাকা।
লাভ থেকে স্বামীর ভ্যানের মোটর কিনে দিয়েছেন সোনিয়া। ঝালমুড়ির ব্যবসার জন্য কিনেছেন গ্যাস সিলিন্ডার।
এখন স্বামী-স্ত্রী দুজনের হাত ধরে তরতর এগোচ্ছে এক সময়ের থমকে যাওয়া সংসার। সোনিয়া বিশ্বাস করেন, সংকল্প আর সহায়তা একসাথে মিললে নতুন দিনের সূর্য উদিত করা সম্ভব।

Md Joynal abedin
Xóa nhận xét
Bạn có chắc chắn muốn xóa nhận xét này không?