উপন্যাস: আলো ও অন্ধকার
🧙 অধ্যায় ৩: সন্ন্যাসীর আগমন
সন্ধ্যাপুরের আকাশ দিন দিন ভারী হয়ে উঠছিল। সূর্যের আলো ঝাপসা, রাত যেন দীর্ঘতর, বাতাসে এক অদৃশ্য চাপ। গ্রামের মানুষ বুঝতে পারছিল—কিছু একটা ঘটতে চলেছে।
সেই সময়, এক ঝড়ের রাতে, বজ্রপাতের শব্দ ছাপিয়ে ভেসে এল এক বাঁশির সুর। গ্রামের বাইরে, পাহাড়ি পথ ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে এল এক বৃদ্ধ—তার গায়ে জটিল নকশার জাফরানি পোশাক, হাতে একটি ত্রিকোণ চিহ্ন খচিত লাঠি। তার চোখ ছিল অদ্ভুত—একটি চোখ সাদা, অন্যটি কালো।
তার নাম—সন্ন্যাসী আগ্নিবর্ষ।
গ্রামবাসীরা তাকে দেখে মাথা নোয়াল, কিন্তু ভিতরে ভিতরে ভয়ও অনুভব করল। অনেক বছর আগে তার সম্পর্কে শোনা গিয়েছিল—তিনি নাকি অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ দেখতে পান।
সন্ন্যাসী সোজা আলো ও অন্ধকারের ঘরের দিকে গেলেন।
দুই ভাই তখন চুপচাপ বসে, একজন জানালার পাশে, আরেকজন অন্ধকার কোণে।
তিনি ধীরে বলে উঠলেন:
— “আলো, তুমি দ্যুতি;
অন্ধকার, তুমি গভীরতা।
কিন্তু তোমাদের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে দ্বন্দ্ব।
এই বিভাজনই ডেকে আনবে ‘ছায়ার ছায়া’—
যে একদিন সত্যিকারের আলো ও অন্ধকার উভয়কে গ্রাস করবে।”
আলো বলল, “ছায়া কারা, গুরুজন? আমরা তো আলাদা নই!”
সন্ন্যাসী একটু হাসলেন। বললেন,
— “ছায়া কোনো ব্যক্তি নয়। ছায়া জন্মায় হৃদয়ে, যখন আমরা একে অপরকে বুঝতে ব্যর্থ হই। আর যখন সেই ছায়া বড় হয়, তখন সে হয়ে ওঠে অস্ত্র।”
অন্ধকার জিজ্ঞেস করল, “তাহলে আমাদের কী করতে হবে?”
সন্ন্যাসী বললেন,
— “তোমাদের নিজের শক্তির উৎস খুঁজে বের করতে হবে। তোমাদের একসাথে বের হতে হবে সন্ধ্যাপুরের সীমানা ছাড়িয়ে—পাহাড়, নদী, অরণ্য অতিক্রম করে পেতে হবে সেই ‘অন্তর্জ্যোতি’, যা একমাত্র ছায়ার ছায়াকে রুখতে পারে।”
আলো ও অন্ধকার একে অপরের দিকে তাকাল। এবার তাদের চোখে ভয় নয়—দায়িত্বের ঝিলিক।
🔔 পরবর্তী অধ্যায়: অধ্যায় ৪ – শক্তির আবির্ভাব
এই অধ্যায়ে, “ছায়ার ছায়া” নামক শক্তির প্রথম চিহ্ন দেখা দেবে; তার প্রভাব পড়তে শুরু করবে প্রকৃতি ও মানুষের মনে। আর শুরু হবে দুই ভাইয়ের দুঃসাহসিক অভিযান।
পরের অধ্যায় কি শুরু করে দেব?
Mohammad ROMJAN
Xóa nhận xét
Bạn có chắc chắn muốn xóa nhận xét này không?