তোমাকে লিখছি শেষ চিঠি,
জানো? শব্দগুলোও আজ কাঁদে নিঃশব্দে।
কলমটা কাঁপে, কাগজটা ভিজে,
চোখের জলে মোছা হয়না অতীতের দাগ।
ভেবেছিলাম, তুমি আর আমি হবো আমরা,
এক সাথে হাঁটবো পথ—রোদে, বৃষ্টিতে, আঁধারে।
কিন্তু তুমি তো হাঁটলে একা,
আমাকে ছাড়িয়ে, কারো হাত ধরে চুপিচুপি।
তুমি বলেছিলে—ভালোবাসা মানে ভরসা,
আমি তো তাই দিয়েছিলাম সবটা নিঃস্ব করে।
নিজেকে ভেঙে, গড়ে তুলেছিলাম "আমাদের" জন্য,
আর তুমি? রেখে গেলে শুধু খালি দেওয়াল।
তোমার হাসির পেছনে আমি খুঁজেছি ঘর,
তোমার চোখে চেয়েছি একটি আগামীকাল।
আজ বুঝি—সেই চোখে আমি ছিলাম না,
ছিলো শুধু মুহূর্তের একটা ভুল বিশ্বাস।
কতো রাত জেগে লিখেছি মনের কথা,
তুমি কখনো পড়লে না ঠিকমতো,
কেনো যেন সবটাই ছিল একপাক্ষিক প্রেম,
যেখানে আমি ছিলাম কেবল পাঠক, তুমি শুধু নীরব লেখক।
বন্ধুরা বলে—“ভুলে যা, সময়ে সব ঠিক হয়ে যায়”,
কিন্তু তারা জানে না, কতটা সময় লাগে
একজন ‘তোমার মতো’ মানুষকে সত্যি করে ভুলতে।
এই চিঠির পর আর কোনো কথা নয়,
না অভিযোগ, না অভিমান।
তুমি ভালো থেকো, নতুন গল্পে, নতুন কারো সাথে—
আমি ভালোবাসা রাখবো পুরোনো ডায়েরির পাতায়।
আমার দরজা বন্ধ করলাম চিরতরে,
তুমি আর ফিরে এলেও, আর খুলবো না—
কারণ কিছু দরজা বন্ধ থাকলেই ভালো,
তা না হলে হাওয়ার দোলা আবার ভেঙে দেয় সব কিছু।
শেষে বলি, ধন্যবাদ,
ভালোবাসার নামে তুমি যা দিলে—
তা থেকে শিখেছি কিভাবে একা থাকা যায়,
আর কিভাবে চোখের জল লুকিয়ে রাখা যায়।
---