গাছ আমাদের বন্ধু
গাছ প্রকৃতির উপহার। গাছ আমাদের জীবনদাতা। তারা অক্সিজেন সরবরাহ করে, বায়ু বিশুদ্ধ করে এবং পরিবেশকে সজীব রাখে। গাছ ছাড়া পৃথিবী কল্পনাও করা যায় না।
আমরা গাছ থেকে ফল, কাঠ, ছায়া ও ওষুধ পাই। বৃক্ষ রোপণ পরিবেশ রক্ষার অন্যতম উপায়। শহরাঞ্চলে গাছ কমে যাওয়ায় জলবায়ু পরিবর্তন, গরম আবহাওয়া, ও দূষণ বেড়ে যাচ্ছে।
গাছ শুধু মানুষের জন্য নয়, জীবজগতের সবার জন্য উপকারী। তাই আমাদের উচিত বেশি করে গাছ লাগানো এবং সংরক্ষণ করা। ‘একটি গাছ, একটি প্রাণ’—এই শ্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে।
আমার প্রিয় খেলাধুলা – ক্রিকেট
খেলাধুলা শরীর ও মনের বিকাশ ঘটায়। আমার প্রিয় খেলা হলো ক্রিকেট। এটি একটি দলীয় খেলা এবং কৌশল ও ধৈর্যের সমন্বয়।
ক্রিকেট খেলায় ১১ জন করে দুইটি দল থাকে। ব্যাটসম্যান ও বোলার মিলে খেলা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্যতম।
খেলা আমাকে আনন্দ দেয়, একাগ্রতা বাড়ায় এবং শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে বন্ধুত্ব, নেতৃত্ব এবং দলগত কাজ শেখা যায়। তাই আমি ক্রিকেটকে খুবই ভালোবাসি।
বিদ্যুৎ ও তার ব্যবহার
বিদ্যুৎ আধুনিক সভ্যতার চালিকাশক্তি। ঘরে, অফিসে, কলকারখানায়, হাসপাতাল, স্কুল– সর্বত্র বিদ্যুতের ব্যবহার অপরিসীম। আলো জ্বালানো থেকে শুরু করে ফ্যান, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, সবকিছুই বিদ্যুতের মাধ্যমে চলে।
শিল্পকারখানায় উৎপাদনের জন্য যন্ত্র চালাতে বিদ্যুৎ অপরিহার্য। কৃষিক্ষেত্রে সেচ পাম্প চালানো, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ঠান্ডা সংরক্ষণ ইত্যাদি কাজেও বিদ্যুৎ লাগে। শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল ক্লাস বা অনলাইন শিক্ষার জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন।
তবে বিদ্যুতের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সচেতন হতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎসাহ দিতে হবে। বিদ্যুৎ ছাড়া আধুনিক জীবন অচল, তাই এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি ও স্বাধীনতার রূপকার। তিনি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তাঁর নেতৃত্বগুণ ছিল অসাধারণ। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি এবং সর্বদা নিপীড়িতের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি আওয়ামী লীগ গঠন করেন এবং ১৯৭০ সালের নির্বাচনে জয় লাভ করেন। পাকিস্তান সরকার তাঁকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করায় তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন, যা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক ছিল। মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি এবং বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হন।
তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সদস্যসহ শহীদ হন। তাঁর অবদান অনস্বীকার্য এবং বাঙালি জাতির ইতিহাসে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১
বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ একটি গৌরবময় অধ্যায়। পাকিস্তানি শাসনের অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে বাঙালিরা রুখে দাঁড়িয়েছিল। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হন, লক্ষ লক্ষ নারী নির্যাতনের শিকার হন, এবং কোটি মানুষ শরণার্থী হন।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এই আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মহান নেতা। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও আত্মত্যাগের কারণেই আমরা আজ স্বাধীন দেশ পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের চেতনায় গাঁথা, যা নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।