10 که در ·ترجمه کردن

পাখি – প্রকৃতির সঙ্গী

পাখি হলো প্রকৃতির অন্যতম সৌন্দর্য। সকালবেলা তাদের কিচিরমিচির ডাক আমাদের দিন শুরু করার আনন্দ দেয়। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়—ডোয়েল, শালিক, মাছরাঙা, বক, কাক, চিল, ইত্যাদি।

পাখিরা বনের পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষা করে। তারা কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল রক্ষা করে। শীতকালে বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখির আগমন ঘটে, যা আমাদের প্রকৃতিকে আরও রঙিন করে তোলে।

দুঃখজনকভাবে, অনেক পাখিকে শিকার করা হয় বা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে। আমাদের উচিত পাখিদের রক্ষা করা এবং প্রকৃতির এই সঙ্গীদের ভালোবাসা।একটি শিক্ষা সফরের দিন

গত বছর আমাদের স্কুল থেকে আমরা কান্তজিউ মন্দির ও মহাস্থানগড় ঘুরতে গিয়েছিলাম। এটি ছিল একটি শিক্ষামূলক সফর। শিক্ষকরা আমাদের গাইড হিসেবে ছিলেন। আমরা বাসে গিয়ে প্রথমেই মহাস্থানগড় দেখি।

সেখানে আমরা বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন দেখি। পরে কান্তজিউ মন্দিরে যাই, যেখানে অপূর্ব টেরাকোটা কাজ ছিল। আমরা ইতিহাস, স্থাপত্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানি।

এই সফর আমাদের বইয়ের বাইরের শিক্ষা দিয়েছিল। বন্ধুরা মিলে ঘোরাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, ছবি তোলা—সব মিলিয়ে এটি একটি স্মরণীয় দিন হয়ে আছে।সময়ের মূল্য

সময় একবার গেলে আর ফিরে আসে না। তাই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন সফল ব্যক্তি তার সময়ের সঠিক ব্যবহার জানে।

ছাত্রদের জন্য সময়ের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সময় অনুযায়ী পড়াশোনা করলে ফলাফল ভালো হয়। কর্মজীবীদের জন্যও সময়মতো কাজ শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।

অলসতা ও সময় নষ্ট জীবনের সর্বনাশ ডেকে আনে। সময়কে বন্ধু বানালে জীবন সুন্দর হয়। তাই সময়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।


---
নদী ও আমাদের জীবন

নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বহু নদী আছে। এই নদীগুলো কৃষি, মৎস্য, পরিবহন, ও জীববৈচিত্র্যে গুরুত্ব রাখে।

নদীর পানি কৃষি সেচে ব্যবহার হয়। বহু গ্রাম ও শহর নদীকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে। নদী বাঁচলে দেশ বাঁচবে—এই সত্যটি আমরা ভুলে যাচ্ছি। নদী দখল, দূষণ ও পলি জমার কারণে নদী শুকিয়ে যাচ্ছে।

নদী রক্ষা আমাদের দায়িত্ব। নদী পুনর্খনন, দখলমুক্তকরণ এবং নদীর পাড়ে বৃক্ষরোপণ করতে হবে। নদী আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।

ডিজিটাল বাংলাদেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নত রাষ্ট্র। বর্তমান সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’-এ এই ধারণা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন—সব খাতে ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে।

আজ নাগরিক সেবা, ফরম পূরণ, জন্মসনদ, অনলাইন শিক্ষা, মোবাইল ব্যাংকিং ইত্যাদি অনেক কিছুই ডিজিটালভাবে হচ্ছে। এতে দুর্নীতি কমে, সময় ও খরচ সাশ্রয় হয়।

তবে এর জন্য ইন্টারনেট সুরক্ষা, সচেতনতা, এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদের অগ্রগতির পথ সুগম করছে।

33 متر ·ترجمه کردن

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image
34 متر ·ترجمه کردن

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image
34 متر ·ترجمه کردن

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image
35 متر ·ترجمه کردن

দুর্গম গিরি, কান্তার-মরু, দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি-নিশীথে, যাত্রীরা হুশিয়ার!

দুলিতেছে তরি, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি পথ,
ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মৎ?
কে আছ জোয়ান হও আগুয়ান হাঁকিছে ভবিষ্যৎ।
এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি, নিতে হবে তরী পার।

তিমির রাত্রি, মাতৃমন্ত্রী সান্ত্রীরা সাবধান!
যুগ-যুগান্ত সঞ্চিত ব্যথা ঘোষিয়াছে অভিযান।
ফেনাইয়া উঠে বঞ্চিত বুকে পুঞ্জিত অভিমান,
ইহাদের পথে নিতে হবে সাথে, দিতে হবে অধিকার।

অসহায় জাতি মরিছে ডুবিয়া, জানে না সন্তরন
কান্ডারী! আজ দেখিব তোমার মাতৃমুক্তি পন।
হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী! বল, ডুবিছে মানুষ, সন্তান মোর মার

গিরি সংকট, ভীরু যাত্রীরা গুরু গরজায় বাজ,
পশ্চাৎ-পথ-যাত্রীর মনে সন্দেহ জাগে আজ!
কান্ডারী! তুমি ভুলিবে কি পথ? ত্যজিবে কি পথ-মাঝ?
করে হানাহানি, তবু চলো টানি, নিয়াছ যে মহাভার!

কান্ডারী! তব সম্মুখে ঐ পলাশীর প্রান্তর,
বাঙালীর খুনে লাল হল যেথা ক্লাইভের খঞ্জর!
ঐ গঙ্গায় ডুবিয়াছে হায়, ভারতের দিবাকর!
উদিবে সে রবি আমাদেরি খুনে রাঙিয়া পূনর্বার।

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,
আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান
আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!

======

image
35 متر ·ترجمه کردن

আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে-
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে।

আজকে আমার রুদ্ধ প্রাণের পল্বলে-
বান ডেকে ঐ জাগল জোয়ার দুয়ার -ভাঙা কল্লোলে।
আসল হাসি, আসল কাঁদন
মুক্তি এলো, আসল বাঁধন,
মুখ ফুটে আজ বুক ফাটে মোর তিক্ত দুখের সুখ আসে।
ঐ রিক্ত বুকের দুখ আসে-
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আসল উদাস, শ্বসল হুতাশ
সৃষ্টি-ছাড়া বুক-ফাটা শ্বাস,
ফুললো সাগর দুললো আকাশ ছুটলো বাতাস,
গগন ফেটে চক্র ছোটে, পিণাক-পাণির শূল আসে!
ঐ ধূমকেতু আর উল্কাতে
চায় সৃষ্টিটাকে উল্টাতে,

আজ তাই দেখি আর বক্ষে আমার লক্ষ বাগের ফুল হাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ হাসল আগুন, শ্বসল ফাগুন,
মদন মারে খুন-মাখা তূণ
পলাশ অশোক শিমুল ঘায়েল
ফাগ লাগে ঐ দিক-বাসে
গো দিগ বালিকার পীতবাসে;

আজ রঙ্গন এলো রক্তপ্রাণের অঙ্গনে মোর চারপাশে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!
আজ কপট কোপের তূণ ধরি,
ঐ আসল যত সুন্দরী,
কারুর পায়ে বুক ডলা খুন, কেউ বা আগুন,
কেউ মানিনী চোখের জলে বুক ভাসে!
তাদের প্রাণের ‘বুক-ফাটে-তাও-মুখ-ফোটে-না’ বাণীর বীণা মোর পাশে
ঐ তাদের কথা শোনাই তাদের
আমার চোখে জল আসে
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে!

আজ আসল ঊষা, সন্ধ্যা, দুপুর,
আসল নিকট, আসল সুদূর
আসল বাধা-বন্ধ-হারা ছন্দ-মাতন
পাগলা-গাজন-উচ্ছ্বাসে!
ঐ আসল আশিন শিউলি শিথিল
হাসল শিশির দুবঘাসে
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!

আজ জাগল সাগর, হাসল মরু
কাঁপল ভূধর, কানন তরু
বিশ্ব-ডুবান আসল তুফান, উছলে উজান
ভৈরবীদের গান ভাসে,
মোর ডাইনে শিশু সদ্যোজাত জরায়-মরা বামপাশে।

মন ছুটছে গো আজ বল্গাহারা অশ্ব যেন পাগলা সে।
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!
আজ সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে!!

======

image
image