প্রিয়তমা আমার,
তোমার অভিমানী চোখের দিকে শেষবার তাকিয়ে ছিলাম যেদিন, তখনো জানতাম না–নীরবতা এতটা উচ্চস্বরে কাঁদে। তোমার মৌনতা আমার চিৎকারের থেকেও গভীর, তোমার দূরত্ব–আমার অস্তিত্বের থেকেও প্রলম্বিত।
আজ তোমাকে লিখতে বসেছি, কলমে কালি নয়–রক্ত নামের কিছু অভিমান জমেছে, যা হয়তো তুমি কোনোদিন পড়বে না, তবুও লিখি কারণ ভালোবাসা কখনো সম্পূর্ণ হতে চায় না বলা ছাড়া।
তোমার অভিমান আমার কাছে কোনো পাহাড় নয়–তা এক নিবিড় জঙ্গল, যেখানে পথ নেই, শুধু তোমার ছোঁয়ার আকুলতা দিয়ে বানানো আঁকাবাঁকা ধারা, যেখানে হারিয়ে গেছি আমি–তোমাকে খুঁজতে গিয়ে।
জানো, আমি তো তোমার মতো নই–অভিমান পুষে রাখতে পারি না, তোমার একটু না বলা দুঃখে আমার সমস্ত দিন বিষণ্ণ হয়ে পড়ে। তোমার একবার ফিরে তাকানো আমার ভোরের সূর্য, আর না-তাকানো–অসীম রাত।
তোমার হাসির মতো নিঃশব্দ অভিমানও আমার প্রার্থনার মতো। তোমার প্রতিটি “না বলা” শব্দে আমি খুঁজি “ভালোবাসি”র ইশারা। তুমি হয়তো রাগ করে আছো, কারণ আমি ভুলেছি কখনো, কিন্তু বিশ্বাস করো, ভুলে যাইনি–তুমি কেমন করে আমার হয়ে উঠেছিলে।
আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম শিউলি ফুলের মতো–নিরবে ঝরে পড়া, আর তুমি হয়তো চেয়েছিলে কৃষ্ণচূড়ার উচ্ছ্বাস, তাই না?
তবু আমি অপেক্ষায় যদি কোনো সন্ধ্যায়, হঠাৎ করে তোমার অভিমান ক্লান্ত হয়ে পড়ে–তুমি একবার ফিরে চাও, তোমার চোখের সেই ছোট্ট জলরেখা মুছিয়ে দেই দু’হাতে, আর বলি—"এসো, সব ভুলে যাই।"
তোমার পায়ের নিচে পড়ে থাকা আমার অহংকার, তোমার হাসির নিচে হারিয়ে যাওয়া আমার সমস্ত গর্ব। তুমি যদি না-ও চাও ফিরতে, তবু জানবে-এই চিঠিতে তোমার জন্য রয়ে গেছে একজোড়া খোলা দরজা, যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি কেবল তোমার নামে।
Md Joynal abedin
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟