৩. একজন ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হলেও সে কারাগারকে আপন করে নেয় না বরং সে প্রহর গুণে, কবে তার মেয়াদ পূর্ণ হবে এবং আপনজনের কাছে ফিরে যাবে। ঠিক তেমনি এ দুনিয়াটা মোমিনের আসল ঠিকানা নয়। তার জন্য অসংখ্য নেয়ামতেভরা জান্নাত আল্লাহ প্রস্তুত করে রেখেছেন এবং আল্লাহ হলেন মোমিনের সর্বোত্তম অভিভাবক ও সবচেয়ে কল্যাণকামী। মোমিন জান্নাতের প্রত্যাশী। কিন্তু এ জান্নাত দুনিয়ায় নয়, মৃত্যুর পরেই সম্ভব। তাই মোমিন মৃত্যুভয়ে ভীত নয়- আখেরাতে জবাবদিহির ভয়ে ভীত। দুনিয়ার এ জীবনটা সে আপন করে নেয় না, বরং সব সময় সে অগ্রাধিকার প্রদান করে আখেরাতকে। মৃত্যু তাকে রোগ-শোক-দু:খ-কষ্ট-জ্বালা-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিয়ে তার রবের সান্নিধ্যে পৌঁছে দেয় (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলায়হি রজেউন- নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তাঁরই কাছে ফিরে যাব)। এই ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে মোমিনের কোনো ভয়-ভীতি বা ওজর-আপত্তি নেই। মা’র কাছে সন্তানের যাওয়া যেমন খুবই কাঙ্ক্ষিত, তেমনি আল্লাহর কাছে একজন মোমিনের ফিরে যাওয়াটা তার চেয়েও বেশি কাঙ্ক্ষিত।
পক্ষান্তরে কাফেরের জন্য দুনিয়াটা জান্নাত সদৃশ।
Md Joynal abedin
Ellimina il commento
Sei sicuro di voler eliminare questo commento ?