কবিতাঃ "দগ্ধ নগরীতে কাঠ গোলাপের মায়া"
এ যেনো কতো নিরাশার অনলে
পুড়ে যাওয়া বিদির্ণ দগ্ধ
বহুকালের পুরোনো এক হৃদ পল্লী।
নিবেদিতার নিরবতার কোলাহল মাখা নিরব নগরী।
চিন্তা বা দুশ্চিন্তা যেখানে প্রতি সময়ের জীবনী খোরাক।
এই দগ্ধ পুড়ে যাওয়া নগরীতে ধুলোমাটি মাখা ছাই আশার স্বপ্ন দেখায়।
যদি কিছু কখনও,এই নির্লিপ্ত শহরের কোনায় কোনায় ফুটিয়ে তুলতে পারে
কিছু বাগান বিলাস,
বয়ে আনতে পারে কাঠ গোলাপের মায়া।
ডানা মেলে এই শহরের আনাচে কানাচে যে পাখি উড়ে বেড়ায়,
ঘুরে ফেরে,
তার কপালে,চোখে, ঠোটে গালে,
সমস্ত রক্ত প্রবাহিকায় চিন্তার ভাঁজ।
নিবেদিতা যে ডানায় ভর করে
আপন ডানা মেলে দেয় মনের আকাশে,
এই স্থবির সংকটাপন্ন হৃদ নগরীর চারিদিকের স্থির উত্তাপে ডানাগুলো ক্রমাগত ক্লান্ত, বিপন্ন।
পৃথিবী,প্রকৃতি আর নিবেদিতার অস্তিত্বের প্রশ্ন যেখানে দানা বাঁধে বিলীন বিনাশী আতঙ্কের।
আর কতোকালে নিরব হবে নিরবতা।
কিছু কথা বলার,কিছু কথা শোনার,
কিছুকালের চেয়ে থাকার কাতরতা,
কিছু হিম শীতল স্পর্শের অধিরতা,
পুড়ে যাওয়া নগরীতে বরফ জমা মন।
যদি এ নগরীতে আবার বয়ে যেতো শান্ত স্রোতের স্রোতস্বিনী,
সজীব সবুজে ছেয়ে যেতো চারিদিক,
মুখরিত হতো পাখির কোলাহলে,
যদি পাশাপাশি বসে ছুঁয়ে দিতো তার আঙুলগুলি কোনো ভালোবাসার ফেরিওয়ালা।
আজন্ম এক দৃস্টিপাতে পুড়িয়ে দিতো পোড়া নগরীর কলঙ্ক।
স্কন্ধে মাখা সুরোভিত শোভায় দুর করে দিতো বিভৎস ধোঁয়াটে গন্ধ।
এ উন্মদনায় পখির চিত্ত বিহ্বল,
আর কতোকালে আসবে সে মহাকাল?
জনশূন্য সে নিরাপদ শহরের এক কোণায় নির্বিকার পড়ে থাকা এক ভালোবাসার নীলপদ্ম,কাঠগোলাপ বিক্রেতা নাগরিক।
ক্রেতা একজনই সে শহরের।
এখনও তার অবধি পৌছায়নিকো।
দীর্ঘ কতোকালের তার এই প্রতীক্ষা নিবেদিতা পাখির তরে।
পাখি ক্লান্ত ডানায় আহত শরীর মনে
অচিরেই এক ঘর বাঁধবে আশেপাশেই।
ঠোঁটে নির্যাস নেবে সজীবপ্রাণ বীজের,
প্রাণে তার বপন পরিচর্যায় গড়ে তুলবে নতুন প্রাণের নগরী।
নিবেদিতার প্রাণের নগরীর
আট কুঠুরী নয় দরজার মনি কোঠায়
ফেরিওয়ালার লেলিহান মুখগহ্বরের উষ্ণতার অনলে চিন্তা গুলো চুষে নেওয়ার স্বাধে উড়ে যাবে সকল আতঙ্ক, ক্লান্তি, ভিতী
এই কালের স্রোতে পাখি আর ফেরিওয়ালা অনুকুল অভিমুখী।
অচিরেই ফুরোবে এই পথের ক্রান্তি রেখা।
ফেরিওয়ালা লিখবে তার নতুন প্রাণের মহাকাব্য।