কবিতা
সময়ের নিকষ অম্লান
তপঃশেষ নীলিমার ঘূর্ণি ঘিরে
একপ্রস্থ সময় নেমে আসে দগ্ধ মৃগনাভির ছায়া হয়ে—
অতিপৃথক আলো, ধূলি, আর উন্মুখ স্মৃতির ধ্বনি,
শব্দের নিচে কুহকের মতো জন্ম নেয় কাঁপা কাকপাখির সন্ধি।
সেই যে কালো কুয়াশা—
নিশিগন্ধার পাঁজরে বাজে অস্ফুট যুগল শব্দ—
"নির্বাসন" আর "নির্বাণ"—
সময়ের রেখায় তাদের কণ্ঠ ভুলে গেছে ভাষার অক্ষর।
আমি একদিন হাঁটছিলাম উল্লসিত অবসরের ঢালে,
নিভে যাওয়া প্রাচীন পলাশের অন্তর্গত ছায়ায়
যেখানে কালের স্বরিত কাঠামো—
নিয়তির বিন্যাসে শূন্যতা ছুঁয়ে তৈরি করে এক অদৃশ্য মৃত্তিকা।
চূর্ণ সময় ঝরে পড়ে পদ্মপাতার পাশে—
দিগন্তরেখা ছুঁয়ে তার পদাবলী গায়ে মেখে নেয়
সূর্যাস্তের অলস রক্তবিন্দু।
তবু জীবন—
এই বিবর্ণ আয়ুধ—
চলে অনস্তিত্বের দিকে।