কবিতা : : "ছোঁয়া যাবেনা তারে"
রহিম বলে আলেয়া তোমার মা কোথায়, ডাকো তারে ,
তার সাথে আমার কথা বলা হয়নি অনেক দিন ধরে।
মিতা দাড়িয়ে ছিল পাশের ঘরে দরজার কাছাকাছি,
আলেয় গিয়ে বলে,মাকে জড়িয়ে ধরে করে নাচানাচি।
মিতা বলে আলেয়া বাবাকে বল,আমি ছোট ভাইয়ের বউ,
সে একজন পর পুরুষ,দুজনে কথা বলা দেখে নেবে কেউ।
রহিম বলে আলেয়া মাকে একটু বারান্দায় আসতে বলো,
বাইরে কথায় দোষ হবেনা,চারিদিকে জ্বলছে কত আলো।
মিতা ঘোমটা দিয়ে বারান্দার আলোর কাছাকাছি এল,
আলেয়া দৌড়ে বাবার কাছে থেকে মায়ের কোলে গেল।
রহিম এসে প্রখর আলোতে একটু দুরে সরে গিয়ে বসে,
মিতার মুখ আঁচলে ঢাকা দেখে রহিমের চোখে জল আসে।
জলভরা চোখে রহিম বলে তারে তুমি কেমন আছো মিতা,
মিতা বলে খোদার দোয়ায় বেঁচে আছি,বলো তোমার কথা।
রহিম বলে খোদার দোয়ায় বেঁচে ফিরেছি মায়ের কাছে,
জীবন পেলাম পত্নী হারালাম,জানিনা ভাগ্যে কিবা আছে।
মিতা বলে বাঁচার জন্যে মহিমের সাথে নামেই হয়েছে বিয়ে,
আজও সে আমায় ছুঁয়ে দেখেনি,আজও আছি সতী হয়ে।
রহিম বলে অন্যায় করেছ, স্বামীর অধিকার দাওনি তারে,
মিতা বলে বাসর রাতে সে শর্ত দেয়,ছোঁয়া যাবেনা তারে।