আমাদেরও শৈশব ছিলো,
দুরন্ত সময়ের ডানপিটে তকমাওয়ালা শৈশব।
কিন্ডারগার্টেনের কড়াকড়ি থেকে সরকারি স্কুলের ঢিলেঢালা,
পড়ার সময় পড়া আর খেলার সময় খেলার নিয়মওয়ালা শৈশব।
হাঁটা দূরত্ব থেকে রিকশা দূরত্বের এলাকা চেনা,
যাবতীয় অমূলক ভাবনায় ঘিরে থাকা শৈশব।
আঙুল কাটা আঁড়ি আর ভাবের নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের শৈশব।
আমাদেরও কৈশোর ছিলো,
ছোট থেকে বড়ো হওয়ার অনন্য অনুভূতিমাখা কৈশোর।
হাইস্কুলের ক্লাসপালানো, খেলার মাঠে বল গড়ানো,
আকাশ জুড়ে ঘুড়ির মেলা, ছুতো খুঁজে মারামারি, বৈচিত্র্যময় কৈশোর।
বড়োদের নকল করে স্টাইল মারা চুলের টেরি,
সাইকেলের গিয়ার মেরে গার্লস স্কুলের সামনে ঘুরে
বন্ধুর হয়ে প্রেমপত্র লিখা কিংবা পিওন হওয়ার কৈশোর।
আমাদেরও তারুণ্য ছিলো,
কলেজ পড়ুয়া হঠাৎ পাওয়া স্বাধীনতাওয়ালা তারুণ্য।
সদ্যগজানো দাঁড়িগোঁফের যন্ত্রণাময়, লিকলিকে গায়ে
ঢোলা ফুলপ্যান্ট আর ফুলশার্ট পরা, ঐচ্ছিক বখাটেপনার তারুণ্য।
কোনো একজনের প্রতি তীব্র আকর্ষণ থেকে তার চোখে পড়ার, নায়ক হওয়ার আশায় কতো পাগলামির উত্তাল তারুণ্য।
আমাদেরও যৌবন ছিলো,
বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোর মাড়ানো উচ্ছ্বল স্বাধীন যৌবন।
নতুন নতুন বিষয় জানা, নতুন নতুন কেতা শেখা,
রাজনীতি আর আড্ডাবাজি, অধিকারের আন্দোলন করা যৌবন।
প্রেম, বন্ধুত্বের টানাপোড়েন, ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবা,
টিউশনি আর টুয়েন্টিনাইন, দম দেয়া পুতুল হওয়ার দীক্ষা নেওয়া যৌবন।
এখনও আমাদের কেতাবি সংজ্ঞায় যৌবনকাল চলে।
হাতড়ে ফিরি উচ্ছ্বলতা, হারিয়ে খুঁজি আমার আমি।
খুঁজে পাই যৌবনের কংকাল, বার্ধক্যের চাদর মোড়া।
Md STATION
Kommentar löschen
Diesen Kommentar wirklich löschen ?