ব্যাংকে কটা টাকা তুলতে গেছিলাম। বাড়ির পাশেই, তাই লুঙ্গি পরেই গেছিলাম, যদিও বউ পই পই করে বারন করেছিল।
ডাকাতরা প্রায় আড়াই কোটি টাকা লুঠ করে চলে যাবার পরে পুলিশের আগমন। ব্যাঙ্কের সবকিছু তন্নতন্ন করে খুঁজেও যখন কিছু ক্লু পাওয়া গেলনা তখন এক পুলিশ অফিসারের মনে হলো ভল্টের একপাশে কিছু একটা যেন নড়াচড়া করছে।
অফিসার সঙ্গে সঙ্গে রিভালভার বাগিয়ে হুংকার ছাড়লেন " এই । কে ওখানে, শীগ্গীর বেরিয়ে আয়। নাহলে এক গুলিতে মাথার খুলি উড়িয়ে দেব।
নড়াচড়া থেমে গেল।"
চারিদিকে নিস্তব্ধতা।
পুলিশের দল বন্দুক বাগিয়ে তৈরি । হুংকার দেওয়া অফিসার আবার চিৎকার করে উঠলেন " আমি তিন গুনব । তার মধ্যে যদি না বেরোস তো গুলি করবো....এক "
সঙ্গে সঙ্গে ভিতর থেকে আওয়াজ। "দয়া করে গুলি করবেন না স্যার। আমি বেরোতে পারছি না...
পুলিশ অফিসার " কেন, টাকার ঝোলাটা বুঝি খুব ভারী ? "
"না স্যার টাকা নেই।"
"তবে কি ভল্টের সোনা আছে ?"
না স্যার তাও না।"
"তবে কি? বেশি চালাকি না করে শীগ্রী বেরো বলছি ।নাহলে...."
কাঁদোকাঁদো গলায় শোনা গেল, "স্যার ডাকাতরা ডাকাতি করার সময় আমার লুঙ্গিটা খুলে তাতে করে টাকা নিয়ে চলে গেছে ।"
ম্যানেজার চিনতে পেরে বললেন, "দেখুন তো, কি অন্যায় কথা।ব্যাঙ্কের টাকা নিয়ে গেলি,তা নিয়ে যা। টাকা আমরা, ইন্সিওরেন্সের কাছ থেকে পেয়ে যাব, কিন্তু তা বলে কাষ্টমারের লুঙ্গি খুলে নিয়ে যাবে ?
দেশটার হলো টা কি?এত অমানবিক কী ভাবে মানুষ হতে পারে। হলোই বা ডাকাত।"
বউয়ের উপদেশ, "এই জন্যই বলি ব্যাংকে লুঙ্গি পরে না যেতে! ডাকাতি হতেই পারে, তা বলে নিজের ইজ্জত যেন না যায়।" # #
Md Joynal abedin
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?