👻 “পেঁপে গাছের নিচে”
নওগাঁর এক অজ পাড়া গাঁ – নাম খোঁজপুর। গ্রামের একপ্রান্তে ছিল এক জংলা বাড়ি। সেই বাড়ির উঠোনে একটিই পেঁপে গাছ, আর কিছুই না। লোকমুখে শোনা যেত, এই গাছটার নিচে সন্ধ্যার পর কেউ থাকলে আর ফিরে আসে না।
তবু একদিন, গ্রামের যুবক সুমন সাহস করে গেলো। বন্ধুরা চ্যালেঞ্জ দিয়েছিল – “যদি এক ঘণ্টা বসে থাকতে পারিস, তাহলে তোকে এক হাজার টাকা।” টাকা পেলে শহরে যাবার খরচ হবে – তাই সুমন রাজি।
রাত আটটায় সে গেলো পেঁপে গাছের নিচে। চারদিক নিস্তব্ধ, শুধু ঝিঁঝিঁর ডাক। হঠাৎ গাছটা কেঁপে উঠলো। ভাবলো, হয়তো বাতাস। কয়েক মিনিট পরেই মাটি যেন কেঁপে উঠলো। পেছনে তাকাতেই দেখলো, এক ধবধবে সাদা কাপড় পরা মহিলা—চুল পেছন থেকে মাটি ছুঁয়ে আছে। মুখ দেখা যায় না। ধীরে ধীরে সামনে এলো।
সুমনের মুখে কথা নেই। সে দৌড় দিতে গিয়ে হোঁচট খায়। উঠে দেখে কেউ নেই। তবে পেঁপে গাছে ঝুলছে এক জোড়া লাল চোখ। লাল, একদম আগুনের মতো। আর নিচে পড়ে আছে সুমনের গলার চেইন।
সেই রাতের পর সুমন আর কখনও কথা বলেনি। চুপ হয়ে গেছে। চোখ দুটো সবসময় ভীত, যেন কিছু দেখছে—যা কেউ দেখে না।
লোকেরা এখন বলে, ওই গাছে কিছু একটা আছে। পেঁপে হয় না, কিন্তু ভয় ঠিকই ঝরে পড়ে