💔 পরকীয়া: নিষিদ্ধ প্রেমের নীরব কান্না
নওগাঁর কাছের ছোট্ট গ্রাম বালুবাড়ি। এই গ্রামের এক গৃহবধূ শিলা, বয়স মাত্র ২২। স্বামী বিদেশে, ৩ বছর ধরে মুখোমুখি কথা হয়নি। শিলার মন শুকিয়ে গিয়েছে, কেবল সংসার আর শ্বশুরবাড়ির দায়িত্ব পালন করেই কাটে সময়।
এমন এক একলা সময়ে তার জীবনে আসে রফিক—এক সময়ের স্কুল বন্ধু, এখন গ্রামের দোকানে কাজ করে। হঠাৎ একদিন বাজারে দেখা, তারপর কথাবার্তা, তারপর নিয়মিত দেখা হওয়া শুরু।
রফিক জানত শিলার স্বামী আছে, তবু তাদের বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে অন্য দিকে মোড় নেয়। দু’জনেই খুঁজে পায় একে অপরের মধ্যে সেই "অপূর্ণ ভালোবাসা"। শিলা আবার হাসে, আবার আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়ে।
রাতে স্বামীর ছবি দেখে কাঁদে, সকালে রফিকের মেসেজে হাসে। ভেতরে অপরাধবোধ, তবুও যেন এক মায়াজালে বাঁধা পড়ে যায় দুজন।
একদিন গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে গুজব—“শিলা আর রফিক নাকি…” পরিবার, সমাজ, আত্মীয়—সব দিক থেকে চাপ। শিলার শাশুড়ি গালিগালাজ করে, ভাই এসে কেঁদে ফেলে, রফিককে বলা হয় চরিত্রহীন।
শিলা শেষবার রফিককে দেখে বলল, “আমরা ভুল করিনি রফিক, শুধু সময়টা ঠিক ছিল না।”
তারপর থেকে শিলা পর্দার আড়ালে চলে যায়। রফিক গ্রামের বাইরে চলে যায় কাজের সন্ধানে।
শুধু গ্রামের সেই কাঁঠাল গাছটার নিচে মাঝেমধ্যে পড়ে থাকে একটা চিঠি—"যদি সময়টা আমাদের হতো, তুমি কি আমায় বিয়ে করতে?"
জবাব কেউ দেয় না, শুধু বাতাসে একটা দীর্ঘশ্বাস ভেসে বেড়ায়…
Rs Shuvo
コメントを削除
このコメントを削除してもよろしいですか?