9 که در ·ترجمه کردن

হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা এবং আল্লাহ তা'আলার সর্বশেষ নবী ও রাসুল। তাঁর বিস্তারিত জীবনী নিচে তুলে ধরা হলো:
১. জন্ম ও শৈশব:
* জন্ম: আনুমানিক ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আরবের মক্কা নগরীতে কুরাইশ গোত্রের বনু হাশিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম ছিল আব্দুল্লাহ এবং মায়ের নাম আমিনা।
* এতিম জীবন: তাঁর জন্মের আগেই বাবা আব্দুল্লাহ মারা যান। ছয় বছর বয়সে মা আমিনা মারা গেলে তিনি সম্পূর্ণ এতিম হয়ে যান।
* দাদা ও চাচার তত্ত্বাবধানে: এরপর তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব তাঁকে লালন-পালন করেন। দাদা মারা যাওয়ার পর তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁর দায়িত্ব নেন।
* বাল্যকাল: শৈশবে তিনি মেষ চরাতেন এবং তরুণ বয়সে বাণিজ্য কাফেলায় সিরিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। তাঁর সততা ও বিশ্বস্ততার জন্য তিনি "আল-আমিন" (বিশ্বস্ত) উপাধি লাভ করেন।
২. বিবাহ ও পারিবারিক জীবন:
* হযরত খাদিজার সাথে বিবাহ: ২৫ বছর বয়সে তিনি মক্কার একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী মহিলা খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদের (রাঃ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। খাদিজা (রাঃ) তাঁর থেকে ১৫ বছরের বড় ছিলেন। তাঁদের এই দাম্পত্য জীবন অত্যন্ত সুখের ছিল।
* সন্তানাদি: খাদিজা (রাঃ) এর গর্ভে তাঁর বেশ ক’জন সন্তান জন্ম নেয়, যার মধ্যে ৪ জন কন্যা সন্তান (যয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম, ফাতিমা) এবং ২ জন পুত্র সন্তান (কাসিম ও আব্দুল্লাহ) ছিল। পুত্র সন্তানরা অল্প বয়সেই মারা যান।
৩. নবুওয়াত লাভ ও ইসলামের দাওয়াত:
* হেরা গুহায় ধ্যান: ৪০ বছর বয়সে তিনি মক্কার অদূরে জাবালে নূরের হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন।
* প্রথম ওহী: ৬১০ খ্রিস্টাব্দে (হিজরতের ১৩ বছর পূর্বে, ২৭শে রজব) হেরা গুহায় ফেরেশতা জিব্রাইল (আঃ) এর মাধ্যমে তাঁর উপর প্রথম ওহী নাযিল হয়। সূরা আলাকের প্রথম ৫টি আয়াত ছিল প্রথম ওহী।
* গোপন দাওয়াত: প্রথম তিন বছর তিনি গোপনে ইসলামের দাওয়াত দেন। সর্বপ্রথম তাঁর স্ত্রী খাদিজা (রাঃ), ঘনিষ্ঠ বন্ধু আবু বকর (রাঃ), চাচাতো ভাই আলী (রাঃ) এবং মুক্ত দাস যায়েদ ইবনে হারিসা (রাঃ) ইসলাম গ্রহণ করেন।
* প্রকাশ্য দাওয়াত: তিন বছর পর তিনি প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত শুরু করেন। সাফা পর্বতের উপর দাঁড়িয়ে তিনি সকলকে এক আল্লাহর দিকে আহ্বান জানান এবং মূর্তিপূজা বর্জন করতে বলেন। এতে মক্কার কুরাইশদের মধ্যে তীব্র বিরোধিতা দেখা দেয়।
৪. নির্যাতন ও হিজরত:
* কুরাইশদের বিরোধিতা: মক্কার কুরাইশরা তাঁর এবং তাঁর অনুসারীদের উপর কঠোর নির্যাতন শুরু করে। মুসলমানদের উপর সামাজিক ও অর্থনৈতিক বয়কট আরোপ করা হয়।
* হাবশায় হিজরত: নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেলে কিছু সাহাবীকে হাবশায় (আবিসিনিয়া) হিজরত করার অনুমতি দেন।
* আবু তালিব ও খাদিজার মৃত্যু: নবুওয়াতের দশম বছরে তাঁর চাচা আবু তালিব এবং স্ত্রী খাদিজা (রাঃ) মারা যান। এটি তাঁর জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা ছিল।
* তায়েফে গমন: তিনি তায়েফ গিয়ে ইসলাম প্রচারের চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানকার লোকেরা তাঁকে পাথর নিক্ষেপ করে আহত করে।
* মি'রাজ: ৫১ বছর বয়সে তিনি মি'রাজে গমন করেন, যেখানে তিনি আল্লাহ তা'আলার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা হয়।
* মদিনায় হিজরত (৬২২ খ্রিস্টাব্দ): মক্কাবাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আল্লাহ তা'আলার নির্দেশে তিনি আবু বকর (রাঃ) কে সাথে নিয়ে মদিনায় হিজরত করেন। এই ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে "হিজরত" নামে পরিচিত এবং ইসলামিক ক্যালেন্ডারের সূচনা হয় এই সাল থেকে।
৫. মদিনায় জীবন ও ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা:
* মদিনায় আগমন: মদিনাবাসী তাঁকে সাদরে গ্রহণ করে। তিনি সেখানে প্রথম মসজিদ (মসজিদে কুবা) নির্মাণ করেন এবং পরবর্তীতে মসজিদে নববী প্রতিষ্ঠা করেন।
* মদিনা সনদ: তিনি মদিনায় বিভিন্ন ধর্ম ও গোত্রের মধ্যে শান্তি ও সহাবস্থানের জন্য মদিনা সনদ তৈরি করেন, যা ইতিহাসের প্রথম লিখিত সংবিধানগুলোর মধ্যে অন্যতম।
* সামরিক অভিযান ও যুদ্ধ: মক্কার কাফিরদের সাথে মুসলিমদের বেশ কয়েকটি যুদ্ধ হয়, যেমন - বদর, উহুদ, খন্দক। এই যুদ্ধগুলোতে মুসলিমরা বিজয়ী হয় এবং ইসলামের প্রভাব বাড়তে থাকে।
* মক্কা বিজয় (৬৩০ খ্রিস্টাব্দ): অষ্টম হিজরীতে তিনি ১০ হাজার সাহাবীকে নিয়ে মক্কা বিজয় করেন। তিনি মক্কায় প্রবেশ করে কাবাঘরকে মূর্তি মুক্ত করেন এবং সকল মক্কাবাসীকে ক্ষমা করে দেন।
৬. শেষ জীবন ও ওফাত:
* বিদায় হজ: দশম হিজরীতে তিনি বিদায় হজ পালন করেন এবং সেখানে লক্ষাধিক সাহাবীর সামনে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় ভাষণ প্রদান করেন। এই ভাষণে তিনি ইসলামের মৌলিক শিক্ষা, যেমন - একতা, ভ্রাতৃত্ব, ন্যায়বিচার, নারীদের অধিকার ইত্যাদির উপর জোর দেন।
* ওফাত: ৬৩২ খ্রিস্টাব্দে (১১ হিজরী, ১২ রবিউল আউয়াল) তিনি মদিনায় ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন ছিল বিশ্ব মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি কেবল একজন ধর্মীয় নেতা ছিলেন না, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিচারক, সেনানায়ক এবং সমাজ সংস্কারকও ছিলেন। তাঁর শিক্ষা এবং আদর্শ আজও কোটি কোটি মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে চলেছে।

2 ساعت ·ترجمه کردن

তেমন কিছুই না😞মাঝখান থেকে কিছু নোংরা অভিজ্ঞতার স্বীকার ও কিছু নিচু মন মানসিকতার মানুষের সাথে দেখা হল,😔😔😔😔একাকিত্বে পাইনি তাহারে, সুদিনে যে বন্ধু ছিলো আমার😔😔😔
নয়নে নয়ন রেখে হৃদয়ে উঠেছে একাকিত্বের ঢেউ😞😞

,দূর থেকেও থাকে একাকি ভীষণ প্রিয় কেউ।😞

2 ساعت ·ترجمه کردن

মুখে বলোনি,
অথচ দিব্যি ব্যবহারে বুঝিয়েছো, আমি তোমার কেউ নই! অবহেলা-অনাদরে ফেলে রেখে দিনের পর দিন নিঃসঙ্গতার আঁধারে ডুবিয়ে দিয়ে তুমি দূরে থেকেছো!

মুখে বলোনি,
আমাকে তোমার আর ভালো লাগে না। আমি অবুঝ নই। তুমি আগ্রহ হারিয়ে বসে আছো, আমি দিব্যি টের পেয়ে যাই। তুমি তো ভালোবেসে কাছে আসোনি। ভালোবেসে কাছে আসলে, দূরে থাকা যায়? যায় না।

স্বীকার করোনি,
শুধু তোমার মৌনতা আমাকে বুঝিয়েছে, তুমি আসলে ক্লান্ত। আমার এই অতিরিক্ত আবেগ, অতিরিক্ত তোমাকে কাছে পাওয়ার লোভ- তোমাকে পীড়া দিচ্ছে ভীষণ! জিজ্ঞেস করেছি, তুমি আসলে কী চাও? কোনো উত্তর দাওনি। আমি বুঝে গেছি, তুমি আর আমায় চাইছো না।

ভালোবাসোনি,
অথচ দিনের পর দিন ভনিতার খেলায় মেতে উঠেছো আমায় পরাজিত করতে। আমাকে কি সত্যি হারাতে পেরেছো? নাকি মনের অজান্তেই আমায় হারিয়ে ফেললেিপ চিরতরে?

স্বীকার করোনি,
তোমার এইসব ব্যস্ততার অজুহাত, আমাকে ম্যাচুরিটি শেখানো, আবেগ কমাতে বলা, যোগাযোগহীনতায় রেখে মাঝে মাঝে নিয়মরক্ষা করতে খুদে বার্তায় জানান দেয়াটা আসলে ভালোবাসা নয়। অবসর সময়ে বিনোদন নেয়া মাত্র।

সংগৃহীত

7 ساعت ·ترجمه کردن

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

7 ساعت ·ترجمه کردن

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?

7 ساعت ·ترجمه کردن

"কালো পরী" (Kalo Pori) বলতে সাধারণত লোককথা, গল্প বা কবিতায় একধরনের রূপকথার চরিত্র বোঝায়।

অর্থ ও ব্যবহার:

পরী মানে আধ্যাত্মিক/অলৌকিক সত্তা, যাদের সৌন্দর্য, রহস্য আর জাদুকরী ক্ষমতার কথা বলা হয়।

কালো পরী বলতে বোঝায় হয়তো রহস্যময়, অন্ধকার, ভয়ংকর অথবা দুঃখের প্রতীকী কোনো পরী।

অনেক সময় গল্পে "কালো পরী" ব্যবহার করা হয় অশুভ শক্তি বা রহস্যময় অন্ধকার জগতের প্রতিনিধি হিসেবে।

আবার কবিতা বা প্রেমের গল্পে "কালো পরী" হতে পারে কারো গভীর কালো চোখের রূপক।

উদাহরণ:

কোনো গল্পে নায়কের শত্রু হতে পারে "কালো পরী", যে অন্ধকার শক্তির নিয়ন্ত্রক।

কবিতায় প্রেমিকার সৌন্দর্য বোঝাতে বলা যায়, “তোমার কালো চোখ যেন কালো পরী”।

👉 চাইলে আমি আপনাকে একটা ছোট গল্প লিখে দিতে পারি যেখানে “কালো পরী” চরিত্রটি আসবে।

আপনি কি চান আমি একটা গল্প লিখি কালো পরী নিয়ে, নাকি শুধু বর্ণনা দেব?