শরীরটা বিশেষ ভালো না। স্বামী বললো, 'তুমি রেস্ট নাও, আমি ডিনার রেডি করি।'
আলহামদুলিল্লাহ বলে মশারীর নিচে গেলাম। হাতে ফরহাদ খানের 'শব্দের গল্প'। দুই লাইন পড়তে পড়তেই সে এসে বললো, 'নুডুলস কোথায়? খুঁজে পাচ্ছি না।'
বললাম, কিচেনে আছে, দেখো। কিচেনের কোথায় আছে তাও স্পেসিফিক করে বললাম।
সে খুঁজে পায় না।
উঠলাম। নুডুলস খুঁজে দিলাম। আবার মশারীর নিচে এলাম।
কিছুক্ষণ পর সে এলো। চিংড়ির মাথা-লেজ কী করবে বুঝতেছে না। ধরতে নাকি তার কেমন লাগে। গেলাম আবার, কী আছে জীবনে। মাথা লেজ আলাদা করে চিংড়ি ভাজলাম। মশলা দিয়ে সেদ্ধ দিলাম।
কিছুক্ষণ পর সে এসে বললো, 'একটু দেখে যাও। নুডুলস তো নরম হয় না। ভেজাল নুডুলস মনে হয়।'
আবার গেলাম। এক্সট্রা গরম পানি করে ব্রথে দিলাম। দাঁড়িয়ে থেকে নুডুলস সেদ্ধ করলাম। মুখে দিয়ে দেখি স্যুপের কোনো টেস্ট নাই। মশলাপাতি দিয়ে সেদ্ধ করলাম। এবার কিচেনের কোণায়ই রইলাম, একটু পর পর আসার চেয়ে একবারেই থাকি।
এরপর সে বললো, দাঁড়ায়া আছো যেহেতু তাহলে একটু সালাদ বানাও কষ্ট করে।'
বানাইলাম।
এরপর বলে সসেজ ভাজতে আর ডিম ছিলতে। ছিলে দিলাম। সেটাও সমস্যা না।
সমস্যা হইলো, সে এখন 'সোতঁ সোঁত' করে খাবারে টান দিতেছে আর বলতেছে, 'অনেক ভালো রানছি তো!' # # #