"হে নারী, তুমি শুধু নারী নও"
তুমি নারী—প্রকাশের আগে
নিজের ভেতর করো নিজেকে রচনা,
তুমি তো নও কেবল এক জীবন-ধারিণী,
তুমি পরিপূর্ণতার এক নীরব সূচনা।
সৃষ্টির মূলধারা, আশীর্বাদের পাথেয়,
তুমি গড়ো, তুমি ভাঙো—তুমি সব কিছুর প্রভু নয়,
তবে তুমি সেই অদৃশ্য আলো—
যা ছুঁয়ে যায় জীবনের প্রতিটি ক্ষয়।
পুরুষের গড়া শাসনব্যবস্থায়
তোমায় বলা হয় অবহেলিত,
তবে হে নারী—জেনে রেখো,
তুমি সৃষ্টির শিল্পকলায় অনন্য অলঙ্কৃত।
তোমার নিঃশ্বাসে জেগে ওঠে প্রেমের কবিতা,
তোমার চোখে জ্বলজ্বলে নক্ষত্রের ইশারা,
তুমি মা হয়ে দাও স্নেহের আকাশ,
বোন হয়ে দাও বন্ধনের বিশ্বাস।
তুমি সহধর্মিণী—হৃদয়ের সহযাত্রী,
আবার কখনো তুমি শিশু কন্যা—
কলিজার টুকরো আদর-ভরা প্রতিচ্ছবি,
তোমার হাসিতে জেগে ওঠে মানবতার ব্যাকরণ।
তোমার লজ্জা, তোমার সততা—
তোমার গোপন গৌরব রক্ষা করো অতি যতনে,
কারণ তুমি সেই মহাগ্রন্থের পাতায় লিখিত—
যার ভাষা সত্য, যার নাম প্রেম।
তাই হে নারী, তুমি নিজেকে জানো,
নিজের ভেতর লুকিয়ে থাকা ঈশ্বরত্বকে চিনো,
সমাজ তোমায় যা বলে, তা নয় সত্য—
সত্য এই, তুমি এক অক্ষয় শক্তির নিরব বিস্ময়।
----
শেষান্তে হে নারী, তুমি পৃথিবীর ভারসম্য রক্ষার্থে,
আপন গভীরে ধারন করো, হিংসা, দম্ভ, অহংকার মুক্ত একটি শীতল হৃদয়, দেখবে আগামী প্রজন্ম হবে ভাবনাহীন সুখকর প্রজাপতি, আমাদের পৃথিবীর সকলই হবে গুনিজন।
--