মায়ের মমতা
গত কয়েক মাস পূর্বে bsc ভবনে অগ্নিকুণ্ডের ঘটনায় একটানা প্রায় সাত ঘন্টা আগুন নেভানো ও উদ্ধারের কাজে অংশ নিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ১৫০ জন সদস্য এদের সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম যে দলটি উপস্থিত হয় তাদের মধ্যে থেকে একজন হলেন নাসির উদ্দিন এক আলাপচারিতায় তীরে তুলে ধরেন অগ্নিকাণ্ডের সেই ভয়াবহতা
তিনি বলেন ভেতরের মানুষ কান্না আর আর আহাজারি শুনে বুকটা থর থর করে কেঁপে ওঠে ভাবলাম খালি একটা মুই আর দুইটা টালি দিয়ে কি এতগুলো মানুষকে বাঁচানো সম্ভব সঙ্গে সঙ্গে ভাবলাম গরিব দেশ যন্ত্রপাতির অভাব তো সব সময় আফসোস করে লাভ নেই সময় নষ্ট না করে আমি জ্বলন্ত টালি দিয়ে ভবনের উত্তর পাশে গেলাম সাথে না করে আমি জ্বলন্ত তালি দিয়ে ভবনের উত্তর পাশে গেলাম সেখানে না পাঁচ তলা দাঁড়িয়ে ছিলাম কয়েকজন আমি নিয়ে কাছে গেলে কার লাগে কেউ উঠতে পারে মুড়ি আরম্ভ হল নার্ভাস হবেন না সিরিয়াল ধরুন ধৈর্য ধরুন এবং এবং আল্লাহর হুকুম তারা শিশুর মত আমার কথা মেনে লাইন ধরলেন আমি প্রতিবার চার-পাঁচজন করে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন লোক পার করলাম এরপর উত্তর দিকে মৈ ফিট করার জন্য ছাদে গেলাম সেখানে গিয়ে দেখি শতাধিক মানুষ অসহায় মুখ আমি দেখলাম একটি বাচ্চাকে কোলে নিয়ে মা চিৎকার করে কাঁদছেন আমাকে বললেন আর ছেলেটি বাঁচান ভাবলাম সময় যত গড়াবে শিশুটি তত অস্থির হবে বয়েজ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে পরে তাকে উদ্ধার করার কঠিন হয়ে পড়বে সে সাথেই ভাবলাম সবাই যেখানে নিজ প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত থাকলে মাথাপিছু কে নিয়ে দিশেহারা তাকে বললাম ও না দিয়ে ছেলেদের আমার পিঠে শক্ত করে বেলে দিন তারপর ছয় সাত বছরের ছেলেটি নিয়ে ১৫০ ফুট উপর থেকে ত্রিদেব আধা ঘন্টা পর বাচ্চা থেকে মাছির ছেলে মেয়ে আছে তৃপ্তি ভরে দেখলাম জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন তারপর আমি ছুটে গেলাম আমার কাজ যে।