পর্ব ১: হারিয়ে যাওয়া দিনগুলো
শহরের এক কোণে, একটা পুরোনো মফস্বল এলাকার মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল এক ধূলিমাখা, পরিত্যক্ত বাড়ি। মানুষ বলত, এই বাড়িতে এক সময় এক অদ্ভুত পরিবার বাস করত। তারা কেউ বাইরে আসত না, কেউ দেখত না তাদের হাসতে কিংবা কারও সঙ্গে মিশতে। হঠাৎ একদিন তারা গায়েব হয়ে যায়। সেই থেকে বাড়িটা নিঃশব্দ হয়ে আছে। এই গল্পটা শুরু হয় আরিফ নামের এক তরুণকে দিয়ে। বয়স মাত্র ২৪। সে একজন ইতিহাস গবেষক। শহরের পুরোনো গলিগুলো, ভুলে যাওয়া কাহিনিগুলো আর লোককথা—এসবই তার প্রিয় বিষয়। একদিন একটা পুরনো পাণ্ডুলিপি পড়তে গিয়ে সে ওই বাড়ির কথায় হোঁচট খায়।
> “১৯৭১ সালের দিকে, রাজবাড়ী এলাকার উত্তর কোণে এক বাড়ি… যার গোপন ঘরে কিছু লুকানো ইতিহাস আছে… যার নীরবতা অনেক বড় কিছু চেপে রেখেছে…”
আরিফের কৌতূহল পেয়ে বসে। সে ভাবে:
"এই বাড়ির গোপন ঘর! কী থাকতে পারে ওখানে? কোনো নিখোঁজ মানুষ? যুদ্ধকালীন কোনো নথি? না কি অন্য কিছু?"
সে সিদ্ধান্ত নেয়, সে এই বাড়ির ভিতরের সত্য উন্মোচন করবে। কিন্তু যখন সে প্রথম বার বাড়িটিতে পা রাখে, তখন থেকেই অদ্ভুত কিছু ঘটতে শুরু করে।
দরজাটা নিজে নিজেই খোলে। বাতাসটা ভারি হয়ে যায়। যেন কেউ ফিসফিস করে বলছে:
“ফিরে যা… এটা তোমার জায়গা না…”
কিন্তু আরিফ থামে না। সে ভাবছে, এই রহস্যের জালে যদি কোনো সত্য লুকিয়ে থাকে, সেটা বের করতেই হবে। সে নিজের ডায়েরিতে লিখে রাখে:
> “আজ আমি সেই নিঃশব্দ শহরের ছায়ায় পা রাখলাম… যদি ফিরে না আসি, কেউ যেন জানে, আমি সত্যের খোঁজে গিয়েছিলাম।” ।
Yasin Islam
टिप्पणी हटाएं
क्या आप वाकई इस टिप्पणी को हटाना चाहते हैं?