*গল্প: "নীল আকাশের নিচে"*
রিমি ছোট্ট এক গ্রামে থাকে। প্রতিদিন ভোরে উঠে নদীর ধারে বসে সূর্যোদয় দেখে, পাখির গান শোনে, আর ডায়রিতে লিখে— “প্রকৃতি যেন আমার সবচেয়ে আপন বন্ধু।”
একদিন হঠাৎই শহর থেকে একজন ছেলে আসে—নাম রায়হান। সে ফটোগ্রাফি করতে গ্রামে এসেছে। নদীর ধারে রিমির সঙ্গে দেখা হয়। প্রথম দিনেই রায়হান বলে, “তুমি কি প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখো?”
রিমি হেসে বলে, “হ্যাঁ। প্রকৃতির মাঝে যে এক অন্যরকম ভালোবাসা আছে।”
এরপর প্রতিদিনই ওরা দেখা করতে থাকে—সূর্যোদয়ের সময়, ফুল ফোটা দেখে, পাখির ডাকে জাগে। প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের দুজনের বন্ধুত্ব এক সময় ভালোবাসায় রূপ নেয়।
একদিন রায়হান বলল, “আমি শহরে ফিরে যাব, কিন্তু তোমার আর এই প্রকৃতির থেকে দূরে থাকতে পারব না।”
রিমি চুপ করে নদীর জলে পা ডুবিয়ে বলে, “ভালোবাসা প্রকৃতির মতোই—শান্ত, ধীরে ধীরে গভীর হয়। আমি অপেক্ষা করব।”
ছয় মাস পর, এক সকালে রিমি আবার নদীর ধারে আসে—দেখে রায়হান ঠিক আগের জায়গায় দাঁড়িয়ে। হাতে একটি ফুল আর চোখে সেই আগের ভালোবাসা।
---
*শেষ লাইন
প্রকৃতি যেমন প্রতিদিন ফিরে আসে, ভালোবাসাও ঠিক তেমনই—শুদ্ধ, ধৈর্যশীল আর অনন্ত।
--
জুলিয়েট শেখ
Удалить комментарий
Вы уверены, что хотите удалить этот комментарий?