ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলি মূলত দেশের পরমাণু শক্তি কর্মসূচির অংশ, যার মাধ্যমে তারা বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন, বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং সম্ভাব্যভাবে সামরিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করেছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা দেওয়া হলো:
---
🏭 গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনা:
1. নাতানজ (Natanz) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র
অবস্থান: ইসফাহান প্রদেশ
কাজ: সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ
এটি ইরানের প্রধান ও বৃহত্তম ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র।
2. ফোর্ডো (Fordow) ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র
অবস্থান: কুম শহরের কাছে একটি পাহাড়ের নিচে
বৈশিষ্ট্য: এটি ভূগর্ভস্থ এবং সামরিক হামলার হাত থেকে নিরাপদ রাখার জন্য তৈরি।
3. ইরাক (Arak) হেভি ওয়াটার রিঅ্যাক্টর
অবস্থান: আরাক শহর
কাজ: হেভি ওয়াটার ব্যবহার করে প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের সক্ষমতা
এটি ভবিষ্যতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্লুটোনিয়াম তৈরি করতে পারে বলে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ রয়েছে।
4. বুশেহর (Bushehr) পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র
অবস্থান: পারস্য উপসাগরের তীরে
কাজ: বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন
রাশিয়ার সহায়তায় তৈরি হয় এবং এটি ইরানের প্রথম কার্যকর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
5. ইসফাহান ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র (UCF)
কাজ: ইউরেনিয়াম অক্সাইডকে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইডে রূপান্তর
এটি সমৃদ্ধকরণের পূর্বের ধাপ।
---
📌 অন্যান্য সম্ভাব্য স্থাপনা:
পারচিন (Parchin) মিলিটারি কমপ্লেক্স: এটি একটি সামরিক স্থাপনা যেখানে পারমাণবিক বিস্ফোরণের অনুশীলন বা গবেষণার অভিযোগ রয়েছে।
---
🌐 আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত:
IAEA (আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা) এসব স্থাপনার ওপর নজরদারি চালায়।
JCPOA (Joint Comprehensive Plan of Action) ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত হলেও আমেরিকা প্রত্যাহার এবং ইরানের প্রতিক্রিয়ায় চুক্তির বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।
---