মিসাইল প্রতারণা যুদ্ধের একটি অভিনব কৌশল
আমরা কখনও রাতের আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে মিসাইল ছুটে আসতে দেখি কিন্তু আঘাতের পরিমাণ কম হয়। বেশীর ভাগ মিসাইল আকাশেই ফুটে যায়। কিংবা মাটিতে পড়ার আগে অনেকটা গতিশূন্য হয়ে থেমে যায়। আবার দেখা যায় সেই ফাঁকে একটা ভয়ানক গতিতে আঘাত হেনে বসেছে। এখানে সবগুলোই মিসাইল নয়, শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, এ সবের অধিকাংশই গতিশীল ধাতব ফটকা। কেন তাহলে ফটকা!
একটি মিসাইলের ভিতরে অনেকটা সামনের দিকে, অনেকগুলো ছোট বোমা সেট করা থাকে। এগুলোকে ওয়ারহেড বলা হয়। ধরুন ১০টি ওয়ারহেড আছে একটি মিসাইলে। তনুমধ্যে ৮ টি ধাতব ফাঁকা ফটকা বাকি দুটো প্রকৃত বোমা। সবগুলো একই দিকে ফায়ার করা হয়।
রাতের আকাশে অগ্নিগোলক হয়ে এগুলো লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হয়। মাটিতে রক্ষিত রাডার তখন কোনটা আসল কোনটা নকল সেটা নির্ণয় করতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। রাডারকে এভাবে ধোঁকায় ফেলানটাই হল মিসাইল প্রতারণা। শত শত ধাতব ফটকার চেয়ে, একটি বোমার মূল্য অনেক বেশী।
আগত বোমাগুলো নিয়ে রাডারের সিদ্ধান্ত নিতে হাতে সময় খুব কম থাকে। ফলে অধিক জ্বলন্ত এবং গতিশীল গোলাকে আগত ক্ষেপণাস্ত্র মনে করে, রাডার নিজের দামী ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দেয়। দেখা যায় রাডারের নিক্ষেপে ভূলুণ্ঠিত বস্তুটি আদতেই কোন ক্ষেপনাস্ত্র ছিল না। তা ছিল একটা ধাতব ফটকা।
একটা ফটকার পিছনে মিলিয়ন ডলারের দামী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, অর্থনৈতিক ক্ষতির মধ্যে পড়া হয়। আমরা আকাশে এগুলোকেই বেশী মাত্রায় দেখে থাকি। রাডার বা আয়রন ডোমকে এসব ফালতু বোমা ব্যস্ত রাখে। ফাঁক দিয়ে তাজা বোমাটি দ্রুত গতিশীল হয়ে লক্ষ্য আঘাত হানে। ই'রানের যু'দ্ধ কৌ'শলে আপাতত এই পদ্ধতির প্রয়োগটাই বেশী দেখা যাচ্ছে।
__________________________________
লিখেছেনঃ নজরুল ইসলাম টিপু

Shakil Hossain
댓글 삭제
이 댓글을 삭제하시겠습니까?