পাশার দান বদলে গেছে। চোখে না দেখলেও বাতাসে তার গন্ধ টের পাওয়া যায়।
ফোরদু নিউক্লিয়ার সাইটে আমেরিকার আক্রমণ—যেটাকে শুরুতে "সাফল্যের প্রতীক" বলে বাজারে চালানো হয়েছিল—তা এখন বুমেরাং হয়ে ফিরছে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও পলিমার্কেটে সেই অপারেশনের সফলতার সম্ভাবনা ছিল ৯০ শতাংশ। কিন্তু এখন? ৬০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটাই বলে দেয়, যেসব চোখ ধাঁধানো বিবৃতি দিয়ে মিডিয়াকে সাজানো হয়েছিল, তার ভিত এখন টলমল করছে।
আজকের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো তাদের ন্যারেটিভ বদলে ফেলবে। তারা বলবে না, ‘আমরা ভুল বলেছি’। তারা বলবে, ‘নতুন তথ্য হাতে এসেছে’।
তবে এই নাটকের সবচেয়ে চমকপ্রদ অধ্যায় অন্যখানে।
আমরা জানি না ইরান আর আমেরিকার মধ্যে কোনো গোপন গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান হয়েছিল কি না।
কিন্তু এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যায়—ইরান ছিল প্রস্তুত।
অত্যন্ত শৃঙ্খলাভঙ্গহীনভাবে তারা ফোরদু থেকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সরিয়ে ফেলেছে ৪৮ ঘণ্টা আগে। এমন পরিকল্পনা এক দিনে হয় না, এটা গোছানো বুদ্ধির পরিচয়।
কিছুদিন আগেই এক আন্তর্জাতিক জরিপ বলেছে—ইরানিরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আইকিউ সম্পন্ন জাতিগুলোর একটি।
সেটা হয়তো অনেকেই তাচ্ছিল্য করে।
কিন্তু আজকের ফোরদু নাটক প্রমাণ করে—
They are not just brave. They are intelligent.
এটাই তাদের আসল অস্ত্র।
এবং যুদ্ধক্ষেত্রে,
বুদ্ধিমত্তাই শেষমেশ জয়ী হয়।

Shakil Hossain
מחק תגובה
האם אתה בטוח שברצונך למחוק את התגובה הזו?