মিরপুর থেকে ক্রিকেটকে বের করা৷ জেলাগুলোকে পরিচালনা করার জন্য বিভাগগুলোতে "মিনি বিসিবি" অফিস তৈরী করা৷
টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তির ফেস্টিভালের বাহ্যিক উদ্দেশ্যের সাথে সাথে একটা বৃহত্তর উদ্দেশ্যও ছিল, তা হল বিভাগীগুলোর অবস্থা সরেজমিনে দেখা৷ বিভাগীয় কমিশনারদের ইনভলভ করে তাদের সাথে পরামর্শ করা ক্রিকেটকে বিকেন্দ্রীকরণে। জেলাগুলোর লোকাল ক্লাবগুলোকে সচল করার একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরী করা৷
রাজশাহী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে একটা মাস্টারপ্ল্যান দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে৷ ছবিতেই দেখছেন স্টেডিয়ামের সংস্কারের ড্রইং নিয়ে ব্রিফ দিচ্ছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান৷ ড্রেসিং রুম, মেডিকেল রুম, ডো*প টেস্ট রুম, মিডিয়া বক্স, ভিআইপি জোন সহ পুরো মাস্টারপ্ল্যান করা হয়েছে৷ পুরো মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গ্রিণ সিগনাল দিয়েছে৷ এক বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবে রাজশাহী৷
ফেস্ট চলতে চলতে আমরা গিয়েছিলাম সেখানকার মহিলা কমপ্লেক্সে যেখানে একটি বড় মাঠ, জিমনেশিয়াম আর অ্যাকোমোডেশন ফ্যাসিলিটি আছে৷ একটা ডিসকাশন হয়েছে, নারীদের ক্রিকেটের প্র্যাকটিসের জন্য এমন আলাদা স্থান বিসিবির নেয়া দরকার৷
এই সামগ্রিক বিষয় এবং রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোতে খেলা পরিচালনা করা ও পুরো ডিসেন্ট্রালাইজেশন করে ক্লাবগুলোকে সচল করার ব্যাপারে শেষে আমরা মিটিং করি বিভাগীয় কমিশনারের সাথে৷ বিভাগীয় কমিশনার হলেন একটা বিভাগের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা৷
চমৎকার একটা কমিউনিকেশনে রাজশাহী বিভাগের মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে৷
গতকাল এই কাজটায় হয়েছে খুলনায়৷ নাজমুল আবেদীন ফাহিম স্যার ছিলেন, কাল আমরা যাচ্ছি সিলেটে, সেখানেও বিভাগীয় কমিশনারের সাথে ডিসেন্ট্রালাইজেশন নিয়ে কথা হবে। এরপর যথাক্রমে চট্টগ্রাম, রংপুর, বরিশাল বিভাগে৷ মিরপুর থেকে বের হচ্ছে বিসিবি।
শেষ ছবিতে প্যারেন্টাল কোচিং কোর্সে মায়েদের ক্লাস নিচ্ছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট৷ এই কনসেপ্টটা হয়তো মাসখানেক আগে আমার একটা কন্টেন্টে দেখেছেন অনেকেই৷ এই কনসেপ্টটাকে আরো বড় আকারে কোচিং গাইডলাইন নিয়ে আসা যাবে ডিজিটাল মাধ্যমে৷ বিসিবির ওয়েবসাইটে সবার জন্য ডিজাইন করার পরিকল্পনা আছে ক্রিকেট ফাউন্ডেশন কোচিং কোর্স, ডেভেলপমেন্ট কোচিং কোর্স, বেসিক আম্পায়ার্স ফাউন্ডেশন কোর্স৷ ডিজিটালাইজেশন মানে কিন্তু কন্টেন্ট মেকিং নয়, ডিজিটালাইজেশন বলতে বোঝায় গেইম এডুকেশনের ডিজিটালাইজেশন। শিগগিরই সেগুলো জানবেন৷ বাবা -মা থেকে শুরু করে স্কুলের পিটি শিক্ষক, কিংবা একটা কমিউনিটির যে কোন ছেলে ক্রিকেট কোচিং এর আওতায় আসবে৷ অ্যাকাডেমীগুলোতে অনেক কোচেরাই আছেন যারা লেভেল কোচিং করতে পারছেন না বিসিবির ক্যালেন্ডারের জন্য৷ তারা অন্তত অনলাইনে কিছু ফাউন্ডেশন কোর্স করতে পারবেন৷ সোশ্যাল মিডিয়াকেও Entertainment purpose এর সাথে "এডুকেশনাল purpose এ ব্যাবহার করার পরিকল্পনা এবং brain storming চলছে৷
