গতকাল লাল চুলের পাগলা চীনকে দিয়ে চাপ প্রয়োগ করতে চাইলো, ইরান যাতে যু*দ্ধ শেষ করে ।
নেতানিয়াহুও গতকাল বললো , 'আমরা আর যু*দ্ধ চাই না । আমাদের মিশন সফল । '
আজকে ট্রাম্প নিজে নিজেই ঘোষণা দিয়ে বসলো ,
' যু*দ্ধ বিরতি কার্যকর । কেউ লঙ্ঘন করবে না। '
অথচ তেহরান পার্লামেন্টের স্পিকার মাহদি মোহাম্মদ জানাইলো, এই ধরনের কোনো চুক্তি ইরান করে নি।
যদিও রাষ্ট্রপতি জানাইছে , যদি ভোর চারটার ভেতর হিজরায়েল হামলা না করে , তাহলে ইরানও আর করবে না ।
এখন হিজরায়েল এবং আমেরিকা বারবার যুদ্ধবিরতির কথা বলছে ।
অথচ কিছুদিন আগের দৃশ্য জাস্ট মনে করেন , প্যা*লেস্টাইনে যেটা ঘটছে , পুরো বিশ্ব দেখতেছে ।
ত্রাণের নামে মানুষদের ডেকে এনে মানুষ হত*্যা করা হচ্ছে । মানুষ না খাইতে পেয়ে মরতেছে ।
জাতিসংঘ যুদ্ধ বিরতির কথা বললো । সবাই রাজি ৷ আমেরিকা না করলো । কারণ হিজরায়েল নাকি আত্মরক্ষার অধিকার রাখে ।
কিভাবে?
নারী ও শিশু*দের হত*্যা করে?
অথচ এখন তারা বারবার যু*দ্ধ বিরতির কথাই বলছে।
কারণ আমেরিকা কিংবা হিজরায়েল কেউই চায় না এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক।
২১ জুন প্রথম আলোতে একটা কলাম প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের ' University of Wisconsin ' এর মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ে গবেষণা করা এক বিশ্লেষকের।
তিনি ছক কষে দেখিয়েছিলেন, হিজরায়েল ও আমেরিকার আসলে এই যুদ্ধে দীর্ঘায়িত হইলেও জয়ের সম্ভাবনা শূন্য ।
যুদ্ধের একটা বড় সত্য হইলো ,
"যুদ্ধে শক্তিশালী দলের বিপক্ষে দুর্বল দলের টিকে থাকাই মানে যুদ্ধে জয়ী হওয়া । "
আর আমেরিকা ও হিজরায়েল ও জানে , তারা যতোই আগ্রা*সন চালাক ইরান শেষ পর্যন্ত টিকে যাবে ।
কেনো?
ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর ইরান গত প্রায় ৪০ বছর ধরে এই ধরনের যুদ্ধের জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছে ।
এই চার দশকে ইরান মাটির নিচে আরেকটি ইরান তৈরি করেছে যেখানে কেবল কয়েক ডজন ‘আন্ডারগ্রাউন্ড মিসা*ইল সিটি’-ই কেবল নয়, বরং আন্ডারগ্রাউন্ড নেভার বেইজ, এয়ার বেইজ আছে।
অনেকেই ধারণা করেন , ইরানের সামরিক সক্ষমতার ৮০ ভাগ তারা মাটির নিচে নিয়ে গেছে যেগুলো কনভেনশনাল যু*দ্ধা*স্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।
আপনি এগুলো জিপিএস দিয়ে ট্র্যাক করতে পারবেন না, এবং জানবেনও না যে এগুলো এক্সিস্ট করে।
একটা জিনিস খেয়াল করেন , আমেরিকা ফের্দোতে যে হা*মলা চালাইছে , ট্রাম্প বললো , ফোর্দো ধ্বং*স হয়ে গেছে ।
ইরান বলছে কিছুই হয় নি । বরং সব ইউরেনিয়াম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে । এমনকি কোনো তেজস্ক্রিয়াও ছড়ায় নি ।
তাহলে —
মাটির নিচের এসব সামরিক সক্ষমতা ধ্বং*স করার একমাত্র উপায় স্থল অভিযান। কিন্তু ইরানকে বলা হয় এগ্রেসরদের আতঙ্ক/ নাইটমেয়ার।
কারণ হইলো ইরান মূলত একটা দুর্গ । এর প্রায় তিন দিকে সুবিশাল পর্বতমালা দিয়ে ঘেরা, একপাশে কৃষ্ণ সাগর।
আর দীর্ঘ যু*দ্ধ মানেই খরচ । ইরাকে আমেরিকার খরচ হয়েছিলো , দুই ট্রিলিয়ন ডলার ।
এই বিশ্লেষণেই বলা হয়েছে , ইরানে যদি এই দীর্ঘ সময় যু*দ্ধ চালিয়ে যেতে চায়, আমেরিকার খরচ হইতে পারে তার ৪-৫ গুণ অর্থাৎ ৮-১০ ট্রিলিয়ন ডলার। যা আমেরিকার টোটাল জিডিপির এক তৃতীয়াংশ ।
এই পরিমাণ বাজেট যুদ্ধে খরচ করতে গেলে আমেরিকার অর্থনীতি কার্যত দেউলিয়া হয়ে যাবে ।
কিন্তু এই দীর্ঘ যুদ্ধে ট্রিলিয়ন ডলার খরচ কইরাও ইরাক, আফগানিস্তানের মতো আমেরিকাকে শেষমেষ তল্পিতল্পা গুটিয়ে ফিরতে হবে । ভিয়েতনাম যুদ্ধের মতো হাজার হাজার সৈনিক হারাইতে হবে ।
আমেরিকার ফোর্দোতে হামলার পর ইরানের একটা কথা মনে পড়লো আজ ,
" ট্রাম্প শুরু করছে, এর শেষটা আমরাই করবো । "
সত্যি বলতে শেষটা এখন ইরানেরই হাতে । তারা চাইলে এই যু*দ্ধ দীর্ঘ হবে , আর না চাইলে এখানেই শেষ ।
পুরো বিশ্ব দেখেছে , ইরানের ক্ষয়ক্ষতি বেশিই হয়েছে। মানুষ মারা গেছে ইরানেরই বেশি । এমনকি এই যুদ্ধ দীর্ঘ হইলে ইরানের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হবে — এটা জেনেও কিন্তু তারা ভয় পাচ্ছে না ।
আমি বলছি না , ইরান যুদ্ধ বিরতি কার্যকর করবে না ।
আগে পরে যুদ্ধ বিরতি হবেই । হয়তো আজই ।
কিন্তু বলছি তারা আত্মসমর্পণ করে নি ।
তাদের পারমাণবিক অ*স্ত্র নেই তবু ভয় পেয়ে তারা কারো পকেটে ঢুকে যায় নি।
সৌদি তো শুধু আজীবন দেখাইয়া আসছে , লালন কইরা আসছে তেল বিক্রি কইরা নিজেদের বিলাসিতা ।
কিন্তু ইরান উপরে উঠে এসেছে একই সাথে গৌরবময় ইতিহাস , ধর্ম, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি , সাহিত্য ও শিল্পের সিঁড়ি বেয়ে ।
একটা জাতির এত সাহস, এত তেজ , এরা মইরা গেলেও মানুষ এদের বাঁচাইয়া রাখবে মনে ।
"Big brother is watching me? I won't say, i don't care but i will face. " যেনো তাদের মুখের ভাষা।
এরা জন্ম নিয়েছে পৃথিবীতে ' M

Saeid Islam
Slet kommentar
Er du sikker på, at du vil slette denne kommentar?