7 میں ·ترجمہ کریں۔

কালো মায়াবতী একটা মেয়ের সাথে নাকি আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। ভদ্র পরিবার, মেয়ের শিক্ষাও ভালো। বিএসসি পাশ। বয়স একটু বেশী, ২২ বছর। মেয়েটা নাকি একটু কালো। তাই পাত্রপক্ষ আগে বাড়ে না। আমার চাচাজান সে মেয়েটিকেই আমার জন্য পছন্দ করলো।মেয়েটিকে আমি দেখেছি ঢাকা থাকার সময়। মেয়ের মামা একটা ছবি ডাকের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। আহামরি তেমন কিছু না মেয়েটা। একটু শ্যাম বর্ন। কিন্ত চিঠিতে তো লিখলো,মেয়েটি নাকি কালো।আমি ছবির খামটা হাতে নিলাম। ইটালিয়ান হরফের স্টাইলে লিখা আছে,রঙ্গিলা স্টুডিও। ছবিটাতে আলাদা কাজ করা হয়েছে জানি। সে যাই হোক, আমার এতো কিছু না দেখলেও চলবে। তবে আমার নজর কেড়েছে মেয়েটির দু চোখ। চোখ যে এত সুন্দর হতে পারে, তা আমার জানা ছিলো না। যে দেখেছে মেয়েটির ও দুচোখ,সে কখনো ভুলতে পারবে না। আমি শিওর, এই চাপা মেয়েটার চোখের প্রেমে অনেকেই ডুব দিয়েছিলো। আমিও ডুবে গেলাম। এই মেয়েটির প্রেম সাগরে। মেয়েটিকে আমার চাই ই চাই।গ্রামে ফিরে এলাম। দীর্ঘ বিশ বৎসর পর। কেনো এতোদিন আসিনি, সেটা আরেক ইতিহাস। ক্রমান্বয়ে বলবো।আজ আমার বিয়ে। চাচা,কাজিন,এলাকার কয়েকজনকে নিয়ে আমি বিয়ে করতে গেলাম। রিক্সায় চড়ে।রিক্সাটির নাম,ছাবেরা পরিবহনতার নিচে লিখা বিবাহের জন্য রিজার্ভ দেয়া হয়। আট মাইল দূর থেকে ভাড়া করে আনা হয়েছে। গঞ্জ থেকে। গঞ্জের একমাত্র রিক্সা। বিবাহের সময় কাজে লাগে। আমরা মেয়েদের বাড়ি এসে গেছি। আমি সামনে এগুচ্ছি, চাচা বললো,রুমাল কই? নাকে মুখে রুমাল দাও। আমি বললাম, আনি নি তো। চাচা এমন করে তাকালো,যেনো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গেছে।মেয়েদের কোনো আহামরি আয়োজন ছিলো না। এরা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের। আমাদের পরিবারও আগে এমন ছিলো। ছোটো বেলায় মা বাবাকে হারিয়েছি। ছোটো চাচার কাছে ছিলাম কিছুদিন। তারপর যে কোনো এক কারনে ঢাকা চলে যাই। বাকীটা ইতিহাস। আর আসিনি। এইবার এলাম,বিয়ে করতে। চাচার সাথে চিঠিতে যোগাযোগ হতো। যাই হোক, মেয়ের বাবা নাকি বিশ হাজার টাকা আর এক ভরি স্কর্ণ দেবেন।আমার চাচা দেনমোহর ধার্য করেছেন ত্রিশ হাজার টাকা। এসবে আমার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। আমি মেয়েটিকে চাই। আর কিছু নয়।বিয়ে করে বৌ নিয়ে আসলাম। চাচাতো ভাই বোনেরা সবাই খেপাচ্ছে আমাকে। কালীর জামাইবলে।আমি এসব গায়ে মাখাচ্ছি না। আমি ডুবে আছি আমার স্বপ্নে। কখন কালো কাঁজল ডাগর ডাগর আঁখি দুটি দেখবো। কতটা মায়া সে চোখে নিয়ে আমার দিকে তাকাবে আমার বৌ? ইশ্.. আমার যে আর তর সইছে না গো....! কতক্ষন বসে ছিলাম জানিনা। ধ্যান ভাঙ্গলো পাশের ঘরের ভাবির কটুক্তি তে। কি ভাইসাব? খবর কি? বিবি ঘরে আইনা দেখি একেবারে ধ্যানে চইলা গেলা? হি হি হি.... যাও, যাও... অনেক রাইত হইছে। শুনো ভাইসাব, ঘর কিন্ত আন্ধার, মোম জ্বালাইয়া দিছি। মোমের আলোয় বিবিরে দেইখা আবার ভূত কইয়া চিল্লাইয়োনা। হি হি হি..আমি কিছু বলিনি। শুধু হাঁসলাম। গুটি গুটি পায়ে রুমের দিকে এগুতে লাগলাম। খাটের কাছে পৌছে গেছি। মেয়েটি লম্বা ঘোমটা দিয়ে বসে আছে। আমি গলা খাঁকারি দিলাম। মেয়েটি নড়েচড়ে উঠলো। আমি বলতে লাগলাম, তোমার নাম কি? মেয়েটি আস্তে করে বললো, মাইমুনা আক্তার ইরিইরি কোনো নাম? বাবায় রাখছে, আমার কি দোষ? আমি আবার বললাম, শুনো ইরি, আমি তোমার বর। তুমি আমার বৌ। আমি জানি,এতক্ষন অনেক কথার তীক্ষ্ণ বান হজম করেছো। করতে তো হবেই, কারন তুমি কালো। কালো হয়ে জন্ম নেয়া যে আজন্ম পাপ। তবে তুমি এসব নিয়ে ভেবো না। তুমি শিক্ষিতা,রুচিশীল মেয়ে। এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। পৃথিবীর কে কি বললো না বললো,তাতে তোমার কি? আমি তোমার বর। আমি কি বলেছি সেটা তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারো কথায় কষ্ট পেয়ো না। লেগে থাকো,তুমিই পারবো।কালো তো অনেকেই আছে। এটা পাপ নয়। বরং আশীর্বাদ। বেঁচে থেকো ঠিক ততদিন,যতদিন আমি ভালোবেসে যাবো তোমায়। তুমি আমার অর্ধাঙ্গিনী। মনে রেখো,তুমি আমি একই স্বত্ত্বা। ভয় এবং সংকোচ করো না। আমি তো আছি। কি? ভয় পাবে? নিজেকে ছোটো ভাববে? বলো?মেয়েটি কিছু বলছে না। হঠাৎ করে মনে হলো, ইরির দেহটা কেঁপে কেঁপে উঠছে। আরে,মেয়েটা তো কাঁদছে। আমি তার পাশে বসলাম।তার দু বাহুতে ধরলাম। আলতো ঝাঁকুনি দিলাম। ইরির মাথার কাপড় সরে গেলো। ইরি আমার দিকে তাকিয়ে আছে, জল ছলছল চোখে টলমল। আমি ইরির চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। আমার দৃষ্টি ফেরাতে পারিনা সে চোখ হতে। মনের মাঝে একটা কথা ধাক্কা দিচ্ছে, ওরে মায়া.... তুই এতো মায়া কেনো? এতোটা মায়াবতী কেনো? কি মায়া! কি মায়া! কি মায়া! মনের অজান্তে মুখ ফসকে বলে ফেললাম, মায়াবতী আমার..সপ্তাহ্ খানেক হলো বিয়ে করেছি।ইরিদের বাড়ি ছিলাম দুদিন। ঢাকা ফেরার সময় হয়ে গেছে। ঢাকা ফেরার আগের দিন চাচীকে বললাম,ইরিকে আমি নিয়ে যাবো। চাচি বললো,নয়া বৌ। কদিন শ্বশুড় বাড়ি থাকুক। মাস দুয়েক পরে এসে নিয়া যাইস। আমি ইরিকে বললাম,কি হলো? যাবে নাকি থাকবে? ইরি বললো,কয়েকদিন থাকি এখানে আর বাবার বাড়ি, তারপর আপনে আইসেন। তখন যামু। আমি আর কিছু বললাম না। সেদিন রাতে আমি আর ইরি অনেক গল্প করেছি। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিলো। জোরে বজ্রপাতের শব্দে ইরি আমার বুকে মুখ লুকালো। কি হয়েছিলো সেদিন? পদ্মা বান ডেকেছিলো, ভাসিয়ে নিয়েছিলো সব।আমি আর ইরি সেদিন বৃষ্টির শব্দে আর নদীর বানে ভেসেছিলাম। কুল কিনারা পাইনি সেদিন আমরা কেউ। সব ভেসে যাক,বান সব কেড়ে নিক। আমরা ডুবে থাকি ভালোবাসার নদীতে। ভাসতে থাকি প্রেমের বানে।আমি চলে এলাম ঢাকা। সপ্তাহে দু তিনটা চিঠি আদান প্রদান হয়। মাসখানেক পর একদিন একটা চিঠিতে রক্তের ফোঁটা দেখলাম দু তিনটে। আমার মনটা কেমন জানি করতে লাগলো। কি হয়েছে আমার মায়াবতীর? সাথে সাথে আমি চিঠি লিখলাম। সারাদিন অস্থির ছিলাম। রাতেও ঘুমাতে পারিনি। কখন চিঠি আসবে আমার মায়াবতীর? চিঠিতে ব্লাড কেনো? তিনদিন পর চিঠি পেলাম। চিঠিতে ইরি লিখেছে, তার হাত কেটে গেছে। সেই ব্লাড। আমি যেনো চিন্তা না করি। আমার বুক থেকে পাথর নেমে গেলো। তবে মায়াবতীকে দেখার জন্য মনটা উসখুশ করতে লাগলো। একটু ফ্রী হলেই চলে যাবো গ্রামে। সাথে করে নিয়ে আসবো আমার মায়াবতীকে। মায়াবতী আমার, কালো মায়াবতী।
গ্রামে এলাম। আমার গ্রামটা কিন্ত অঁজপাড়াতে। আমার চাচী আমাকে দেখে এগিয়ে এলো। মায়াবতী আড়ালে লুকালো। #

14 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

9 hrs
·
Translate
🌺 মায়া বড় কঠিন অনুভূ তি!

পছন্দ , ভালো লাগা , ভালোবাসার অনুভূতি সময় কিংবা পরিস্থিতির কারণে আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে আসতে পারে।
কিন্তু কারো প্রতি সত্যিকার
মায়া হয়ে গেলে তা কাটানো
যে কতো কঠিন!
কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসম্ভবই বটে🌺

14 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

🌿 سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِحَمْدِهِ
📖 রাসুল ﷺ বলেছেন: “যে ব্যক্তি দিনে একশ বার সুবহানাল্লাহিল আযিম ওয়াবিহামদিহি বলে, তার গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার মতো হয়।” (বুখারি ৬৪০৫, মুসলিম ২৬৯৪)
#তাসবিহ #যিকির #ইস্তেগফার #হাদিস #ইসলাম

20 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

বৃষ্টি থেমে গেলে, ভিজা ছাতাটা আমরা বাইরে রাখি।
কারণ সেটা ভেজা। ঘরের ভেতরে আনলে floor ভিজে যাবে। অসুবিধা হবে।

কিন্তু ছাতাটা বৃষ্টিতে আপনাকে ভিজতে দেয়নি।

আপনিও কি সেই ছাতার মতো সবাইকে শুধু দিয়েই যাচ্ছেন ?

Don’t be that umbrella.
যাকে শুধু কষ্টের সময়ে মনে পড়ে,
আর ভালো দিনে ভুলে যায়।

ভালোবাসা, বন্ধুত্ব, সম্পর্ক সব কিছু একতরফা হলে সেটা হয়ে যায় ব্যবহার । আপনার মূল্যায়ন যদি কেও না করতে পারে তার থেকে দূরে সরে যাওয়া সবচেয়ে উত্তম।

মনে রাখবেন নিজেকে এমন কারো জন্য খরচ করবেন না,
যে আপনাকে শুধু প্রয়োজনের সময় মনে রাখে।

You deserve to be valued,
not Used !! ❤️

21 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

আলহামদুলিল্লাহ নিজের ছোট ছোট ইচ্ছা পুরন করতে পারতেসি এই এপসের জন্য শুধু।
অনলাইনে এই এপটাই মনে হয় রিয়েল এই জন্য ছেলে মেয়ে উভয়ই কাজ করতে পারে। লাইভের কাজ তবে ফেস দেখাতে হয় না লাইভে কোনো কথা বলতে হয় না। Account করতে নিজের পিক দিতে হয় না। ছেলে মেয়ে উভয়ই করতে পারবেন। এড ফ্রী ছাড়া কাজ করতে চাইলে ইনবক্স করেন।

22 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

আদ্ভুত!

বিড়ালদের ইগো দেখে শিখে
ফেললাম-সব সময় সবার
প্রয়োজন হয় না!

image
23 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔
🌺 মায়া বড় কঠিন অনুভূ তি!

পছন্দ , ভালো লাগা , ভালোবাসার অনুভূতি সময় কিংবা পরিস্থিতির কারণে আস্তে আস্তে ফিকে হয়ে আসতে পারে।
কিন্তু কারো প্রতি সত্যিকার
মায়া হয়ে গেলে তা কাটানো
যে কতো কঠিন!
কোনো কোনো ক্ষেত্রে অসম্ভবই বটে🌺
23 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

আমি হাসতে ভালোবাসি কিন্তু কাঁদতে নয়,,, আমি কাউকে আনন্দ দিতে ভালবাসি,, কিন্তু কাউকে কষ্ট দিতে নয়,,, আমি কারো মনকে ভালবাসি,,, কিন্তু কারো রূপকে নয়,

24 گھنٹے ·ترجمہ کریں۔

কাউকে ভুলে যেতে চাইলে তার কাছ থেকে দূরে সরে জান,,, আর যদি দূরে সরে যেতে না পারেন তাহলে বুজে নিবেন আপনি তাকে কুন্দিন বুলতে পারবেন না

1 d ·ترجمہ کریں۔
🌱 ধৈর্য্য হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। জীবনে আসা সকল পরীক্ষায় ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন। 🥰




💖 মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একে অপরের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এবং বিপদাপদে পাশে থাকা একজন মুমিনের কর্তব্য। 🤗
2 d ·ترجمہ کریں۔

---

❤️ ভালোবাসা – অনন্তের পথে ❤️

ভালোবাসা এমন এক জিনিস, যা চোখে দেখা যায় না, কিন্তু হৃদয়ে গভীরভাবে অনুভূত হয়। এটা কোনো সময়, বয়স বা অবস্থার বাঁধনে আটকায় না—বরং নিজের মতো করেই আসে, ঠিক তখনই যখন আমরা ভাবি, জীবনে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। হঠাৎ করেই সেই মানুষটি এসে জীবনের মানচিত্র বদলে দেয়, প্রতিটি সকাল নতুন অর্থে ভরে ওঠে।

যখন তুমি কাউকে সত্যিকার অর্থে ভালোবাসো, তখন তার তুচ্ছ অভ্যাসও তোমার কাছে মিষ্টি লাগে, তার প্রতিটি কথা তোমার মনে গেঁথে যায়। তার হাসি তোমার চোখে আলোর মতো ঝলমল করে, আর তার কান্না তোমার বুকের ভেতর কষ্টের ঢেউ তোলে।

ভালোবাসা শুধু সুন্দর মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া নয়, বরং কঠিন সময়ে একে অপরকে আঁকড়ে ধরা। এটা মানে হলো, ঝড় আসুক কিংবা রোদ ঝলমলে দিন হোক—তুমি পাশে আছো, আর সেই উপস্থিতিই সব থেকে বড় উপহার।

অনেকেই ভাবে ভালোবাসা শুধু রঙিন স্বপ্ন, কিন্তু আসলে এটা ধৈর্য, আস্থা আর সম্মানের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। দূরত্ব, সময় কিংবা ভুল বোঝাবুঝি—সব কিছু জয় করতে পারে সত্যিকারের ভালোবাসা। কারণ যখন দুইটা হৃদয় একে অপরের প্রতি সত্যি হয়, তখন পৃথিবীর কোনো শক্তিই তাদের আলাদা করতে পারে না।

শেষমেষ ভালোবাসা হলো এমন এক যাত্রা, যার কোনো গন্তব্য নেই—শুধুই চলতে থাকা। আর সেই পথে হাত ধরে থাকা মানুষটাই তোমার জীবনের সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য। ❤️


---