8 ш ·перевести

**"অপেক্ষার খেলা"**

রুদ্র আর অনুরাধা—দুজনেই ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছিল। রুদ্র ছিল শান্ত, কম কথা বলা ছেলে। আর অনুরাধা? যেন ঝড়। প্রাণবন্ত, চঞ্চল, আর একটু বেশিই সাহসী। প্রথম দিন থেকেই রুদ্রকে খোঁচানো ছিল তার প্রিয় খেলা। অথচ, প্রতিবার রুদ্রের চুপচাপ হাসিটা দেখে তার ভেতরে একটা অদ্ভুত টান তৈরি হতো।

দিন গড়িয়ে মাস, মাস গড়িয়ে বছর। এই ঠাট্টা-মশকরার মাঝে যেন একটা অদৃশ্য বন্ধন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। রুদ্র ধীরে ধীরে ভালোবেসে ফেলেছিল অনুরাধাকে। কিন্তু সে কখনো কিছু বলেনি। কারণ, সে জানত অনুরাধা ভালোবাসে খেলা—তাকে নয়।

একদিন হঠাৎ করেই অনুরাধা বলল,
— "রুদ্র, একটা বাজি ধরি?"
— "কী বাজি?"
— "তুই যদি আমার প্রপোজালে ‘না’ বলিস, তাহলে তোর প্রিয় বইটা আমি তোকে দিয়ে দেবো। আর যদি ‘হ্যাঁ’ বলিস, তাহলে তুই আমাকে পুরো একদিনের জন্য নিয়ে যাবি যেখানে আমি বলব!"

রুদ্র থমকে গেল। এটা কি আবার নতুন খেলা? নাকি সত্যি কিছু?

সে একটু থেমে বলল,
— "হ্যাঁ।"

অনুরাধা চুপ। তারপর আস্তে বলল,
— "এই খেলাটা আমি অনেকদিন ধরেই খেলছি রুদ্র... কিন্তু হেরে যেতে চাই, তোর ভালোবাসায়।"

রুদ্র অবাক। তার মনে প্রশ্ন—এটা কি সত্যি, না প্রেমের আরেক খেলা?

সেইদিনের পর থেকে, আর কোনো বাজি হয়নি। তারা দুজনেই বুঝে গিয়েছিল—প্রেম যদি খেলা হয়, তবে তারা দুজনেই বিজয়ী।

---

**শেষ।**
কেমন হয়েছে জানায়েন। #everyone

image
сейчас же ·перевести

কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
1 м ·перевести

Finalisina












কিভাবে কাজ করবেন কিভাবে উইথড্রো করবেন এবং কিভাবে বেশি টাকা ইনকাম করবেন .এখানে কোন ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না .শুধু আপনি আপনার সময় দিন আর এরা আপনাকে টাকা দেবে.

image
36 м ·перевести

বাবুদের তাল-পুকুরে
হাবুদের ডাল-কুকুরে
সে কি বাস করলে তাড়া,
বলি থাম একটু দাড়া।

পুকুরের ঐ কাছে না
লিচুর এক গাছ আছে না
হোথা না আস্তে গিয়ে
য়্যাব্বড় কাস্তে নিয়ে
গাছে গো যেই চড়েছি
ছোট এক ডাল ধরেছি,

ও বাবা মড়াত করে
পড়েছি সরাত জোরে।
পড়বি পড় মালীর ঘাড়েই,
সে ছিল গাছের আড়েই।
ব্যাটা ভাই বড় নচ্ছার,
ধুমাধুম গোটা দুচ্চার
দিলে খুব কিল ও ঘুষি
একদম জোরসে ঠুসি।

আমিও বাগিয়ে থাপড়
দে হাওয়া চাপিয়ে কাপড়
লাফিয়ে ডিঙনু দেয়াল,
দেখি এক ভিটরে শেয়াল!
ও বাবা শেয়াল কোথা
ভেলোটা দাড়িয়ে হোথা
দেখে যেই আঁতকে ওঠা
কুকুরও জাড়লে ছোটা!
আমি কই কম্ম কাবার
কুকুরেই করবে সাবাড়!

‘বাবা গো মা গো’ বলে
পাঁচিলের ফোঁকল গলে
ঢুকি গিয়ে বোসদের ঘরে,
যেন প্রাণ আসলো ধড়ে!

যাব ফের? কান মলি ভাই,
চুরিতে আর যদি যাই!
তবে মোর নামই মিছা!
কুকুরের চামড়া খিঁচা
সেকি ভাই যায় রে ভুলা-
মালীর ঐ পিটুনিগুলা!
কি বলিস ফের হপ্তা!
তৌবা-নাক খপ্তা…!

======

image
37 м ·перевести

কে তুমি খুঁজিছ জগদীশ ভাই আকাশ পাতাল জুড়ে’
কে তুমি ফিরিছ বনে-জঙ্গলে, কে তুমি পাহাড়-চূড়ে?
হায় ঋষি দরবেশ,
বুকের মানিকে বুকে ধ’রে তুমি খোঁজ তারে দেশ-দেশ।
সৃষ্টি রয়েছে তোমা পানে চেয়ে তুমি আছ চোখ বুঁজে,
স্রষ্টারে খোঁজো-আপনারে তুমি আপনি ফিরিছ খুঁজে!
ইচ্ছা-অন্ধ! আঁখি খোলো, দেশ দর্পণে নিজ-কায়া,
দেখিবে, তোমারি সব অবয়বে প’ড়েছে তাঁহার ছায়া।
শিহরি’ উঠো না, শাস্ত্রবিদের ক’রো না ক’ বীর, ভয়-
তাহারা খোদার খোদ ‘ প্রাইভেট সেক্রেটারী’ ত নয়!
সকলের মাঝে প্রকাশ তাঁহার, সকলের মাঝে তিনি!
আমারে দেখিয়া আমার অদেখা জন্মদাতারে চিনি!
রত্ন লইয়া বেচা-কেনা করে বণিক সিন্ধু-কুলে-
রত্নাকরের খবর তা ব’লে পুছো না ওদের ভুলে’।
উহারা রত্ন-বেনে,
রত্ন চিনিয়া মনে করে ওরা রত্নাকরেও চেনে!
ডুবে নাই তা’রা অতল গভীর রত্ন-সিন্ধুতলে,
শাস্ত্র না ঘেঁটে ডুব দাও, সখা, সত্য-সিন্ধু-জলে।

image
37 м ·перевести

বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে,
সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

‘ঘরে এস’ সন্ধ্যা সবায় ডাকে,
‘নয় তোরে নয়’ বলে একা তাকে;
পথের পথিক পথেই বসে থাকে,
জানে না সে কে তাহারে চাবে।
উদাস পথিক ভাবে।

বনের ছায়া গভীর ভালোবেসে
আঁধার মাথায় দিগবধূদের কেশে,
ডাকতে বুঝি শ্যামল মেঘের দেশে
শৈলমূলে শৈলবালা নাবে –
উদাস পথিক ভাবে।

বাতি আনি রাতি আনার প্রীতি,
বধূর বুকে গোপন সুখের ভীতি,
বিজন ঘরে এখন সে গায় গীতি,
একলা থাকার গানখানি সে গাবে-
উদাস পথিক ভাবে।

হঠাৎ তাহার পথের রেখা হারায়
গহন বাঁধায় আঁধার-বাঁধা কারায়,
পথ-চাওয়া তার কাঁদে তারায় তারায়
আর কি পূবের পথের দেখা পাবে
উদাস পথিক ভাবে।

======

image