রাত গভীর। শহরের কোলাহল থেমে গেছে, আলো-আঁধারিতে ডুবে আছে জানালার পাশে রাখা চেয়ারের ছায়া। সেই চেয়ারে বসে আছে রুদ্র, তার চোখে ক্লান্তি, মনেও কিছু না বলা কথা।
রুদ্রের জীবনে একসময় এসেছিল এক মেয়ে—নাম তার অন্বেষা। যেন হঠাৎ করেই আবির্ভাব, আবার একদিন হঠাৎ করেই অদৃশ্য হয়ে যাওয়া।
অন্বেষার সঙ্গে রুদ্রের কখনো দেখা হয়নি। তাদের পরিচয় হয়েছিল এক অনলাইন ফোরামে। প্রথমদিকে ছিল কেবল ভাব বিনিময়, পরে রাতের পর রাত তারা কথা বলত, ভাগ করে নিত স্বপ্ন, ভয়, এবং এমন সব অনুভব যা হয়তো বাস্তব জীবনের কারো সঙ্গেও সে ভাগ করেনি।
রুদ্র জানত না অন্বেষা কেমন দেখতে, কোথায় থাকে, এমনকি তার আসল নামও নয়। কিন্তু ভালোবাসা তো সবসময় দৃশ্যমান হয় না।
একদিন হঠাৎ করেই অন্বেষা নিখোঁজ। মেসেজের উত্তর নেই, প্রোফাইলও যেন গায়েব। খালি একটা মেসেজ,
“একটা অন্য রকম জগতে যদি আবার দেখা হয়, রুদ্র, তখন হয়তো নামটা জানিয়ে দেব।”
সেই থেকে রুদ্র অপেক্ষায়।
চুপিচুপি ভালোবাসা আজও তার জানালার পাশে বসে থাকে। হয়তো অন্বেষা কোনো এক অলীক জগতে রুদ্রের পাশে আছে, অদৃশ্য, অথচ খুব সত্য।
ভালোবাসা সবসময় ছুঁয়ে দেখা যায় না। কখনো কখনো ভালোবাসা এক অদৃশ্য গল্প হয়—যা শুধু অনুভব করা যায়।
Shoyen Sen
تبصرہ حذف کریں۔
کیا آپ واقعی اس تبصرہ کو حذف کرنا چاہتے ہیں؟