একটা ছোট্ট গ্রাম—নাম তার চন্দ্রপুর। গাঁয়ের বুক চিরে চলে গেছে কাঁচা রাস্তা, দুপাশে ধানখেত, আর মাঝেমাঝে শাল-গাবের জঙ্গল। এখানেই থাকে ছোট্ট মেয়েটি, নাম তার রূপা। সে সবে ক্লাস সিক্সে পড়ে। খুব চুপচাপ আর ভাবুক প্রকৃতির।
রূপার সবচেয়ে প্রিয় কাজ হলো বিকেলের দিকে নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকা। পদ্মা নদীর জল তখন রোদে চিকচিক করে, আর হালকা হাওয়া বইতে থাকে। রূপা সেখানে বসে গল্প বানায় নিজের মতো করে—পাহাড়, রাজকন্যা, জাদুকর আর নীল ঘোড়া।
একদিন ঠিক এমন এক অপরাহ্নে, রূপা নদীর ধারে বসে ছিল। হঠাৎ দেখতে পেল, দূরে একটা ছেলে কাগজের নৌকা ভাসাচ্ছে। ছেলেটির চোখে ছিল একরাশ কৌতূহল। রূপা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল। ছেলেটি তার নাম বলল—সাগর। শহর থেকে এসছে মামার বাড়ি বেড়াতে।
সেই এক দেখা থেকেই শুরু হলো এক অদ্ভুত বন্ধুত্ব। প্রতিদিন বিকেলে রূপা আর সাগর নদীর পাড়ে দেখা করত। রূপা গল্প বলত, আর সাগর কাগজের নৌকা বানাতো। দুজনের গল্পে তৈরি হতো এক নতুন জগৎ—যেখানে তারা দুজনেই রাজকুমার আর রাজকুমারী।
হঠাৎ একদিন সাগর জানালো, কালই সে ফিরে যাবে শহরে। রূপা কিছু বলতে পারল না—চোখ দুটো অঝোরে ভিজে গেল।
সাগর বিদায়বেলায় একটা ছোট কাগজের নৌকা রূপার হাতে দিল। তাতে লেখা ছিল—
"গল্পটা শেষ নয়, আমরা আবার দেখা করব এক নীল অপরাহ্নে…"
রূপা আজও সেই নৌকাটা যত্ন করে রেখে দিয়েছে। আর প্রতিদিন নদীর পাড়ে গিয়ে বসে থাকে, সেই বন্ধুর জন্য, সেই নীল অপরাহ্নের জন্য।
Black Musk Nill
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟
Black Musk Nill
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟
Dipen Mollick
حذف نظر
آیا مطمئن هستید که می خواهید این نظر را حذف کنید؟