সকাল ৮টায় আমরা দ্বেবীদ্বার ঘাটে এসে পৌঁছলাম। কিন্তু সময়টা ছিল শীতকাল ফলে চারপাশ কুয়াশায় ঢাকা ছিল। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কুয়াশা কিছুটা কাটলে তবেই আমরা যাত্রা শুরু করব। কুয়াশা কেটে রোদ উঠতে উঠতে সকাল ১০টা বেজে গেল। রোদ ওঠার পর আমরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সাথে নিয়ে নৌকায় উঠে পড়লাম। সাথে সাথে মাঝি নোঙর তুলে, নৌকা ছাড়লো। আমরা আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম।
যাত্রা পথের বর্ণনাঃ
নৌকা ছাড়ার কিছু পরেই মাঝি গান ধরলো “মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে আমি আর বাইতে পারলাম না।’’ নৌকায় ওঠার পর যদিও আমাদের একটু একটু ভয় লাগছিলো কিন্তু মাঝির এমন মনোমুগ্ধকর গানের সুরে আমাদের ভয় পুরোপুরি কেটে গেলো। বৈঠা ও পানির মিলিত ছন্দ আর সেই সাথে মাঝির গাওয়া গান আমাদের মনে এক অভূতপূর্ব দোলা দিয়ে গেল। আমরা নৌকার গলুইয়ে মুগ্ধ হয়ে বসে মাঝির গান শুনছিলাম। এরই মধ্যে স্রোতের টানে নৌকা কখন যে মাঝনদীতে এসে পড়েছে আমরা টেরই পেলাম না। ততক্ষণে অন্য মাঝিও সুর ধরেছে। দুজনে মনের সুখে মাঝে মাঝে ভাটির গান ধরেছে-