রাহাত আর মিমের দেখা হয়েছিল কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। মিম মঞ্চে গান গাচ্ছিল, আর রাহাত দর্শকসারিতে বসে মুগ্ধ হয়ে শুনছিল। গান শেষে মিমের দিকে হাততালি দিতে দিতে রাহাতের চোখে পড়ে মিমের মিষ্টি হাসি। সেদিনের পর থেকে তাদের মাঝে ছোট ছোট কথা শুরু হয়— কখনো করিডোরে দেখা, কখনো লাইব্রেরিতে বই নিয়ে আলোচনা।
রাহাত ছিল ভীষণ লাজুক, আর মিম প্রাণবন্ত ও স্পষ্টভাষী। কিন্তু দুজনের মনই আস্তে আস্তে কাছে আসছিল। কলেজের প্রতিটি দুপুর যেন তাদের জন্য অপেক্ষা করত। একদিন ক্লাস শেষে রাহাত মিমকে নিয়ে কলেজের বাগানে বসে কবিতা শোনাল। মিম মুগ্ধ হয়ে শুনল, আর অবাক হয়ে ভাবল— এ ছেলে এত সংবেদনশীল!
কয়েক সপ্তাহ পর রাহাত একঝলক হাওয়ার মতো মিমকে বলল, “তোমায় ভালোবাসি।” মিম প্রথমে একটু অবাক হলেও মুচকি হেসে জবাব দিল, “তুমিই আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর গান।”
সেদিন থেকেই তাদের স্বপ্নের পথ শুরু হলো। বইয়ের পাতা, ক্যাম্পাসের মাঠ আর বৃষ্টিভেজা রাস্তায় তারা হাত ধরে হেঁটে গেল অনেক দূর… ভালোবাসা নিয়ে।